২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার

আজ মহা অষ্টমী ও কুমারী পূজা

বরিশালটাইমস, ডেস্ক

প্রকাশিত: ১১:১২ পূর্বাহ্ণ, ০৩ অক্টোবর ২০২২

আজ মহা অষ্টমী ও কুমারী পূজা

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল: আজ মহা অষ্টমী। শারদীয় দুর্গাপূজার সবচেয়ে আকর্ষণীয় এবং জাঁকজমকপূর্ণ দিন আজ। দেবীর সন্ধ্যাপূজা আর কুমারী পূজার মধ্য দিয়ে দিনটি পালন করবে হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা। কুমারী বালিকার মধ্যে শুদ্ধ নারীর রূপ চিন্তা করে তাকে দেবী মনে পূজা করবে ভক্তরা।

পঞ্জিকার তিথি অনুসারে, সূর্য্যোদয় ঘ ৬/০১/১২, সূর্য্যাস্ত ঘ ৫/৫০/১১। পূর্ব্বাহ্ন ঘ ৯/৫৭/৩২। শ্রী শ্রী দূর্গা মহাষ্টমী দিবা ঘ ৪/২৯/০৫ পর্যন্ত শ্রী শ্রী শারদীয়া দুর্গাদেবীর মহাষ্টমী ও মহাষ্টমীবিহিত পূজা প্রশস্তা, পূর্ব্বাহ্ন মধ্যে বীরাষ্টমী ও মহাষ্টমীর ব্রতোপ্রবাস। দিবা ঘ ৪/০৫/৫ অপরাহ্ন ঘ ৪/৫৩/৫ মধ্যে সন্ধিপূজা। দিবা ঘ ৪/০৫/০৫ গতে সন্ধিপূজারম্ভ। দিবা ঘ ৪/২/০৫ গতে বলিদান। অপরাহ্ন দিবা ঘ ৪/৫৩/০৫ মধ্যে সন্ধিপূজা সমাপন।

সব স্ত্রীলোক ভগবতীর এক স্বরূপ। শুদ্ধাত্মা কুমারীতে ভগবতীর বেশি প্রকাশ। সব নারীতে মাতৃত্বরূপ উপলব্ধি করাই কুমারী পূজার প্রধান লক্ষ্য। হিন্দুশাস্ত্র অনুসারে, সাধারণত ১ থেকে ১৩ বছরের অজাতপুষ্প সুলক্ষণা কুমারীকে পূজায় উল্লেখ রয়েছে। ব্রাহ্মণ অবিবাহিত কন্যা অথবা অন্য গোত্রের অবিবাহিত কন্যাকেও পূজা করার বিধান রয়েছে।

 

বয়সভেদে কুমারীর নাম হয় ভিন্ন। শাস্ত্রমতে এক বছর বয়সে সন্ধ্যা, দুইয়ে সরস্বতী, তিনে ত্রিধামূর্তি, চারে কালিকা, পাঁচে সুভগা, ছয়ে উমা, সাতে মালিনী, আটে কুঞ্জিকা, নয়ে অপরাজিতা, দশে কালসর্ন্ধভা, এগারোয় রুদ্রানী, বারোয় ভৈরবী, তেরোয় মহালক্ষ্মী, চৌদ্দয় পীঠনায়িকা, পনেরোয় ক্ষেত্রজ্ঞ এবং ষোল বছরে আম্বিকা বলা হয়ে থাকে। এদিন নির্বাচিত কুমারীকে স্নান করিয়ে নতুন কাপড় পরিয়ে ঘাটে বসানো হয়।

পূজা অর্চনা ও দেবীর পায়ে ভক্তদের অঞ্জলি দানের মধ্য দিয়ে শারদীয় দুর্গোৎসবের মহাসপ্তমী পালিত হয়েছে। বাঙালি হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের পাঁচ দিনব্যাপী সর্ববৃহৎ এ ত্রিনয়নী দেবী দুর্গার পিতৃগৃহে আগমন ও বিদায় উপলক্ষে চুয়াডাঙ্গা জেলায় এবার ১২৩টি পূজা মন্ডপে ব্যাপক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।

সকাল থেকে চন্ডীপাঠে মুখরিত থাকবে সব পূজামন্ডপ। মন্ডপে মন্ডপে চলছে উলুধ্বনি, শঙ্খধ্বনি, ধূপের আরতি আর নানা ব্যঞ্জনার উপকরণ সজ্জা, ঢাকঢোল আর কাঁসরঘণ্টার শব্দে মুখরিত চারদিক। এই পূজাকে আনন্দমুখর করে তুলতে বর্ণাঢ্য প্রস্তুতির পাশাপাশি নেয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

নানা আচার-অনুষ্ঠান শেষে ভক্তরা প্রথম দফায় দুর্গতিনাশিনী দেবী দুর্গার পায়ে পুষ্পাঞ্জলি প্রদান করেন। এর আগে ত্রিনয়নী দেবী দুর্গার তৃতীয় চক্ষুদান করা হয়। পূজা অঞ্জলি শেষে আয়োজন ছিল প্রসাদ বিতরণ ও ভোগ আরতি।

এ বছর চুয়াডাঙ্গা জেলায় ১শ’ ২৩টি মন্ডপের দূর্গোৎসবের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ২৩টি, আলমডাঙ্গায় ৪২টি, দামুড়হুদায় ১৪টি, দর্শনায় ১৮টি ও জীবননগরে ২৬টি।

এদিকে, দুর্গাপূজা উৎসবকে ঘিরে প্রতিটি পূজা মন্ডপে নিজস্ব সেচ্ছাসেবক ছাড়াও পুলিশ ও আনসার বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত থাকবেন। তাছাড়াও সাদা পোশাকে ডিবি, ডিএসবি মাঠে কাজ করবে।

6 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন