বিএনপি নেতা মওদুদ আহমেদের বক্তব্যের কঠোর সমালোচনা করে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন- খালেদা জিয়া জেলে থাকলে যদি বিএনপি’র জনপ্রিয়তা বাড়ে তাহলে তাকে জেলে রেখেই নির্বাচনে আসুন। জেলে থাকলে যদি আওয়ামী লীগের ভোট কমে- তাহলে তাকে জেলেই রেখে দিন। কিন্তু একজন শিক্ষিত লোকের এমন কথা মানায় না।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে অংশগ্রহণমূলক। সে নির্বাচনে সকলের অংশগ্রহণ করবে, যারা করবে না তারা ক্ষতিগ্রস্থ হবে।
শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ন্যাশনাল সার্ভিসের কর্মসূচির সুবিধা ভোগীদের সনদ বিতরণ, জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহের উদ্বোধন এবং প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের মাঝে ল্যাপটপ বিতরণকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।’
মন্ত্রী আরও বলেন- ২০১৮ সালে ডিসেম্বরে সংবিধান অনুসারে বর্তমান ক্ষমতাসীন দলের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সকল দল এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক এটাই আমাদের প্রত্যাশা। এবং এ নির্বাচন হবে অবাধ, সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ।
তোফায়েল আহমেদ বলেনছেন, বেকার সমস্যা সমাধানের জন্য ন্যাশনাল সার্ভিস কর্মসূচি চালু করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি স্বপ্ন দেখেন তিনি দেশের জন্য জীবন উৎসর্গ করেছেন। কিন্তু বিএনপি ২০০৪ সালে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা প্রধানমন্ত্রীকে হত্যা করার চেষ্টা করেছিলো। ২০০৫ সালের ১৭ আগস্ট চালিয়ে সকল জেলায় বোমা মেরে ছিলো, গাছের সাথে লটকিয়ে মানুষের ওপর নির্মম নির্যাতন করেছিলো। আবদুর রহমান বাংলাভাইসহ দেশের জঙ্গি তৎপরাতা নির্মূল করেছি।’
মন্ত্রী বলেন- বাংলাদেশ উজ্জল সম্ভাবনার দেশ, এক সময় এ দেশেকে তলাবিহীন ঝুলি বলা হতো। এখন তারাই বলে বাংলাদেশ বিস্ময়কর উত্থ্যান হয়েছে। সকল দিক থেকে আজকে বাংলাদেশের পেছনে পাকিস্তান। তাদের থেকে রপ্তানি, রিজার্ভ এবং রেমিটেন্স এবং বিদ্যুৎ উৎপাদন অনেক বেশি। এখন আমরা স্বল্প উন্নত দেশ হলেও অচিরেই উন্নতশীল দেশে রুপান্তিত হতে চলেছি। যখন দেশের জনসংখ্য সাড়ে সাত কোটি ছিলো তখন খাদ্যের অভাব ছিলো কিন্তু এখন ১৬ কোটির বেশী হলেও খাদ্য উদ্বৃত।
তিনি আরও বলেন- বিএনপি’র আমলে ভোলায় কোন উন্নয়ন হয়নি, আমারা নদী ভাঙন বন্ধ করেছি, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌছে দিয়েছি। এবং নির্বাচনের আগেই ভোলা-বরিশাল ব্রীজ নির্মাণের কাজ শুরু হবে। গ্রামীণ অবকাঠামোর কাজ চলছে। ভোলায় অনেক শিল্প প্রতিষ্ঠান হবে এবং দেশের মধ্যে মডেল জেলা পরিনত হবে। ইতিমধ্যে জেলার গ্রামগুলো শহরে পরিনত হয়েছে।
সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মৃধা মোজাহিদুল ইসলামের সভাপতিত্ব বিশেষ অতিথি’র বক্তব্য রাখেন- জেলা প্রশাসক মো. সেলিম উদ্দিন, উপজলো পরিষদের চেয়ারম্যান মোশারেফ হোসেন, ভাইস চেয়ারম্যান মো: ইউনুস।
উপস্থিত ছিলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মইনুল হোসেন বিপ্লব।’
অনুষ্ঠানে শেষে বাণিজ্যমন্ত্রী সেতু মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ কর্মকর্তাদের নিয়ে ভোলা বরিশাল সেতুর স্থান পরিদর্শন করেন।’
শিরোনামOther