নিজস্ব প্রতিবেদক, পিরোজপুর:: ঈদের পরদিন পরিবারের অন্য সদস্যদের সাথে নতুন বাড়িতে ওঠার কথা ছিল স্কুলছাত্র সালাউদ্দিনের (১৩)। কিন্তু নতুন বাড়িতে ফেরার আগেই তার ঠিকানা হল অন্ধকার কবরে। এমনই হৃদয়বিদারক ঘটনা ঘটেছে পিরোজপুরের ইন্দুরকানি উপজেলার উমেদপুর গ্রামে।

পিরোজপুরের ইন্দুরকানি উপজেলার উমেদপুর গ্রাম থেকে অপহরণের দুই দিন পর সালাহউদ্দিন (১৩) নামে এক স্কুলছাত্রের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সালাউদ্দিন উপজেলার রাজলক্ষী বিদ্যালয় ও কলেজের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র এবং উমেদপুর গ্রামের সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে। সিদ্দিকুরের পাড়েরহাট বাজারে ফলের দোকান রয়েছে।

সোমবার (৩ মে) দুপুরে উপজেলার উমেদপুর গ্রাম থেকে ভাসমান অবস্থায় সালাউদ্দিনের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে- শনিবার (২ মে) রাতে শব-ই-কদর এর নামাজ পড়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হয়। এরপর সে আর ঘরে ফিরে আসেনি। পরের দিন রোববার সকালে একটি মোবাইল থেকে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে ফোন দেয় অপহরণকারীরা। পরবর্তীতে পরিবারের লোকজন বিষয়টি পুলিশকে জানালে পুলিশ মোবাইল ট্রাকিং এর মাধ্যমে স্থানীয় ৭ যুবক ও কিশোরকে আটক করে। বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়েও পুলিশ অপহৃত সালাউদ্দিনকে উদ্ধার করতে পারেননি।

এরপর আজ বেলা ১২টার দিকে পুলিশ উমেদপুর খাল থেকে সালাউদ্দিনের ভাসমান মৃতদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় হৃদয়বিদারক পরিস্থিতির সৃষ্টি সালাউদ্দিনের পরিবার এবং এলাকবাসীর মাঝে। এ ঘটনার পর উমেদপুর গ্রামের অন্যান্য পরিবারের মধ্যেও আতঙ্ক বিরাজ করছে। তবে বিষয়টি প্রেস ব্রিফিং এর মাধ্যমে পরবর্তীতে জানানো হবে বলে জানায় পুলিশ।

সম্প্রতি পিরোজপুর-পাড়েরহাট-ইন্দুরকানি সড়কের পাশে উমেদপুর গ্রামে নতুন বাড়ি করেছেন সালাউদ্দিনের পিতা সিদ্দিকুর রহমান। ঈদের পরদিন ওই বাড়িতে পরিবারের সদস্যদের সাথে নিয়ে ওঠার কথা ছিল সালাউদ্দিনের। এজন্য তার বাবা তাদের পুরনো বাড়িটি সম্প্রতি ৬ লাখ টাকায় বিক্রি করে। মূলত ওই টাকা পাওয়ার জন্য অপহরণকারীরা সালাউদ্দিনকে অপহরণ করেছিল।’