সঞ্জিব দাস, পটুয়াখালী:: গলাচিপার পানপট্টি লঞ্চঘাট এলাকায় দুই স্পিডবোটের সংঘর্ষের ঘটনায় নিখোঁজ এক যাত্রীর লাশ তিনদিন পর উদ্ধার হয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পরে চরকারফারমা সংলগ্ন আগুনমুখা নদী থেকে জেলেরা জাল টেনে এ লাশ উদ্ধার করেছে। লাশটি পটুয়াখালী সদর উপজেলার ধরান্দি এলাকার মৃত আবুল হোসেনের ছেলে মোঃ আইউব আলীর (২৫) এবং তিনি ওষুধ কোম্পানি রেফকোর বিক্রয় প্রতিনিধি ছিলেন বলে পুলিশ নিশ্চিত করেছে। তার নিখোঁজের ঘটনায় পরিবার গলাচিপা থানায় একটি জিডিও করেছে।
স্পিডবোট সংঘর্ষের ঘটনায় এখনও এক যাত্রী নিখোঁজ রয়েছে বলে এলাকাবাসী জানিয়েছে। তবে পুলিশ এ তথ্য নিশ্চিত করতে পারেনি।
আগুনমুখা নদীতে দুই স্পিডবোট সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার সন্ধ্যার পরে। স্পিডবোটের পরিচালক মোঃ মোমেন বরিশালটাইমসকে জানান, ঘটনার সময়ে আহমেদ এন্টারপ্রাইজের একটি স্পিডবোট কয়েকজন যাত্রী নিয়ে রাঙ্গাবালী উপজেলার কোড়ালিয়া থেকে গলাচিপার পানপট্টি ঘাটে আসছিল। পায়রা তাপবিদ্যুত কেন্দ্রের অপর একটি স্পিডবোট পিছন থেকে যাত্রীবাহী বোটে ধাক্কা দিয়ে ডুবিয়ে দেয়।
যাত্রীদের নিয়ে স্পিডবোটটি আগুনমুখা নদীতে ডুবে যায়। এ সময় স্থানীয় লোকজন ট্রলার নিয়ে স্পিডবোটের ড্রাইভারসহ চারজনকে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় এখনও গলাচিপার পানপট্টি ইউনিয়নের খরিদা গ্রামের শাজাহান হাওলাদারের ছেলে হারুন (৩০) নিখোঁজ রয়েছে। নিখোঁজ হারুন পেশায় মোটরসাইকেল ড্রাইভার। স্পিডবোটের আরেক পরিচালক মোঃ ইলিয়াস জানান, হারুন মোটরসাইকেল বিক্রির টাকা নিয়ে রাঙ্গাবালী থেকে ফিরে আসছিল।
গলাচিপা থানার অফিসার ইনচার্জ আখতার মোর্শেদ মোটরসাইকেল ড্রাইভার হারুন স্পিডবোট ডুবিতে নিখোঁজ হয়েছে, তা শতভাগ নিশ্চিত করতে পারেননি। তবে লাশের পরিচয় নিশ্চিত করেছেন পরিবারের লোকজন। ’
এ প্রসঙ্গে গলাচিপা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আখতার মোর্শেদ বলেন, ‘আমরা সরেজমিনে পানপট্টি লঞ্চঘাট আছি।উদ্ধার হওয়া আইয়ুবের লাশ সনাক্ত করেছে তা প্রসঙ্গত-বর্তমানে পানপট্টি-কোড়ালিয়া রূটে তিনটি এবং বোয়ালিয়া-কোড়ালিয়া রূটে পাঁচটি স্পিডবোট যাত্রী পারাপার করে থাকে। এ রূটে ভয়ঙ্কর আগুনমুখা নদী পাড়ি দিতে হয়। কিন্তু রাতের বেলা এ রূটে যাত্রী পারাপার ঝুঁকিপূর্ণ হলেও সকলেই তা উপেক্ষা করছে।