বরিশালে শিক্ষাবর্ষের শুরুতেই বিধি-নিষেধ লঙ্ঘন করে অতি মুনাফালোভী কিছু অসাধু ব্যবসায়ী নিম্ন মাধ্যমিক ও প্রাথমিক পর্যায়ের নিষিদ্ধ নোট ও গাইড বইয়ের জমজমাট ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে বলে খবর পাওয়া গেছে। এতে প্রকৃত শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা।
অন্যদিকে অভিভাবকরা হচ্ছেন আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। এ সুবাদে এক শ্রেণির অসাধু শিক্ষক-নেতা ও শিক্ষক হাতিয়ে নিচ্ছেন লাখ লাখ টাকা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে- সরকার দেশের শিক্ষার হার বৃদ্ধি এবং অভিভাবকদের ব্যয় কমানোর জন্য মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত বিনামূল্যে বই সরবরাহ করছে। বছরের প্রথম মাসে শিক্ষার্থীদের হাতে বিনামূল্যে বই পৌঁছে গেছে। কিন্তু অসাধু কিছু লোকের কারণে বিনামূল্যের বইয়ের সুফল বঞ্চিত হয়ে অভিভাবকদের কিনতে হচ্ছে হাজার হাজার টাকার নিষিদ্ধ নোট ও গাইড বই।
সূত্রমতে, বরিশাল মহানগরীর সদর রোড, প্যারারা, হাসপাতাল রোড এবং ১০টি উপজেলার বাজারগুলোতে প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে নিষিদ্ধ নোট ও গাইড বই। শিক্ষাবর্ষের শুরুতে মাঠে নেমে পড়েছে অসাধু প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিনিধিরা। বিভিন্ন প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি করে ওইসব শিক্ষক নেতা নোট ও গাইড বইয়ের কথিত গুণাবলী তুলে ধরেন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রধানের কাছে।
সঙ্গে চুক্তি হয় নির্দিষ্ট হারের কমিশনের। আর এ নিয়ে শিক্ষক নেতা প্রতিষ্ঠান প্রধানের সঙ্গে চলে দরকষাকষি। আর যে বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা যত বেশি ওই বিদ্যালয়ের সঙ্গে আর্থিক চুক্তিও হয় বড় ধরনের।
এ তালিকায় বরিশালের বেশ কয়েকটি নামিদামি বিদ্যালয় শীর্ষে রয়েছে বলে সূত্রটি জানিয়েছে।
এ ব্যাপারে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বরিশাল অঞ্চলের উপ-পরিচালক ড. মোস্তাফিজুর রহমান বরিশালটাইমসকে বলেন- ‘নিষিদ্ধ নোট ও গাইড বইয়ের ব্যাপারে খুলনা মহানগরীর দোকানগুলোতে অভিযান পরিচালনা এবং শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হবে।
একই সঙ্গে উপজেলা থেকে কোনো শিক্ষক নেতা এবং কোনো শিক্ষক সমিতির বিরুদ্ধে নোট ও গাইড বইয়ের প্রচারণার তথ্য পাওয়া গেলে বেতন বন্ধ করে দেওয়া হবে।’’
শিরোনামOther