পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় এসএসসি ব্যবহারিক পরীক্ষার নামে লাখ লাখ টাকা উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে। পৌরশহরের তিনটি স্কুলসহ উপজেলার বিভিন্ন স্কুলের শত শত শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে এ অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে- এ উপজেলায় স্কুল পর্যায়ে ১ হাজার ৮১৯, দাখিলে ৭৩০ এবং ভোকেশনালে ১৭৯ জন শিক্ষার্থী এ বছর এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে।
স্কুলগুলোর মধ্যে খেপুপাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়, খেপুপাড়া বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মহিপুর কো-অপ্ট মাধ্যমিক বিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ফাতেমা হাই মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও হাজীপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের তুলনায় বেশী। এসকল প্রতিষ্ঠানগুলো উপজেলার মান সম্পন্ন প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিত।
এসব প্রতিষ্ঠানে বার্ষিক আয়ের পরিমানও বেশী। অথচ এসব প্রতিষ্ঠানও শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ব্যবহারিক পরীক্ষার নাম করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এ ব্যাপারে শিক্ষার্থীরা জানায়, তাদের ফরম পূরণের সময় তাদের কাছ থেকে বোর্ড ফি ছাড়াও অতিরিক্ত টাকা নেয়া হয়। এসময় কেন্দ্র ফিসহ ব্যবহারিক পরীক্ষার ফি ও নেয়া হয়েছে।
অথচ পুনরায় একাধিক বিষয়ে ব্যবহারিক পরীক্ষার ফি’র নামে বিজ্ঞান বিভাগে ৯০০ মানবিকে ৬০০ ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখায় ৬০০ টাকা করে আদায় করা হয়েছে। শিক্ষার্থীরা আরও জানান, পত্রিকায় তাদের নাম প্রকাশ করা হলে স্যারেরা আক্রোশমূলক তাদের ব্যবহারিক পরীক্ষায় ফেল করিয়ে দেবে কিংবা নাম্বার কম দেবে।
এ ব্যাপারে খেপুপাড়া মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আবদুর রহিম জানান, তার স্কুলে ব্যবহারিক পরীক্ষার কোন ফি নেয়া হচ্ছে না। কেউ অভিযোগ করলে সে হয়তো না জেনে অভিযোগ করেছে।
খেপুপাড়া বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. অনোয়ার হোসেন জানান, আমার ছেলে এবার এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছে, তাই তিনি কোন দায়িত্বে নেই। এ বিষয়ে তিনিও কিছু জানেন না। তবে শুনেছেন কোন কোন স্কুল বিভিন্ন অংকে ব্যবহারিক পরীক্ষার টাকা তুলেছেন।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শহিদ হোসেন জানান- ফরম পুরনের সময় ব্যবহারিক পরীক্ষার ফি নিয়ে থাকলে পুনরায় নেয়ার কথা নয়, কেউ যদি আদায় করে থাকে সেই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন বলে তিনি উল্লেখ করেন।’’
শিরোনামOther