২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার

দারোগা সাহেবের ‘ঠাস ঠাস’ কাণ্ড নিয়ে ব্যাপক রগড়!

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৫:২০ অপরাহ্ণ, ১৫ অক্টোবর ২০১৮

সন্ত্রাসীদের তাড়া করছিল পুলিশের একটি দল। সন্ত্রাসীরা প্রাণ হাতে নিয়ে পালাচ্ছে। পুলিশ তাদের ছুঁই ছুঁই অবস্থায় পৌঁছে গেল। সন্ত্রাসীরা দৌড়াচ্ছে। নিরুপায় হয়ে পুলিশদ সন্ত্রাসীদের দিকে গুলি ছুঁড়লো।

ভারতের উত্তর প্রদেশের (ইউপি) সম্বল এলাকায় গত শনিবার গভীর রাতে এমনি এক ঘটনার বয়ান এসেছে দেশটির পত্রপত্রিকায়। তবে এ পর্যন্ত ঘটনা গড়পরতা মনে হলেও এরপরেই ঘটে তাজ্জব করার মতো কাণ্ড।

দলের সঙ্গে থাকা থানার দারোগাও তার পিস্তলটি বের করেছিলেন। কিন্তু দেখা গেল তার হাতের পিস্তলটি জ্যাম, গুলি ফুটছে না।

তখন তিনি এক কাণ্ড করলেন- পিস্তল জ্যাম তো কী হয়েছে, নিজের মুখ তো জ্যাম না! সেই মুখ দিয়ে ‘ঠাস ঠাস’ আওয়াজ শুরু করলেন- যেমন পিস্তলে গুলি ছুঁড়লে হয়।

এই ঘটনার ভিডিও এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। এ নিয়ে ইউপি পুলিশকে নিয়ে ব্যাপক ঠাট্টা মশকরা চলছে।

প্রশ্ন আসতে পারে- ওই ঘটনার ভিডিও করলো কে? আর করলেও ভিডিওটি নেটে ছড়ালো কে?

জানা গেছে, এমন বিদঘুটে ঘটনা ছড়িয়ে পড়ার দায় পুলিশেরই। তারা সন্ত্রাসী ধরার অভিযানে একদল সাংবাদিককে সঙ্গে নিয়েছিলেন ঘটনার চাক্ষুষ বয়ানের জন্য। এ ঘটনার ভিডিও-ও করা হচ্ছিল। সুতরাং, ধারণা করা যায় কারা ভিডিও…

তবে সামাজিক মাধ্যমে ইউপি পুলিশকে নিয়ে ব্যাপক ঠাট্টা মশকরার সমান্তরালে সম্বল জেলা এসপি বলেছেন, এ বিষয়ে পুলিশ কর্মীদের প্রশিক্ষিত করবে।

রবিবার পত্রিকায় প্রকাশিত খবরে জানা যায়, শনিবার গভীর রাতের ওই ঘটনায় একদল দুর্বৃত্তকে পুলিশ ঘিরে ফেলে। তাদের কাবু করার জন্য গুলিও ছোড়ে পুলিশ। দারোগা সাহেবও পিস্তল বের করে গুলি করতে যান। কিন্তু তার পিস্তল থেকে গুলি ছুটছিল না। তখনি তিনি মুখ দিয়ে গুলির শব্দ শুরু করেন “ঠাস ঠাস”!

এসময় পাশে থাকা অপর পুলিশ সদস্য এক সন্ত্রাসীর পায়ে গুলি করে আহত অবস্থায় তাকে পাকড়াও করে। পুলিশ জানিয়েছে, আটক ওই সন্ত্রসীকে ধরার জন্য ২৫ হাজার রুপি পুরস্কার ঘোষণা করা ছিল।

কিন্তু সব কিছু ছাপিয়ে এখন দারোগা সাহেবের ‘ঠাস ঠাস’ কাণ্ড নিয়ে ব্যাপক রগড়ের মুখে সেখানকার এসপি কিন্তু পক্ষ নিয়েছেন তার দারোগার।

সংবাদ মাধ্যমকে এসপি বলেন, জানা গেছে ওই অভিযানে এক দারোগার পিস্তল জ্যাম হয়ে পড়ে। তো পুলিশ দল তখন সন্ত্রাসীদের ধরার জন্য “ধর ধর, থাম থাম” চিৎকার দিচ্ছিল। একই সময় (মুখ দিয়ে করা) ‘ঠাস ঠাস’ শব্দও শোনা যায়।

এসপি আরো জানান, এই বিষয়টা গুরুত্বের সঙ্গে নেয়া হয়েছে। এখন থেকে পুলিশদের ট্রেনিংয়ে এটাও শেখানো হবে- অভিযানে হঠাৎ পিস্তল জ্যাম হয়ে গেলে তাড়াতাড়ি কীভাবে তা নিজেরাই সারিয়ে ফেলে ব্যবহার করা যায়।

9 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন