বার্তা পরিবেশক, অনলাইন :: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষে দশ কর্মী আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। আজ বুধবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জিয়া হল মোড় এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে সাতজনকে বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসা কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে। ছাত্রলীগের সিনিয়র নেতারা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্বরত প্রক্টর অধ্যাপক ড. পরেশ চন্দ্র বর্মণ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি শান্ত করেন।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, সন্ধ্যার পরে জিয়া হল মোড়ে ল্যান্ড ‘ল’ বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের রিজভী আহমেদ ওশান হেঁটে যাওয়ার সময় তাকে ডাকেন লোক প্রশাসন বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের ঝিনুক, আলাল ইবনে জয় এবং চঞ্চু চাকামা। এ সময় জুনিয়র ওশান সিনিয়রদের সাথে খারাপ আচরণ করে বলে অভিযোগ ওঠে। এতে ওশানকে চড়-থাপ্পড় মারেন সিনিয়ররা। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাঁশ ও লাঠিসোটা নিয়ে কয়েক দফায় সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন ছাত্রলীগ কর্মীরা। এতে উভয় গ্রুপের শাহাজালাল ইসলাম সোহাগ, বাধন, আলাল ইবনে জয়, স্বাধীন, সালমানসহ ১০-১২ জন কর্মী আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

আহতদের মধ্যে সাত জনকে বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় চিকিৎসা কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে। চিকিৎসা কেন্দ্রেও হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে তারা। আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন দায়িত্বরত চিকিৎসক খুরশিদা জাহান। তবে আহতদের কেউ আশঙ্কাজনক নয় বলেও জানান তিনি। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ক্যাম্পাস এলাকায় এখানো (রাতে) থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে আবাসিক শিক্ষার্থীদের মাঝে।

এ বিষয়ে দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত প্রক্টর অধ্যাপক ড. পরেশ চন্দ্র বর্মন বলেন, বিষয়টি শোনামাত্র আমি ঘটনাস্থলে পৌঁছাই। উভয় গ্রুপকে স্ব-স্ব হলে পাঠিয়ে দিয়েছি। গভীররাত পর্যন্ত ক্যাম্পাসে থাকবো। আশা করছি নতুন করে কোনো সমস্যা হবে না।