২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার

জেলেদের জালে ধরা পড়ছে ঝাঁকে ঝাঁকে রুপালি ইলিশ

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১১:৫৪ পূর্বাহ্ণ, ০৩ আগস্ট ২০১৯

ইলিশ শিকারে নিষেধাজ্ঞার টানা ৬৫ দিন পর এবার উপকূলীয় অঞ্চলের জেলেদের মুখে হাসি ফুটেছে। উপকূলীয় বিভিন্ন জেলার নদীতে জাল ফেললেই জেলেদের জালে ধরা পরছে ঝাঁকে ঝাঁকে রুপালি ইলিশ। মহাজন ও বিভিন্ন সূত্র থেকে ঋণ নিয়ে জেলেরা মাছ ধরেন। এ অবস্থায় মাছের দাম ভালো থাকলে ঋণ পরিশোধে এ বছর জেলেদের সমস্যা হবে না বলে মনে করছেন তারা।

দেশের বিভিন্ন স্থানের জেলেরা দীর্ঘ অলস সময় কাটানোর পর এখন ইলিশ আহরণের কর্মযজ্ঞে ব্যস্ত। বৈরী আবহাওয়াকে উপেক্ষা করেও মাছ শিকারে মরিয়া জেলেরা।

বঙ্গোপসাগরে এবার বেশি পরিমাণ ইলিশ ধরা পরায় জেলে এবং মৎস্য ব্যবসায়ীদের দিন কাটছে ব্যস্ততায়। অপরদিকে ইলিশ বেশি পাওয়ায় দামও কমে আসছে, এতে স্বস্তি ফিরেছে ক্রেতাদের মনে।

গত ১২ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত ইলিশ শিকারে নিষেধাজ্ঞা জারি করে। কারণ এ সময়ে গভীর সাগর থেকে নদীর মোহনায় এসে ডিম দেয় মা ইলিশ।

অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরের নিষেধাজ্ঞার পদ্ধতি কিছুটা ভিন্ন ছিল। ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত টানা ৬৫ দিন ইলিশ শিকারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। এ নিয়ে হতাশা আর ক্ষোভে মুখ থুবড়ে পরেছিল জেলেরা।

নিষেধাজ্ঞার পুরো ৬৫ দিনই বেকার সময় পার করতে হয়েছে জেলেদের। জেলেদের দাবি ছিল ডিম দেয়ার সঠিক সময় নির্ধারণ করে ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা কমিয়ে আগের মতো ২২ দিন করার।

জেলেরা জানান, বর্তমানে নদীতে জাল ফেললেই ইলিশ মাছ উঠছে। বিভিন্ন স্থানে নদী ও সাগরের মোহনায় গেলে একেকটি বড় জেলে ট্রলারে প্রতিদিন ১০০-২০০ ইলিশ ধরা পড়ে; যা ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা বিক্রি করা যায়। এভাবে মাছ ধরা পড়ায় মহাজন ও বিভিন্ন সূত্র থেকে নেওয়া ঋণ শোধ করতে জেলেদের সমস্যা হবে না বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

4 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন