২০শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, সোমবার

আমার দিকে আ.লীগ নেতাকর্মীরাই গুলি ছুঁড়েছে: ইশরাক

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৫:০৫ অপরাহ্ণ, ২৬ জানুয়ারি ২০২০

বার্তা পরিবেশক, অনলাইন:: রাজধানীর টিকাটুলী হাটখোলা মোড়ে বিএনপির মেয়রপ্রার্থী ইশরাক হোসেনের নির্বাচনী প্রচারণায় আওয়ামী লীগের হামলার খবর ছড়িয়ে পড়লে দুই পক্ষের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ শুরু হয়। প্রায় পৌনে এক ঘণ্টাব্যাপী চলা সংঘর্ষের সময় দুই পক্ষ ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এ সময় ফাঁকা গুলি ছোঁড়ার শব্দও শোনা যায়।

আজ রোববার দুপুরে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের পর নিজ বাসায় ফিরে হামলার বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে বিএনপি মনোনীত এই মেয়রপ্রার্থী। এসময় ইশরাক হোসেন দাবি করেন, সংঘর্ষের সময় আওয়ামী লীগের নেতাকরর্মীরাই বিএনপি নেতাকর্মীদের লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়েছে। বিনা উস্কানিতে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা হামলা চালিয়ে এখন উল্টো বিএনপির ওপর দোষ চাপাচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

ইশরাক হোসেন বলেন, গণসংযোগ থেকে বাসায় ফেরার পথে তার ওপর হামলা হয়। তার একজন কর্মীকে প্রতিপক্ষ আটকে রাখার অভিযোগ পেলে তিনি এগিয়ে গেলে হামলার মুখে পড়েন। তিনি আরও অভিযোগ করেন, কেবল ইটপাটকেল না, তাদের দিকে গুলিও ছোঁড়া হয়েছে।

সংঘর্ষের সময় ইশরাকের লোকজন গুলি করেছে বলে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে যে অভিযোগ করা হচ্ছে তা জানতে চাওয়া হয় ইশরাকের কাছে। জবাবে বিএনপি মনোনীত মেয়রপ্রার্থী বলেন, ‘আমাদের পক্ষ থেকে কে গুলি করবে? আমাদের তো অস্ত্র থাকতে হবে। এই আমলে কি মনে হয় আমাদের হাতে অস্ত্র আছে? এই আমলে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের হাতেই তো অস্ত্র আছে এটা সবাই জানে। সবাই দেখেছে। এই গুলির আওয়াজ তাই।’

‘আমাদের জনপ্রিয়তায় ভিতু হয়ে তারা (আওয়ামী লীগ) বিনা উস্কানিতে আমাদের ওপর হামলা করেছে। কেন এটা করা হলো? আমরা তো গণসংযোগ করে ফিরছিলাম। আমাদের ওপর ইট নিক্ষেপ করা হলো, চেয়ার মারা হলো, গুলি করা হলো? কেন এসব করা হলো।’

সাদেক হোসেন খোকার ছেলে বলেন, ‘আজকে মতিঝিলে প্রচারণা শেষে বাসায় ফেরার পথে স্থানীয় আওয়ামী লীগের কাউন্সিলর প্রার্থীর কার্যালয়ের পাশের নির্মাণাধীন ভবন থেকে বড় বড় ইট নিক্ষেপ করা হয়। এতে উত্তেজনা শুরু হলে আমি তাদের নিবৃত করার চেষ্টা করি। পরে জানতে পারি একজন কর্মীকে তারা ধরে নিয়ে গেছে। তাকে আনার জন্য আমি যেতে চাইলে অন্য কর্মীরা তাকে নিয়ে আসে। পরে তারা (আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা) আমাদের ওপর হামলা করে। এতে সাংবাদিকসহ এখন পর্যন্ত সাত-আটজন কর্মী আহত হয়েছে বলে জানতে পেরেছি।’

পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে- নির্ধারিত সময়ের আগে প্রচারণায় না নামলে সংঘর্ষের ঘটনা হয়তো ঘটতো না। এ বিষয়ে ইশরাক বলেন, ‘এটা অনেকাংশে মিথ্যা। আমি সকালে মতিঝিলে প্রচারণা করে টিকাটুলি হয়ে বাসায় ফিরছিলাম। এটা কেমন কথা আমি আমার দাদার বাড়ি, পৈত্রিক বাড়িতে ফিরবো তাও কি তাকে বলে আসতে হবে। যে আমি বাড়ি যাই আমার জন্য দাঁড়িয়ে থাকেন।’

এদিকে ইশরাকের প্রচারণায় হামলার ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে উত্তরের বিএনপির মেয়রপ্রার্থী তাবিথ আউয়াল বলেন, ইশরাক হোসেনের ওপর হামলা করে লাভ নেই। কারণ তিনি মুক্তিযোদ্ধার ছেলে। তিনি কোনো কিছু ভয় করেন না।

10 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন