বরগুনার পাথরঘাটায় প্রেমের প্রস্তাবসহ নানা কুপ্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় শাকিল আহম্মেদ (১৮) নামের এক বখাটে মাদ্রাসায় প্রবেশ করে ৭ম শ্রেণির এক ছাত্রীকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার (০৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল পৌনে ৯ টার দিকে উপজেলার সদর ইউনিয়নের হাড়িটানা ছালেহিয়া দাখিল মাদ্রাসায় এ ঘটনা ঘটে।
এ ব্যাপারে মাদ্রাসা ছাত্রীর দাদা মো. সিদ্দিক ফকির বিচার চেয়ে পাথরঘাটা থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান বিচার করবে বলে জানিয়েছেন। বখাটে শাকিল আহম্মেদ একই উপজেলার চরদুয়ানী ইউনিয়নের জ্ঞানপাড়া গ্রামের জামাল হোসেনের ছেলে।
খোঁজখবর নিয়ে জানা গেছে- বেশ কিছু দিন ধরে শাকিলসহ তার কিছু বন্ধু মিলে পথে-ঘাটে নির্যাতিতা মেয়েটিকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। এ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় বখাটে শাকিল আজ সকালে মাদ্রাসায় প্রবেশ করে মেয়েটিকে চর থাপ্পর মারে। এসময় মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা ধাওয়া করলে শাকিল পালিয়ে যায়। বিষয়টি তাৎক্ষণিক মাদ্রাসা শিক্ষকদের জানানো হয়েছে।
হাড়িটানা ছালেহিয়া দাখিল মাদ্রাসায় সুপার মো. রুহুল আমিন বরিশালটাইমসকে বলেন, ঘটনার সময় আমি মাদরাসায় ছিলাম না। আমি এসে শুনেছি। ওই ছাত্রীর দাদাকে ডেকে আইনের মাধ্যমে ব্যাবস্থা নেয়ার কথা বলা হয়েছে। তবে ওই ছাত্রীকে তার অনমনীয়তা ও সাহসিকতার জন্য ধন্যবাদ প্রদান করা হযেছে, সকল ছাত্রীরা তখন উপস্থিত ছিল। লঞ্ছিত ওই ছাত্রী মেধাবী ও পঞ্চম শ্রেণীর পরিক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়ে পাশ করেছে।
পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তদন্ত মো. নজরুল ইসলাম বরিশালটাইমসকে বলেন, মেয়েটির দাদা মো. সিদ্দিক ফকির বাদি হয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
এদিকে পাথরঘাটা সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আসাদুজ্জামান আসাদ সোমবার বিকালে বরিশালটাইমসকে বলেছেন, থানায় একটি অভিযোগ ভিক্টিম পক্ষ দাখিল করেছে বটে; এতিম এবং অতিদরিদ্র ওই শিশু শিক্ষার্থীর নির্যাতনের বিচার আমি উপস্থিত থেকে সামাজিক ভাবে করে দেব।’
শিরোনামOther