পিরোজপুরে নাশকতার পরিকল্পনার আশঙ্কায় বিএনপি ও এর অংঙ্গ সংগঠনের ১২ নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ।
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে জিয়া অরফানেজ ট্রাষ্ট দুর্নীতি মামলার রায়কে সামনে রেখে ৮ ফেব্রুয়ারি আটক করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (০৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা থেকে বুধবার দুপুর পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করা হয়েছে।
পিরোজপুর জেলা ডিএসবির অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোবাশ্বর হোসেন বরিশালটাইমসকে এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাষ্ট দুর্নীতি মামলার রায়কে ঘিরে নাশকতা সৃষ্টির পরিকল্পনা নেয়াসহ বিভিন্ন মামলা থাকায় তাদেরকে আটক করা হয়েছে।
জেলার বিভিন্ন থানায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে- আটকদের মধ্যে ইন্দুরকানীতে বিএনপি কর্মী আব্দুল খালেক, ভান্ডারিয়ায় ছাত্রদল কর্মী সোহাগ মুন্সি, মেহেদী হাচান বাপ্পি ও সুমন, মঠবাড়িয়ায় সাফা ইউনিয়ন যুবদলের সাংগঠানিক সম্পাদক মিজানুর রহমান, নেছরাবাদে ছাত্রদল কর্মী পলাশ, নাজিরপুরে ৮ নম্বর শ্রীরামকাঠী ইউনিয়নের বিএনপি সভাপতি মোতাহার হোসেন মোল্লা, শ্রমিকদলের সভাপতি মাইনুল ইসলাম মিন্টু, শ্রীরামকাঠী ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপি সভাপতি সামছুল হক হাওলাদার ও ৪ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক সহিদুল ইসলাম এবং পিরোজপুর সদর থানায় ২ জনকে আটক করা হয়েছে।
এছাড়া এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত জেলার কাউখালী থানায় কাউকে আটকের খবর পাওয়া যায়নি।
এদিকে রায়কে ঘিরে জেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে আইন শৃংক্ষলা রক্ষাকারী বাহিনী। যেকোন ধরনের নাশকতা ঠেকাতে পুলিশ তৎপর রয়েছে।
এদিকে- পুলিশের হাতে গ্রেফতার এড়াতে বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীদের অনেকে গা-ঢাকা দিয়েছেন।
বাসাবাড়িতে তল্লাশি চালানোর কারনে গ্রেফতার আতঙ্কে রাতে নিজ বাসাবাড়িতে অবস্থান করছেন না দলের অধিকাংশ নেতাকর্মী।
আবার নেতাকর্মীদের কেউ কেউ গত দুদিন ধরে আতঙ্কের মধ্যে রাস্তাঘাট কিংবা হাট বাজারে কৌশলে চলাফেরা করছেন।
পিরোজপুর জেলা বিএনপির সভাপতি গাজী নুরুজ্জামান বাবুল বরিশালটাইমসকে অভিযোগ করে বলেন, রায়কে কেন্দ্র করে দেশব্যাপী আটকের নামে দলের নেতাকর্মীদের অহেতুক হয়রানি করা হচ্ছে।’
শিরোনামOther