নিজস্ব প্রতিবেদক পাথরঘাটা::: ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ বাংলাদেশ-ভারত উপকূলের দিকে ক্রমশ ধেয়ে আসার মধ্যে সাগর উত্তাল হয়ে উঠছে। পাশাপাশি শুক্রবার (৮ নভেম্বর) সন্ধ্যা থেকেই পাথরঘাটায় ভারী বর্ষণ শুরু হয়েছে। সন্ধ্যা থেকে ভারী বর্ষণ শুরু হওয়ায় জনপদে আতঙ্ক আরও বেড়ে যায়।

বলেশ্বর ও বিষখালী নদীর তীরবর্তী একাধিক বাসিন্দার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বাঁধের পাশেই তাদের বসতবাড়ি হওয়ায় ঝুঁকি বেশি। তাছাড়া বৃহস্পতিবার গভীর রাত থেকে বর্ষণ হওয়ায় বাঁধ নরম হয়ে যাওয়ারও ঝুঁকি রয়েছে।

পাথরঘাটা সদর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মো. সিদ্দিক মিয়া বরিশালটাইমসকে জানান, সারাদিন হালকার পর সন্ধ্যা থেকে ভারী বর্ষণ শুরু হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, সিডরে পদ্মা ভাঙনের একাংশ এখনু ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। এ মুহূর্তে পানির চাপ হলে এলাকা তলিয়ে যেতে পারে।

এদিকে ঘূর্ণিঝড় বুলবুল কেন্দ্র করে উপকূলবর্তী এলাকায় ৭ নম্বর বিপদ সংকেত জারির পর ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি (সিপিপি), রেডক্রিসেন্টসহ বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের স্বেচ্ছাসেবকরা মাইকিং শুরু করেছে। পাশাপাশি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী, ফায়ার সার্ভিস, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও রোভার স্কাউটের সদস্যরাও উপকূলের বাসিন্দাদের নিরাপদে আশ্রয় যাওয়ার জন্য কাজ করছেন।

অপরদিকে, রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত গভীর সমুদ্রে থাকা শত শত ট্রলার ফিরে আসেনি। বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বরিশালটাইমসকে জানান, এখন পর্যন্ত সাগরে থাকা ট্রলারগুলো ফিরে আসেনি। বিকেলে ট্রলিং জাহাজের (বড় জাহাজ) জেলেদের মাধ্যমে সাগর থেকে নিরাপদে যাওয়ার জন্য মাইকিং করা হয়েছে।