বার্তা পরিবেশক, বরগুনা:: দক্ষিণ লেমুয়া মৃধা বাড়ি থেকে আজিজ মাস্টার বাড়ির ব্রিজ পর্যন্ত বেহাল কাঁচা রাস্তাটি পাকা করণের দীর্ঘ দিনের দাবি এলাকাবাসীর। গ্রামের মানুষের বরগুনা জেলা শহরের একমাত্র যোগাযোগের মাধ্যম এ সড়কটি। সিডর আয়লা মহাসেন ও বুলবুলের মত ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে ক্ষত-বিক্ষত রাস্তাটি পাকা তো দূরের কথা, সংস্কার করতে কোনো সরকারি-বেসরকারি দপ্তর এগিয়ে আসেনি। এই বিধ্বস্ত খানা-খন্দে ভরা কাঁচা সড়কটি পাকা করণের প্রাণের দাবি এলাকাবাসীর।
বরগুনা জেলা শহরের ১০-১২ কিলো মিটার অদূরে ৭ নং ঢলুয়া ইউনিয়নে এ কাঁচা রাস্তাটির অবস্থান। সড়কটির পাশে কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও গুরুত্বপূর্ণ পাবলিক প্লেস রয়েছে। এর মধ্যে মৃধা বাড়ি জামে মসজিদ, ৬৯ নং দক্ষিণ লেমুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দক্ষিণ লেমুয়া মুনসী বাড়ি জামে মসজিদ, সোনাতলা জামে মসজিদ, আমতলী বাজার, পাঠাকাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, শহীদ খান বাড়ি এবতেদায়ি মাদ্রাসা, মোস্তানিয়া পাক দরবার শরিফ, খাঁক বুনিয়া দরবার শরীফ।

এসব প্রতিষ্ঠান ও গ্রামের হাজার হাজার মানুষ প্রতিনিয়ত একমাত্র এ কাঁচা রাস্তাটি দিয়ে যাতায়েত করে। বর্ষা মৌসুমে এ কাঁচা রাস্তা দিয়ে স্কুল কলেজের ছাত্র-ছাত্রী ও মসজিদে যাতায়াতকারী মুসল্লিদের খুবই কষ্ট হয়। বরগুনা শহর, লেমুয়া মাধ্যমিক ও প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং খাকবুনিয়া দরবার শরীফে যাতায়েত করার একমাত্র সড়ক এটি।

তাছাড়া ৫ কিলোমিটারের এ রাস্তার প্রায় ৩ কিলোমিটারই খানাখন্দে ভরা। যা দিয়ে প্রতিনিয়ত মানুষ জীবনের ঝঁকি নিয়ে পারাপার করছে। এ ব্রিজ ও রাস্তা দিয়ে চলাচলে যে কোনো সময় মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। আর এসব দুর্ঘটনার কারণে ম্লান হতে পারে সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের সুফল।

এ রাস্তাটিতে প্রায় তিন শতাধিক বিভিন্ন্ ধরনের গাড়ি চলাচল করে। কাঁচা রাস্তাটির পাকা করণের পাশাপাশি অকেজো ব্রিজ তিনটি নির্মাণেরও দাবি এলাকাবাসীর।

বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী কায়সার আলম মুঠোফোনে বলেন এ বেঁড়িবাঁধ রাস্তাটি আমাদের সংস্কারের পরিকল্পনা রয়েছে। প্রস্তাব আমরা মন্ত্রণালয় পাঠিয়েছি। সংস্কার করতে একটু দেরি হবে।