পিরোজপুরের ইন্দুরকানী উপজেলায় চাচা-ভাতিজা দুই গ্রুপের সংঘর্ষে সাবেক উপজেলা ভাইস-চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যসহ উভয় পক্ষের ১৫ জন আহত হয়েছেন।
গুরুতর আহতদের খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় ভাতিজা গ্রুপের রানা গাজী বাদী হয়ে ইন্দুরকানী থানায় মামলা করেন। এ মামলায় শনিবার চাচা ছালাম গাজীকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ।
স্থানীয় ও থানা সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার সন্ধ্যায় উপজেলার গাবগাছিয়া গ্রামে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে চাচা ছালাম গাজী ও তার ছেলে মিল্টন গাজী, লিটন গাজী, স্বপন গাজী ও নিক্সস গাজী গ্রুপের ওপর ভাতিজা ফারুক গাজী গ্রুপের লোকজন হামলা চালায়।
প্রতিরোধে চাচা ছালাম গাজী গ্রুপের লোকজন ভাতিজা গ্রুপের ওপর পাল্টা হামলা চালায়। এ সময় উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়ায়। হামলার খবর শুনে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ফয়সাল মোর্সেদ কিসলু গাজী পুলিশকে খবর দিলে পুলিশের সামনেই মিল্টন গাজী তাকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে।
হামলায় ফারুক গাজী, এলিজা বেগম, নাদিরা বেগম, সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আ. খালেক গাজী, নাঈম গাজী, মোনাফসের হাওলাদার, পথচারী রফিকুল ইসলাম অপর পক্ষের নিক্সন গাজী, স্বপন গাজী, জাফর গাজী, রাফি গাজীসহ ১৫ জন আহত হয়।
পরে গুরুতর আহত ইউপি সদস্য ফয়সাল মোর্সেদ কিসলু গাজী, ফারুক গাজী নিক্সন গাজী, স্বপন গাজী, জাফর গাজী, রাফি গাজীকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ইন্দুরকানী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাসির উদ্দিন বরিশালটাইমসকে জানান, জমি সংক্রান্ত বিরোধে সংঘর্ষের ঘটনায় ৬ জনকে আসামি করে মামলায় হয়েছে। এ ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
Other