বার্তা পরিবেশক, অনলাইন :: ভারতে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৫০০ ছাড়িয়েছে। দেশটিতে এই রোগে মারা গেছেন আরও ১০ জন। এছাড়া সুস্থ হয়েছেন আরও ৩৬ জন। এ অবস্থায় মঙ্গলবার স্থানীয় সময় রাত ৮টায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
মঙ্গলবার ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বলছে, দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন মোট ৪৯১ জন এবং মারা গেছেন ১০ জন।
তবে ওয়ার্ল্ডোমিটারের দেয়া লেটেস্ট তথ্য বলছে, দেশটিতে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন আরও ১২ জন। ফলে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫১১তে। আর দেশটিতে করোনায় মৃতের সংখ্যা ১০ জন।
এদিকে করোনা নিয়ন্ত্রণে দিল্লি, পশ্চিমবঙ্গ, চন্ডিগড়, কেরালা, অন্ধ্রপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, হরিয়ানা, গুজরাট,কর্নাটক, আসাম, উত্তরখন্ডসহ ভারতের ৩০টি রাজ্যে লকডাউন ঘোষনা করা হয়েছে।
সোমবার মোদির ডাকে দেশজুড়ে ‘জনতার কারফিউ’ পালিত হওয়ার পরপরই রাজ্য সরকারগুলোর উদ্যোগে চলছে লকডাউন। সাধারণ মানুষজনকে ঘরে আবদ্ধ রাখতেই এই লকডাউনের ঘোষণা করা হয়েছে। এই লকডাউন আদেশ অমান্য করলে জনপ্রতি ১ হাজার রুপি জরিমানা এবং ৬ মাসের কারাদণ্ড দেয়া হবে।
করোনা আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি মহারাষ্ট্রে। এখানে আক্রান্তের সংখ্যা ৯৭। এরপরেই রয়েছে কেরালার স্থান। কেরালায় এ পর্যন্ত ৯৫ জন আক্রান্ত হয়েছে।
করোনার ভাইরাসের সংক্রমণের ফলে সৃষ্ট অভূতপূর্ব পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য প্রচেষ্টা ত্বরান্বিত করে, বিমান পরিবহন মন্ত্রণালয় ঘোষণা করেছে যে ২৫ মার্চ থেকে কোনও অভ্যন্তরীণ যাত্রীবাহী বিমান চলাচল করবে না। গত রোববার থেকে এক সপ্তাহের জন্য আন্তর্জাতিক বিমান নিষিদ্ধ করেছে ভারত।
অন্যদিকে, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় করোনা ভাইরাসের উপসর্গ থাকা লোকজনের চিকিৎসার জন্য রাজ্যের সর্বত্র কোয়ারেন্টাইন সেন্টার প্রস্তুত রাখতে পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন। এজন্য বিভিন্ন বিয়েবাড়ি, কমিউনিটি হল এবং স্টেডিয়াম অধিগ্রহণ করার নির্দেশ দিয়েছেন।
এদিকে, বিভিন্ন এলাকায় মাইকে সতর্কতামূলক প্রচার চালানো সত্ত্বেও রাজ্যে লকডাউন পরিস্থিতি অমান্য করায় ২৫৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ।
সূত্র: পার্স টুডে
Other