চরকরনজী মাধ্যমিক বিদ্যালয় নিয়ে নতুন ষড়যন্ত্র!
নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল:: বরিশাল সদর উপজেলার সাত নম্বর চরকাউয়া ইউনিয়নের চরকরনজী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে কর্তৃপক্ষকে বেকায়দায় ফেলতে নতুন একটি ছকে অগ্রসর হচ্ছে একটি মহল। এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটিতে শূন্যপদে লোক নিয়োগকে কেন্দ্র করে একটি মোক্ষম ইস্যু তৈরি করার সুযোগ নেওয়ার অপতৎপরতা চলছে। এক্ষেত্রে স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি গোলাম মাহাবুব খান ও প্রধান শিক্ষক রমেশ চন্দ্র দাসকে টার্গেট করা হয়েছে। বুধবার অনুষ্ঠিত নিয়োগ পরীক্ষার আগেই মহলটি পত্র-পত্রিকায় বিতর্কিত সংবাদ প্রকাশের মাধ্যমে তাদের অবস্থান জানান দিয়েছে।
স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি, বিতর্কিত মহলটি ইতিমধ্যে নৈশপ্রহরী পদে মো. ফারুক, অফিস সহায়ক পদে নয়ন এবং পরিচ্ছন্নতাকর্মী পদে হামিদাকে চূড়ান্ত করার একটি ভুয়া খবর মিডিয়াপাড়ায় পৌছে দেয়। কিন্তু এই ধরনের নিয়োগ দেওয়ার কোনো বৈধতা নেই বা এক্ষেত্রে কারও সাথে আপসরফাও হয়নি। এই বিতর্কিত খবরে স্কুল ম্যানেজিং কমিটি পুরোপুরি বিব্রত। তাছাড়া নিয়োগ পরীক্ষাই যেখানে সম্পন্ন হয়নি, সেখানে কী ভাবে এই খবর ছড়িয়ে পড়েছে তা নিয়ে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রশাসনও গতকাল বুধবারে শহরের সদর গালস্ স্কুলে অনুষ্ঠিত পরীক্ষায় বিশেষ নজর রাখে। এবং এটাও নিশ্চিত হয় যে, নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কোনো প্রকার অনিয়ম বা দুর্নীতি হয়নি।
ম্যানেজিং কমিটির সূত্র জানায়, বুধবারের পরীক্ষায় তিনটি পদের অনুকুলে ১০ জন প্রার্থী অংশ নেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেখানে নিরাপত্তাকর্মী পদে তিনজন, অফিস সহায়ক পদে তিনজন এবং পরিচ্ছন্নতাকর্মী পদে ২ জন অংশগ্রহণ করেন। এই পরীক্ষায় শুধু মাত্র অফিস সহায়ক পদে একজন মনোনীত হয়েছেন। এই তথ্য নিশ্চিত করে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মাহাবুব খান জানান, বাকি দুটি পদের একটি পরিচ্ছন্নতা পদে ২ জন অংশ নেওয়ায় সেখানে কাউকে মনোনীত করা যায়নি। এছাড়া নৈশপ্রহরী পদে একজনও পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়নি। বুধবারের ওই নিয়োগ পরীক্ষা পর্যবেক্ষণ করেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বিথিকা সরকার, বরিশাল সদর গালস্ স্কুলের প্রধান শিক্ষক মাহাবুবা বেগম এবং সংশ্লিষ্ট স্কুল কমিটির সভাপতি গোলাম মাহাবুব খানসহ ৫ জন।
এক্ষেত্রে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির প্রশ্ন হচ্ছে, যেখানে পরীক্ষায় হয়নি, সেখানে কী করে বাণিজ্য হয়। এই ভুয়া খবর ছড়িয়ে তাকে দৌড়ের ওপর রাখতে বা চেয়ার ছাড়া করতে বিশেষ ওই মহলটি একের পর এক ষড়যন্ত্রের ছক কষছে। ইতিপূর্বেও মহলটি তাকে বিতর্কিত করতে বেশকিছু উদ্যোগ নিয়ে ব্যর্থ হলেও থেমে নেই। এখানে নিয়োগ পেতে আগ্রহী এমন ব্যক্তিদের কাঙ্খিত পদে আনতে না পেতে পুরো পরীক্ষাকে বিতর্কিত করতে চাইছে।
সেক্ষেত্রে সর্বশেষ মহলটি মিডিয়ার দ্বারস্থও হচ্ছে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বিথিকা সরকার জানান, এই নিয়োগ পরীক্ষায় এদিক ওদিক করার কোনো সুযোগ নেই। নিয়োগ কমিটির উপস্থিতিতে বুধবার পরীক্ষা সম্পন্ন হয়, সেখানে অনৈতিক বা অসুদপায় অবলম্বনের সুযোগ নেই। সুষ্ঠু এবং শান্তিপূর্ণ নিয়োগ পরীক্ষায় অফিস সহায়ক পদে শুধু মাত্র একজন মনোনীত হয়েছেন।’
Other