নিজস্ব প্রতিবেদক, পটুয়াখালী:: পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় স্ত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় দায়ের করা মামলার বাদীকে (স্বামী) পিটিয়ে হাত-পা ভেঙে দেওয়া হয়েছে। ধর্ষণ মামলার আসামী করায় তার এই পরিণতি বলে দাবি পরিবারের। গুরুতর অবস্থায় তাকে ভর্তি করা হয়েছে বরিশাল শেরে-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। এ ঘটনায় দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করেছেন স্বজনরা।

মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া উপজেলার পশ্চিম চাপলী গ্রামে ঘটেছে এই ঘটনা। আহতের নাম মো. সিদ্দিক হাওলাদার (৩৫)।

তার ভাই কবির হাওলাদার জানান, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে বাড়ির অদূরে একটি চায়ের দোকানে বসেছিলেন সিদ্দিক। এ সময় ৭/৮জনের একদল দুর্বৃত্ত লাঠিসোটা নিয়ে নির্মমভাবে সিদ্দিককে পিটিয়ে আহত করে। এতে তার দুই পা এবং এক হাত ভেঙ্গে যায়। এছাড়াও তার শরীরের বিভিন্ন অংশে ক্ষত হয়। রক্তাত্ব অবস্থায় প্রথমে তাকে উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে ওইদিন রাত ৩টায় তাকে বরিশাল শেরে-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

স্বজনরা জানান, ৫/৬ মাস আগে আহত সিদ্দিকের স্ত্রীকে গণধর্ষণ করে স্থানীয় বখাটেরা। এদের বিরুদ্ধে মামলা করে ধর্ষিতার স্বামী সিদ্দিক হাওলাদার। এ ঘটনায় মাসখানেক হাজতবাসের পর সম্প্রতি জামিনে মুক্তি পেয়ে আসামীরা বাদীকে নানা ধরণের হুমকি দিচ্ছিলো। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল সিদ্দিকের ওপর হামলা চালায় তারা। এ ঘটনায় যথাযথ বিচার দাবি করেছেন আহতের পরিবার।

এদিকে শেরে-ই বাংলা মেডিকেলের পরিচালক জানান, আহতের শরীরের বিভিন্ন ক্ষতের চিহ্ন রয়েছে। পরীক্ষার-নিরিক্ষার পর তার শারীরিক অবস্থা জানা যাবে। তবে তার যথাযথ চিকিৎসা চলছে।’