‘পদ্মা সেতুতে মানুষের মাথা ও রক্ত লাগবে, এটা সম্পূর্ণ গুজব। ছেলেধরা সন্দেহে কাউকে গণপিটুনি বা মেরে ফেলা দণ্ডনীয় অপরাধ। এ ধরনের অপরাধীকে কোনভাবেই ছাড় দেওয়া হবে না। ছেলেধরা গুজবের পেছনে দেশ-বিদেশি ষড়যন্ত্র রয়েছে। সবাইকে সচেতন হয়ে গুজব প্রতিরোধ করতে হবে।’

শনিবার (২৭ জুলাই) দুপুরে ঝালকাঠি পুলিশ লাইন্সের দরবার হলে অনুষ্ঠিত মাদক, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ বিরোধী সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বরিশাল রেঞ্জের ডিআইজি শফিকুল ইসলাম-বিপিএম (বার), পিপিএম এসব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, বরিশালে রেঞ্জে তার যোগদানের পর থেকে ৯৯৩ জন মাদক ব্যবসায়ী আত্মসমর্পণ করেছেন। এদের মধ্যে ২৭৮ জনকে নিরাময় কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে। পুনর্বাসন করা হয়েছে ৩০৯ জনকে।

জেলা পুলিশ ও কমিউনিটি পুলিশিং ফোরামের উদ্যোগে আয়োজিত এ সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন ঝালকাঠির পুলিশ সুপার ফাতিহা  ইয়াসমিন, নলছিটি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. সিদ্দিকুর রহমান, ঝালকাঠি সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান খান আরিফুর রহমান, কমিউনিটি পুলিশিং ফোরামের সভাপতি অ্যাডভোকেট আব্দুল মান্নান রসুল প্রমুখ।

সুধী সমাবেশে মাদক ব্যবসা ও মাদক সেবন ছেড়ে সুস্থ জীবনে ফিরে আসায় জেলার ২৪ জন নারী-পুরুষকে পুনর্বাসিত করা হয়। তাদের দেয়া হয় সেলাই মেশিন ও মাছ ধারার জাল। অনুষ্ঠানে জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক, সাংবাদিকসহ  বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

সমাবেশের আগে চলমান গুজব ও গণপিটুনি রোধে জেলা পুলিশের গণসচেতনতা সপ্তাহ উপলক্ষে ঝালকাঠি জেলা শহরে একটি বর্নাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়। এতে বরিশাল রেঞ্জের ডিআইজি মো. শফিকুল ইসলাম, ঝালকাঠির পুলিশ সুপার ফাতিহা ইয়াসমিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) এম.এম মাহমুদ হাসান-পিপিএম (বার) ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা অংশ নেন।