১৯শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রবিবার

খুলে দেয়া হলো চুরির অভিযোগে বন্ধ হওয়া খলিলের মাংসের দোকান

বরিশালটাইমস, ডেস্ক

প্রকাশিত: ০৭:১৭ অপরাহ্ণ, ০৬ মে ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল: একাধিক গরু চুরির অভিযোগে বরিশাল সদর উপজেলার তালুকদারহাট এলাকার খলিল হাওলাদার নামের এক ব্যক্তির মাংসের দোকানে দুই মাস আগে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছিলেন এক ইউপি সদস্য। গতকাল রোববার (৫ মে) সন্ধ্যায় স্থানীয় কয়েক ব্যক্তি ওই দোকানের তালা খুলে দিয়ে খলিলকে বুঝিয়ে দেয়।

সোমবার (৬ মে) বিষয়টি নিশ্চিত করে দোকানমালিক খলিল হাওলাদারের ছেলে রায়হান হাওলাদার বলেন, ‘স্থানীয় কয়েক ব্যক্তি গতকাল সন্ধ্যায় দোকানের তালা খুলে দেন এবং আমাদের তা বুঝিয়ে দেন। আগামী শুক্রবার থেকে দোকানে আবার মাংস বিক্রি শুরু করব।’

স্থানীয়রা জানায়, সদর উপজেলার চাঁদপুরা ইউনিয়নের তালুকদারহাটে বেশ কয়েক বছর ধরে গরুর মাংস বিক্রি করেন বাকেরগঞ্জ উপজেলার চরাদি ইউনিয়নের হলতা গ্রামের খলিল হাওলাদার। কিন্তু চাঁদপুরা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি কে এম মাজহারুল ইসলাম গত ৫ রমজানের দিন গরু চুরির অভিযোগ তুলে খলিলের মালিকানাধীন ‘খলিল মিট হাউস’ নামে দোকানটি বন্ধ করে দেন। একই সঙ্গে খলিল এলাকায় দোকান করতে পারবেন না বলেও নির্দেশ দেন।

খলিল অভিযোগ করেন, ‘ইউপি সদস্য মাজহারুল আমাকে চুরির অপবাদ দিয়ে দোকানে তালা দিয়ে আমার কাছে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেছিলেন। টাকা দিলে দোকানদারি করতে পারব, অন্যথায় এই বাজারে দোকানদারি করতে পারব না বলে আমাকে শাসিয়েছিলেন। কিন্তু এত টাকা দেয়ার সক্ষমতা আমার নেই। আমার পরিবারে আটজন সদস্য। এত বড় সংসার আমার একার উপার্জনে চলে। দোকান বন্ধ করে দেয়ার পর অসহায় হয়ে পড়ি।’

ইউপি সদস্য মাজাহারুল ইসলাম বলেন, খলিল একজন গরুচোর। তিনি কয়েক দিন আগে চুরি করা ৮টি গরুসহ পুলিশের হাতে ধরা পড়ে কারাগারে ছিলেন। দেড় বছর আগে তার (মাজহারুল) একটি গরু খলিল চুরি করেন। এ নিয়ে থানায় ওই সময় সাধারণ ডায়েরিও (জিডি) করেছিলেন তিনি। এ ছাড়া এলাকার আরও চারটি গরু তিনি চুরি করেছেন বলে নানা মাধ্যমে অভিযোগ রয়েছে।

মাজাহারুল আরও বলেন, ‘আমি খলিলের কাছে কোনো টাকা দাবি করিনি। গতকাল সন্ধ্যায় স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিরা দোকানটি খুলে দিয়েছে। কী আর করার? এলাকার মানুষ যদি মানতে পারে, তাহলে আমার তো আপত্তি করার কিছু নেই।’

এ বিষয়ে চাঁদপুরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জাহিদ হোসেন বলেন, গরু চুরি মামলায় মাসখানেক আগে খলিলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ওই সময় স্থানীয় মেম্বার তার দোকানে তালা ঝুলিয়ে দেয়। সম্প্রতি সে জামিনে বের হয়ে তার কিছু ক্ষমতাবান লোকজন এনে দোকান খুলেছে। তার বিরুদ্ধে গরু চুরির একাধিক অভিযোগ রয়েছে। আসন্ন উপজেলা নির্বাচন সম্পন্ন হলে এই বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।

64 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন