নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল:: বরিশালের উজিরপুর উপজেলায় ১৪ বছর বয়সী এক স্কুলছাত্রীকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করা হয়েছে। স্থানীয় সাতলা ইউনিয়নের একটি মাছের ঘেরে একটি ঝুঁপড়ি ঘরে তাকে আটকে রেখে ধর্ষণ করে দুই যুবক। পরে স্কুলছাত্রীকে ওই ঘেরের পানিতে গলা পর্যন্ত ডুবিয়ে রাখলে স্বজনেরা তাকে উদ্ধার করে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা রাতে এই ঘটনায় পুলিশ নুরুল ইসলাম বয়াতী (২০) তরিকুল ইসলাম (১৯) নামে ওই দুই যুবককে গ্রেপ্তার করে। পরে এ ঘটনায় একটি মামলা গ্রহণ করে শুক্রবার আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে প্রেরণ করেছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়- সাতলা ইউনিয়নের পটিবাড়ি এলাকার বাসিন্দা ওই ছাত্রীকে দীর্ঘদিন ধরে কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছিল পার্শ্ববর্তী ওমর খানের মাছের ঘেরের কর্মচারী দুই কর্মচারী বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার পয়সারহাট এলাকার আয়নাল বয়াতীর ছেলে নুরুল ইসলাম বয়াতী এবং গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ারার কালারবাড়ি এলাকার আলী আকবরের ছেলে তরিকুল ইসলাম। এই প্রস্তাবে সম্মত না হওয়ায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় চাচার বাসা থেকে নিজ বাড়িতে ফেরার প্রাক্কালে স্কুলছাত্রীকে রাস্তা থেকে মুখ চেপে তুলে নেয়। এসময় ওই স্কুলছাত্রীর সঙ্গে থাকা ৬ বছর বয়সী ছোট বোনকে ভয় দেখিয়ে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। পরে দুই যুবক ওমর খানের মাছের ঘেরের একটি ঝুঁপড়ি ঘরে আটকে তাকে ধর্ষণ করে এবং রাত ১০টার দিকে তার হাত-পা-মুখ বেঁধে ঘেরের পানিতে গলা পর্যন্ত চুবিয়ে রাখে। ছোট বোন বাসায় গিয়ে বিষয়টি অবহিত করলে স্বজনেরা ঘের থেকে মুখে পলিথিন ও হাত-পা বাঁধা অবস্থায় স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করে। এবং গ্রামবাসী ওই দুই যুবককে আটক করে একচোট গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে উজিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শিশির কুমার পাল বরিশালটাইমসকে জানান, এই ঘটনায় স্কুলছাত্রী নিজেই বাদী হয়ে মামলা করেছে। ওই মামলা আটক দুই যুবককে গ্রেপ্তার দেখিয়ে শুক্রবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ এবং স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করে মেডিক্যাল পরীক্ষার জন্য বরিশালে নেওয়া হয়েছে।’