ইয়াবাসহ এক যুবককে গ্রেপ্তারের পর তার অভিভাবকের কাছ থেকে ঘুষ নেওয়ার বিষয়টি জনপ্রিয় বরিশালটাইমস পত্রিকায় প্রকাশের পরে সেই টাকা ফেরত দিলেন বরিশালের উজিরপুর থানার সহকারী উপ পরিদর্শক (এএসআই) আমিনুল ইসলাম। শুক্রবার রাতে সংবাদ প্রকাশের পরপরই ওই রাতেই টাকা ফেরত দেন।
গ্রেপ্তার হওয়া যুবক হলন- উজিরপুরের মুন্ডুপাশা গ্রামের মৃত মোশারফ খানের পুত্র শামিম খান (৩০)। উজিরপুর থানার এএসআই আমিনুল ইসলাম বৃহস্পতিবার রাতে শিকারপুর এলাকা থেকে শামিমকে আটক করেছিলেন।
এদিকে বিষয়টি জেনে বরিশালের পুলিশ সুপার মো. সাইফুল ইসলাম ঘটনা তদন্তের জন্য দায়িত্ব দেন গৌরনদী সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. আকরামুল হাসানকে। শনিবার (১৭ মার্চ) আকরামুল হাসান উজিরপুর সরেজমিনে গিয়ে তদন্ত শেষে বলেন- প্রাথমিকভাবে সহকারি উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আমিনুলের বিরুদ্ধে ওই অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। আরও তদন্ত শেষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
শামীমের মা রেবা বেগম (৪৭) বলেন, ছেলেকে আটকের খবর পেয়ে তিনি থানায় গেলে এএসআই আমিনুল ইসলাম তাকে জানান ৫০ পিস ইয়াবা উদ্ধারের মামলা হলে শামীমের ১৪ বছর জেল খাটতে হবে। ১১ পিস ইয়াবা দিয়ে চালান দিলে সহজেই আদালত থেকে জামিন পাওয়া যাবে। তবে এ জন্য তাকে (এএসআই আমিনুল) ৫০ হাজার টাকা দিতে হবে। তার কাছে টাকা নেই জানালে আমিনুল ইসলাম বিষয়টি গোপন রাখার শর্তে তার (এসএসআই) ব্যবহৃত মুঠোফোন নম্বরে (০১৭১০-৭৮৮৯৭৫) বিকাশের মাধ্যমে টাকা পাঠাতে বলেন। পরে সুদে পাঁচ হাজার টাকা এনে ওই বন্দরের রুবেল মিয়ার বিকাশের দোকান থেকে এএসআই আমিনুলের নম্বরে পাঠিয়ে দেন।
তবে বিকাশে ঘুষ নেয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে এএসআই আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘শামীম একজন মাদক ব্যবসায়ী। শিকারপুর ইউনিয়নের মুন্ডপাশা গ্রামের কাজী রিয়াজের কছে আমি পাঁচ হাজার টাকা পেতাম। শুক্রবার বিকাশে সে ওই টাকা পাঠিয়েছে। এটা ঘুষের টাকা নয়’।
উজিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শিশির কুমার পাল বলেন, শামিমের কাছ থেকে ১১ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে। এএসআই আমিনুল ইসলাম শামিমের মায়ের কাছ থেকে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ তিনি শুনেছেন। তবে কেউ তার কাছে এ ব্যাপারে অভিযোগ করেননি।
এদিকে উজিরপুর থানার দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, শুক্রবার রাতেই ওসি শিশির পালের মধ্যস্থতায় এএসআই আমিনুল অভিযোগকারী রেবা বেগমের বাড়িতে গিয়ে টাকা ফেরত দিয়ে আসেন।”
Other