২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার

ভোলার সন্তান রাজীব মীর আর নেই

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০২:১৮ অপরাহ্ণ, ২১ জুলাই ২০১৮

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সাবেক সহযোগী অধ্যাপক রাজীব মীর আর নেই। ভারতের চেন্নাইয়ের গ্লোবাল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার দিনগত রাত দেড়টার দিকে মারা যান তিনি (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

বন্ধু ও সাবেক সহকর্মী জবির সহকারী প্রক্টর মোস্তফা কামাল সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন। একই কথা জানিয়েছেন রাজীব মীরের শুভাকাঙ্ক্ষী ও জবির ইংরেজি বিভা‌গের শিক্ষক নাসির উদ্দিন।

তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আগামীকাল রোববার চেন্নাই থেকে রাজীবের মরদেহ ‌দেশে আনা হবে। প্রথম জানাজা হবে ঢাকা বিশ্ব‌বিদ্যাল‌য়ে। পরে ভোলার নিজ গ্রামে তাকে দাফন করা হবে।’

মৃত্যুকালে রাজীব মীরের বয়স হয়েছিল ৪৩ বছর। তিনি মা-বাবা, বোন, স্ত্রী সুমনা খান ও ১৪ মাস বয়সী একমাত্র মেয়ে বিভোরসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

মরহুমের পরিবার সূত্রে জানা গেছে- দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকা রাজীব মীর গত ১৭ জুলাই রাতে চেন্নাইয়ের হাসপাতালটিতে স্ট্রোক করেন। এরপর তাকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয় তাকে।

স্ট্রোক করার পরপরই চিকিৎসকরা রাজীব মীরকে ক্লিনিক্যালি ডেড ঘোষণা করেন। তবে পরিবারের অনুরোধে তাকে লাইফ সাপোর্ট রাখা হয়। শুক্রবার দিনগত রাত দেড়টার পরে লাইফ সাপোর্ট খুলে দেয়া হয়।

রাজীব মীর লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত ছিলেন। চলতি সপ্তাহে তার অপারেশন ও লিভার পরিবর্তনের কথা ছিল। চিকিৎসার জন্য প্রায় ৯০ লাখ টাকা লাগবে বলে চিকিৎসকেরা জানিয়েছিলেন। এরপর বন্ধু, পরিবার ও দেশ-বিদেশের শুভাকাঙ্ক্ষীরা তার জন্য বিপুল পরিমাণ অর্থ সহায়তা দিয়েছিলেন। কিন্তু, শেষ পর্যন্ত তাকে বাঁচানো গেল না।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দেয়ার আগে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চেয়ারপারসন ছিলেন রাজীব মীর।

বিভাগের এক শিক্ষার্থীর অভিযোগে ভিত্তিতে গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের পর গতবছর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ রাজীব মীরকে চাকরিচ্যুত করে। পরে এর বিরুদ্ধে তিনি হাইকোর্টে রিট করেন।

আদালত বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে চার সপ্তাহের মধ্যে কারণ দর্শাতে বললেও এখন পর্যন্ত তারা এর জবাব দেননি। রাজীব মীর নিরুপায় হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর রাষ্ট্রপতির কাছেও চাকরি ফিরে পাওয়ার আবেদন করেন।

রাজীব মীরের ভালো নাম মীর মোশারেফ হোসেন। তিনি ১৯৭৬ সালে ভোলা জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের স্নাতকোত্তর রাজীব মীর নিয়মিত লেখালেখি করতেন।

তার প্রকাশিত বইগুলোর মধ্যে কাব্যগ্রন্থ ‘প্রেমে পড়েছে পাথর’, ‘মুক্তিযুদ্ধের কিশোর ইতিহাস: ভোলা জেলা’, জেন্ডার সাংবাদিকতা, মুক্তির ভাষা, সংবাদপত্রে শাহবাগ, তোমার জন্য লিখি অন্যতম।’

7 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন