নবম ওয়েজবোর্ডের চূড়ান্ত গেজেট প্রকাশে স্থিতাবস্থা জারি করে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগ। এর ফলে ওই গেজেট প্রকাশে আর কোনও বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।

হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা আপিল গ্রহণ করে মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের শুনানিতে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিশ্বজিত দেবনাথ ও অমিত তালুকদার। রিটের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ এফ হাসান আরিফ ও মো. ইউসুফ আলী।

এর আগে সোমবার হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদনের ওপর শুনানি শেষ হয়। সোমবার শুনানি শেষে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ এ বিষয়ে আদেশের জন্য আজকের দিন ধার্য করেছিলেন।

এর আগে নিউজ পেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (নোয়াব) করা রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর হাইকোর্ট বেঞ্চ ৬ আগস্ট মঙ্গলবার রুলসহ গেজেট প্রকাশে দুই মাসের স্থিতাবস্থার আদেশ দেন।

এ আদেশ স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পর ১৪ আগস্ট আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি মো. নূরুজ্জামানের আদালত আবেদনটি পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য ১৯ আগস্ট দিন ধার্য করেছিলেন।

প্রসঙ্গত সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে আহ্বায়ক করে চলতি বছরের ২১ জানুয়ারি মন্ত্রিসভায় এ নবম ওয়েজ বোর্ড রোয়েদাদ বাস্তবায়ন সম্পর্কিত মন্ত্রিসভা কমিটি পুনর্গঠন করা হয়।

ওই সময় মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম জানান, নবম ওয়েজ বোর্ডে সাংবাদিক-কর্মচারীদের পাঁচটি শ্রেণিতে ১৫টি গ্রেড রয়েছে। প্রথম তিনটি গ্রেডে মূল বেতনের ৮০ শতাংশ এবং নিচের তিন গ্রেডে ৮৫ শতাংশ বেতন বাড়ানোর সুপারিশ করা হয়েছে।

এ ছাড়া ৬০-৭০ শতাংশ বাড়ি ভাড়া বাড়ানোর সুপারিশের পাশাপাশি মূল বেতনের ২০ শতাংশ হারে বৈশাখীভাতা যুক্ত করার সুপারিশ করা হয়েছে।

গত বছরের ৪ নভেম্বর সাংবাদিকদের জন্য নবম ওয়েজ বোর্ডের রোয়েদাদের সুপারিশ তথ্যমন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করেন নবম ওয়েজ বোর্ডের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. নিজামুল হক। এ সুপারিশ মন্ত্রিসভায় উত্থাপিত হয়।

এর আগে আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মো. নিজামুল হককে প্রধান করে গত বছর ২৯ জানুয়ারি ১৩ সদস্যের নবম ওয়েজ বোর্ড গঠন করা হয়।