বরিশাল ও পিরোপুরের দ্বৈত ভোটারদের বিরুদ্ধে মামলা করার জন্য মাঠপর্যায়ে নির্দেশনা দিয়েছেন নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এই নির্দেশানার কপি চিঠি আকারে স্ব স্ব জেলার নির্বাচন অফিসার ও রেজিস্ট্রেশন অফিসারের কাছে পাঠানো হয়েছে। রোববার নির্বাচন কমিশন সূত্রে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে। তবে নির্বাচন কমিশনের ভারপ্রাপ্ত সচিব হেলালুদ্দীন আহমেদ মামলার নির্দেশ দিয়ে চিঠি পাঠানোর বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন- ‘এটা ভোগাস খবর। এই ধরনের কোনও চিঠি দেওয়া হয়নি বা সিদ্ধান্ত হয়নি। অসৎ উদ্দেশে অনেকে দ্বৈত ভোটার হতে পারেন, এটা অনেক ক্ষেত্রে ঠিক। কিন্তু অনেকে না বুঝে দ্বৈত ভোটার হন।
এ জন্য আমরা যেটা করি, তাহলো প্রথম ভোটারটি রেখে পরেরটি বাদ দিয়ে দেই।’
‘ভোটার তালিকা আইন, ২০০৯-এর-১৮ অনুযায়ী, যদি কোনও ব্যক্তি-(ক) কোনও ভোটার তালিকা প্রণয়ন, পুনঃপরীক্ষণ, সংশোধন বা হালনাগাদকরণ সম্পর্কে; বা (খ) কোনও ভোটার তালিকাতে কোনও অন্তর্ভুক্তি বা উহা হইতে কোনও অন্তর্ভুক্তি কর্তন সম্পর্কে; এমন কোনও লিখিত বর্ণনা বা ঘোষণা প্রদান করেন, যাহা মিথ্যা এবং যাহা তিনি মিথ্যা বলিয়া জানেন বা বিশ্বাস করেন বা সত্য বলিয়া বিশ্বাস করেন না, তাহা হইলে তিনি অনধিক ৬ মাস কারাদণ্ড বা অনধিক দুই হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।’
এদিকে ইসির যুগ্ম-সচিব ও এনআইডি উইংয়ের পরিচালক (অপারেশন্স) এর কাছে পাঠানো আরেকটি চিঠিতে, এই দুই ব্যক্তির প্রথমবারের অন্তর্ভুক্তি বহাল রেখে দ্বিতীয়বারের অন্তর্ভুক্তি বাতিল করার ব্যবস্থা গ্রহণের কথাও বলা হয়েছে। সব উপজেলা/থানা নির্বাচন অফিসার ও রেজিস্ট্রেশন অফিসারের কাছে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়- ছবিসহ ভোটার তালিকা প্রণয়ন কার্যক্রমকালে কিছু ভোটার দ্বৈত ভোটার হিসেবে এএফআইসি ম্যাচিংয়ের মাধ্যমে চিহ্নিত হয়েছে।
এসব চিহ্নিত ভোটার ভিন্ন ভিন্ন হাতের আঙ্গুলের ছাপ ও ভোটারের ব্যক্তিগত তথ্য আংশিক পরিবর্তন করে একই ব্যক্তিকে দু’বার ভোটার হওয়ার বিষয়ে যিনি বা যারা সহযোগিতা করবেন, পরবর্তী সময়ে তা তদন্তে প্রমাণিত হলে তার বা তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থাসহ ফৌজদারি মামলা দায়ের করা হবে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট অফিসারদের সর্বোচ্চ সতর্ক থেকে তাদের অধীন কর্মচারীদেরও এ বিষয়ে জানাতে বলা হয়েছে।
৩১ জানুয়ারি চলতি বছরের চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করার দিন ইসির পক্ষ থেকে জানানো হয়, এবার ২ লাখ ৪ হাজার ৮৩১ জন দ্বৈত ভোটার চিহ্নিত করা হয়েছে।’’
শিরোনামOther