প্রধানমন্ত্রী আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার আগমনে বাদ্যযন্ত্র, শ্লোগান আর নেতাকমী ও জনতার ঢলে উৎসবের নগরীতে পরিনত হয়েছে বরিশাল। ইতিমধ্যে আজ বৃহস্পতিবার (০৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১ টায় পটুয়াখালীর লেবুখালীতে পৌছেঁছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সেখানে তিনি শেখ হাসিনা সেনানিবাস উদ্বোধনও করেছেন। বিকেল ৩টায় বরিশাল শহরের বঙ্গবন্ধু উদ্যানে তিনি বরিশাল জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় ভাষণ দিবেন।
প্রধানমন্ত্রী জনসভায় সমাবেত হতে সকাল থেকেই মহানগরীসহ বরিশাল বিভাগের সড়ক ও নৌ পথে খন্ড খন্ড মিছিল সহকারে শহরে প্রবেশ করছে। ওই মিছিলে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানিয়ে দেওয়া শ্লোগানে মুখরিত বরিশালের রাজপথ। রয়েছে বিভিন্ন ধরনের বাদ্যযন্ত্রের সুরও।
তবে নিরাপত্তা জনিতকারণে জনসভা মাঠে প্রবেশ করতে দিচ্ছেন না আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। তারা পুরো মাঠটি ঘিরে রেখেছেন।
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ জানিয়েছে, বেলা ১২টা নাগাদ জনসভা মাঠ খুলে দেওয়া হয়েছে।
জনসভাস্থল ঘুরে দেখা গেছে- জনসভা মঞ্চটি নির্মাণ করা হয়েছে নৌকার আদলে। জনসভাস্থল বঙ্গবন্ধু উদ্যানে উন্নয়নের প্রতীক পদ্মা সেতু প্রদর্শনের জন্য প্রায় ৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের দুইটি গর্ডারের ওপর স্থাপন করা হয়েছে প্রতীকী পদ্মা সেতু। বঙ্গবন্ধু উদ্যানের দক্ষিণ পশ্চিম এলাকায় বিশাল অংশজুড়ে এ প্রতিকী সেতুটি স্থাপন করেছে বরিশাল জেলা ও মহাননগর আওয়ামী লীগ।
এ ছাড়া নগরীর বান্দরোডস্থ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত স্টেডিয়াম থেকে বঙ্গবন্ধু উদ্যান পযর্ন্ত প্রায় তিন’শ মিটার সড়কজুড়ে দলীয় নেতাকর্মীরা প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে নির্মাণ করেছে অর্ধশত তোরণ। সড়কের পাশের ও রাস্তার ওপর আঁকা হয়েছে নানা রঙের আলপনা।
জনসভা স্থলের চারদিক সাজানো লাল আর সবুজ ফিতা দিয়ে। দুই পাশের লেকে ভাসানো হয়েছে আওয়ামী লীগের প্রতীক নৌকা। মাঠের চারপাশে রাখা হবে রং বেরঙের নৌকা।
বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট তালুকদার মো. ইউনুস বরিশালটাইমসকে জানান, প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। এখন আমরা অপেক্ষায় আছি তাঁর মঞ্চে ওঠার জন্য।
সমাবেশে আসা নেতাকর্মীদের জন্য সাংস্কৃতিক দলের আয়োজনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হবে।’
শিরোনামOther