বিশেষ বার্তা পরিবেশক:: শেষ পর্যন্ত বিএনপি বেগম খালেদা জিয়া প্যারোলের জন্য আবেদন করবেন। বিএনপি নেতারা বলছেন, তারা প্যারোল বলবেন না। তারা সরকারের কাছে একটি আবেদন করবেন যে খালেদা জিয়া অসুস্থ তার উন্নততর চিকিৎসা প্রয়োজন। তার যে অসুস্থতা তার জন্য বিদেশে চিকিৎসা প্রয়োজন।

অর্থাৎ সরাসরি প্যারোলের আবেদন না করে তারা পরোক্ষভাবে প্যারোলের আবেদন করবে। তবে আইনজীবীরা বলছেন, প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ বলতে কিছু নেই। আবেদন করলে প্যারোলের কথা উল্লেখ করতে হবে।

আজ সন্ধ্যায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির এক জরুরি সভায় বেগম খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার জন্য শেষ পর্যন্ত প্যারোলের আবেদন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যদিও বিএনপি এর আগেও বলছিল যে, তারা খালেদা জিয়াকে আন্দোলন অথবা জামিনের মাধ্যমে মুক্ত করবে। কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল যে, বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়টি আদালতের এখতিয়ারাধীন বিষয়। এখানে সরকারের কিছু করণীয় নেই। তবে গত এক সপ্তাহ ধরে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি নিয়ে নাটকীয় পরিস্থিতি তৈরী হয়। বেগম খালেদা জিয়ার জেষ্ঠ্য পুত্র তারেক জিয়া হঠাৎ করেই প্যারোলের পক্ষে অবস্থান গ্রহণ করেন। বিএনপির নেতাদেরকে বোঝাতে শুরু করেন যে প্যারোলে মুক্তি পেলে তার রাজনীতির কোন অসুবিধা হবে না।

যদিও বিএনপি নেতৃবৃন্দ প্রথমদিকে এর তীব্র বিরোধীতা করেছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারেকেরই জয় হলো। বিএনপির একাধিক নেতা বলছেন যে, তারেক জিয়ার বিরুদ্ধে বিএনপি নেতারা আড়ালে আবডালে কথা বললেও প্রকাশ্যে তারেক জিয়ার মুখের ওপর কথা বলার মত এখনো অবস্থান তৈরী হয়নি। তারেক জিয়ার কথাই বিএনপিতে শেষ কথা। আজ বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকেও তারেক জিয়া স্কাইপিতে যোগ দেন। তিনি তখন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির যৌক্তিকতা তুলে ধরেন।

এছাড়াও বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে পেঁয়াজের লাগামহীন উর্ধ্বগতি, ট্রেন দূর্ঘটনাসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন এবং এ ব্যপারে বিবৃত্তি প্রদান করেন। তবে স্থায়ী কমিটির বৈঠকে উপস্থিত একাধিক নেতার সূত্রে নিশ্চিত হওয়া গেছে, বৈঠকের মূল আলোচ্য ছিল বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়। তবে সেক্ষেত্রে তারা জামিনের আবেদন করবেন।

তবে বিএনপির একজন নেতা বলেছেন, জামিনের আবেদনটি বেগম খালেদা জিয়ার কোনো আত্মীয় করবেন। এটা দলের পক্ষ থেকে করা হবে না। নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিএনপির ওই নেতা বলেছেন, দলের পক্ষ থেকে আবেদন করার কোনো সুযোগ নেই। কারণ প্যারোলের আবেদন বা মুক্তির আবেদন করবে তার পরিবারের সদস্যরাই। সেক্ষেত্রে তার ভাই বোন আবেদন করতে পারেন বলে বিএনপির দায়িত্বশীল সূত্রগুলো নিশ্চিত করেছে।