নিজস্ব প্রতিবেদক, বরগুনা:: বরগুনার বেতাগীতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভবনের মেরামতের কাজে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। পলেস্তরা না করেই দেয়ালে শুধুমাত্র রং দিয়ে ঝকঝকে করে কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে বলে একাধিক ব্যক্তি অভিযোগ করেছেন।

উপজেলা চেয়ারম্যান মো. মাকসুদুর রহমান ফোরকান স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিদর্শনকালে চিকিৎসক ও কর্মচারীরা তার কাছে এ অনিয়মের অভিযোগ করেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে- কাজটি তদারকির জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পক্ষ থেকে ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদারকি টিম গঠন করা হয়েছে।

অভিযোগের ভিত্তিতে জানা যায়- ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লোকজন অনিয়মের আশ্রয় নিয়ে জরাজীর্ণ ভবনে পলেস্তরা না করেই মনগড়াভাবে মেরামত কাজ শুরু করেন। ছাদ চুইয়ে পানি পড়ে, দেয়ালে ফাটল, ফ্লোর নিচের দিকে দেবে গেছে, স্টিলের দরজা-জানালা ভেঙে গেছে। সবকিছু পুরোনোটাই রয়ে গেছে। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের লোকজন এসব মেরামত না করেই ভবনের বিভিন্ন অংশে পুরাতন ময়লা ও মরিচার ওপর রং দেওয়া শুরু করে চকচকে-ঝকঝকে করে তুলছে।

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ অভিযোগ করে, এমন করে মেরামত কাজ সম্পন্ন করলে অল্পদিনেই এগুলো উঠে যাবে। গত বছরও এই ভবন মেরামত করা হয়। এক বছরের মাথায় পূনরায় একই ভবনে কাজ করেছে। ১৫ লক্ষ টাকা ব্যয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের এ মেরামত কাজটি করছে মেসার্স মাসুদ এন্টারপ্রাইজ নামক একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।

স্থানীয় এক বাসিন্দা নাম না প্রকাশের শর্তে বলেন, যে কাজ করা হচ্ছে তাতে মনে হয় পাঁচ লাখ টাকাও ব্যয় হবে না।

স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী মো. ফারুক হোসেন বলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার কাছ থেকে এ ধরনের অভিযোগ আমিও পেয়েছি। সরেজমিনে গিয়ে তা দেখে কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছি।

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি সুমন বলেন, রাজমিস্ত্রি কাজ করার পর রঙের কাজ করার কথা কিন্তু রং মিস্ত্রি আগেভাগেই কাজ শুরু করে দেয়। যে কারণে সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। তবে উপজেলা চেয়ারম্যানের নির্দেশের পর রঙের কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে। কাজ নিয়মনুসারে সম্পন্ন করা হবে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আ ন ম মঈনুল ইসলাম বলেন, ‘কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে। ইতোমধ্যে জনপ্রতিনিধি ও চিকিৎসকের সমন্বয়ে কাজটি তদারকির জন্য ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদারকি টিম গঠন করা হয়েছে।’