বার্তা পরিবেশক, অনলাইন:: সুন্দরবনে অপরাধ তৎপরতা কমাতে বিজিবির সক্ষমতা আরো বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল সাফিনুল ইসলাম বলেছেন, সুন্দরবনের নদীপথে চোরাচালান রোধে বিজিবি সবসময় তৎপর রয়েছে। তৎপরতা বাড়াতে আরও দুটি ভাসমান বিওপি স্থাপন করা হবে।

বুধবার (২২ জানুয়ারি) সুন্দরবনের আঠারবেকি ও কাঁচিকাটা ভাসমান বিওপি এবং কৈখালী বিওপি পরিদর্শনকালে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ভাসমান বিওপিতে বিজিবি সদস্যরা কিভাবে থাকে সেটা দেখতে এবং নদীপথে চোরাচালান রোধে আরো বিওপি বাড়াতে সম্ভাব্য জায়গা নির্বাচনের জন্য সুন্দরবনে এসেছি।

এ সময় বিওপিগুলো পরিদর্শনের মাধ্যমে বিজিবি মহাপরিচালক তার নির্দেশনায় বাস্তবায়িত কর্মকাণ্ডগুলো নিজে প্রত্যক্ষ করেন। একই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক ও কর্মকর্তাদের এসব দুর্গম বিওপি’র অপারেশনাল কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনার আরও উন্নয়নের জন্য বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দেন।

পরিদর্শনকালে মহাপরিচালক সেখানে নিয়োজিত বিজিবি সদস্যদের নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও দক্ষতা ও সাফল্যের সঙ্গে দায়িত্ব পালনের জন্য তাদের অভিনন্দন জানান। একই সঙ্গে তাদের দেশপ্রেম, শৃঙ্খলা, সততা, নিষ্ঠা ও দক্ষতার সঙ্গে সীমান্ত রক্ষার পবিত্র দায়িত্ব পালনের জন্য বিভিন্ন নির্দেশনা দেন।

খুলনা সেক্টরের সেক্টর কমান্ডার কর্নেল আরশাদুজ্জামান খানসহ বিজিবি’র অন্যান্য কর্মকর্তারা এসময় উপস্থিত ছিলেন।

বিজিবি সূত্র জানায়, দেশের মোট ৪ হাজার ৪২৭ কিলোমিটার সীমান্ত এলাকার মধ্যে ২৪৩ কিলোমিটার জলসীমা রয়েছে। এর মধ্যে ১৮০ কিলোমিটার জলসীমা বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে অবস্থিত।

জলসীমায় অপরাধ তৎপরতা কমাতে অদূর ভবিষ্যতে এ অঞ্চলে আরও দু’টি ভাসমান বিওপি স্থাপন করা হবে। মহাপরিচালকের এ পরিদর্শনের মাধ্যমে প্রস্তাবনাধীন দু’টি নতুন ভাসমান বিওপি স্থাপনের জন্য স্থান নির্বাচনের কাজ সম্পন্ন হলো।

সূত্র মতে, বর্তমান সরকারের আন্তরিক প্রচেষ্টায় বিজিবি’র এয়ার উইং সৃজিত হয়েছে এবং দুটি হেলিকপ্টার কেনা হয়েছে। এই হেলিকপ্টারের মাধ্যমে দুর্গম বিওপিগুলোকে বিভিন্নভাবে সহায়তা প্রদান করা আরো সহজ হবে। তাছাড়া জলসীমান্তের সার্বভৌমত্ব রক্ষা এবং সুন্দরবন, সেন্টমার্টিনসহ বাংলাদেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের আগ্রাসন রোধে নজরদারি বাড়ানো, নিজস্ব জলসীমানায় আধিপত্য বিস্তার ও অপারেশনাল সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য বিজিবির সাংগাঠনিক কাঠামোতে ৪টি হাইস্পিড ইঞ্জিন বোট, ২টি ফাস্ট ক্রাফট ও ১টি লজিস্টিক শিপ ক্রয় প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

এতে বিওপিসমূহের অপারেশনাল দক্ষতা ও প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনা বর্তমানের চেয়ে অনেকাংশে বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করছে সীমান্ত রক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিত থাকা সংস্থাটি।