বান্ধবী-সহ গেস্ট হাউস থেকে হাতেনাতে ধরা পড়লেন পশ্চিমবঙ্গের সাগরদিঘির বিধায়ক সুব্রত সাহার ছেলে। স্ত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে পূর্ত দপ্তরের গেস্ট হাউস থেকে বিধায়ক পুত্র সপ্তর্ষি সাহাকে আটক করেছে পুলিশ। তাঁর সঙ্গী যুবতীকেও আটক করা হয়েছে। যদিও নিজের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন বলেই দাবি করেছেন বিধায়ক পুত্র। তাঁর দাবি, ফাঁসানো হচ্ছে তাঁকে।

জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরেই স্ত্রীর সঙ্গে অশান্তি চলছিল বিধায়ক পুত্র তথা তৃণমূল নেতা সপ্তর্ষি সাহার। এমনকি স্ত্রীকে মারধরের অভিযোগও ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। অশান্তির জেরে মাস ছয়েক আগে বাপের বাড়ি চলে যান তাঁর স্ত্রী। এরপর স্বামীর বিরুদ্ধে বধূ নির্যাতনের অভিযোগ তুলে থানার দ্বারস্থও হন তিনি। এরই মধ্যে সপ্তর্ষির স্ত্রী জানতে পারেন, পূর্ত দপ্তরের গেস্ট হাউসে এক যুবতীকে নিয়ে থাকতে শুরু করেছেন সপ্তর্ষি।
বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই স্বামীর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেন তিনি। বাধ্য হয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হন। পরিকল্পনা মাফিক বুধবার পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়ে গেস্ট হাউসে চড়াও হন তিনি। সেখানকার একটি ঘর থেকে উদ্ধার হন ওই তৃণমূল নেতা ও তাঁর বান্ধবী। ঘটনাস্থল থেকেই তাঁদের আটক করে পুলিশ।

যদিও নিজের বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ ভিত্তিহীন বলেই দাবি করেছেন সপ্তর্ষি। তাঁর পালটা অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরেই স্ত্রীর সঙ্গে বনিবনা হচ্ছিল না। আমি ওঁর সঙ্গে থাকতে চাই না। সেই কারণে মিথ্যে স্ত্রী নির্যাতনের মামলায় আমাকে ফাঁসানো হচ্ছে।

সপ্তর্ষির সঙ্গে থাকা ওই যুবতীর দাবি, একটি বিশেষ কাজে সেখানে গিয়েছিলেন তিনি। অন্যায়ভাবে তাঁকে আটক করা হয়েছে। পুলিশের কর্মকর্তারা জানান, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। দুই পরিবার ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে, ঘটনাটি খতিয়ে দেখে অভিযুক্তদের শাস্তি দেওয়া হবে। সংবাদ প্রতিদিন