বকেয়া বেতন ও প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকার দাবিতে বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের (বিসিসি) কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সোমবার নবম দিনের মতো কর্মবিরতি পালন করেছেন। ফলে নগর ভবনের অচলবস্থা অব্যাহত রয়েছে। আন্দোলনকারীরা দিনভর নগর ভবনের দোতলায় মেয়র আহসান হাবিব কামালের কক্ষের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেছেন।
কিন্তু এই বিষয়টির সমাধান না করেই মেয়র আহসান হাবিব কামাল নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের একটি সভায় যোগ দিতে আগামীকাল মঙ্গলবার ঢাকায় যাচ্ছেন। ফলে চলতি সপ্তাহেও নগর ভবনের অচলাবস্থার অবসান হচ্ছে না।
সোমবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে এক সাংবাদিক সম্মেলন করে মেয়র কামাল বলেন, এ আন্দোলনের পেছনে অদৃশ্য কোনো শক্তি কাজ করছে। তিনিসহ কাউন্সিলরদের ব্যর্থ প্রমাণ করার উদ্দেশে চলমান উন্নয়ন কাজ বাধাগ্রস্ত করতে অদৃশ্যদের ইন্ধনে কতিপয় কর্মকর্তা-কর্মচারী আন্দোলন করে নগর ভবনকে অচল করে রেখেছে।
মেয়র কামাল আন্দোলনকারীদের দ্রুত কাজে যোগদানের আহ্বান জানিয়ে বলেন- সবার বকেয়া বেতন আগামী জুন মাসের মধ্যে পরিশোধ করা হবে।
এদিকে- আন্দোলনকারীরা বরাবরই অভিযোগ করছেন- রাজস্ব আয়ের টাকায় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন না দিয়ে মেয়র ঠিকাদারদের বিল দিচ্ছেন।
এ অভিযোগ প্রসঙ্গে মেয়র বলেন, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন দেয়ার জন্য তিনি উন্নয়ন খাতের বরাদ্দ থেকে ৬ কোটি টাকা ধার এনেছেন। সংবাদ সম্মেলনে তিন প্যানেল মেয়র ছাড়াও কয়েকজন কাউন্সিলর উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলন চলাকালে নগর ভবনের বাইরে অবস্থান করছিলেন আন্দোলনকারীরা। তাদের একজন নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আনিসুজ্জামান বলেন, বিগত আন্দোলনের সময়ে মেয়র কামাল যেসব প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তা রক্ষা করতে পারেননি।
এবার বকেয়া বেতন না পাওয়া পর্যন্ত কেউ কাজে যোগদান করবেন না।
শিরোনামOther