২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার

ঝালকাঠির ১০ গ্রামে শীতল পাটির কারিকরদের দরিদ্রতার সাথে সংগ্রাম

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০২:১০ অপরাহ্ণ, ২৮ মার্চ ২০২১

ঝালকাঠির ১০ গ্রামের শীতল পাটির কারিকরদের দরিদ্রতার সাথে সংগ্রাম

মো: নজরুল ইসলাম, ঝালকাঠি:: করোনার এক বছর বন্ধ থাকার পর আসন্ন বৈশাখী মেলা ও গরমের মৌসুমকে কেন্দ্র করে নতুন উদ্যমে শুরু হয়েছে ঝালকাঠির ব্র্যান্ড পণ্য শীতল পাটির বুনন। জেলার দুই উপজেলার দশটি গ্রামে সকাল-সন্ধ্যা চলছে শীতল পাটির কাজ। ইতোমধ্যেই ঝালকাঠির শীতল পাটি সরবরাহ শুরু হয়েছে সারা দেশে। এমনকী ঢাকা ও চট্টগ্রাম হয়ে বিদেশেও যাবে ঝালকাঠির এই কুটির শিল্পের পণ্য।

দেশের কোথাও মেলার আয়োজন না হওয়ায় এবং চাহিদা না থাকায় গত এক বছর করোনা মহামারি সময় সম্পূর্ন বন্ধ ছিলো ঝালকাঠির শীতল পাটির উৎপাদন। দরিদ্র পাটিকররা তাই চরম দারিদ্রতার সাথে সংগ্রম করে খেয়ে না খেয়ে কাটিয়েছে পুরো একটা বছর। তবে করোনার প্রর্দুভাব কিছুটা কমে যাওয়ায় সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন স্থানে শুরু হয়েছে মেলা ও মাহফিল। খুলেছে অভিযাত শিল্প পণ্য বিক্রির প্রতিষ্ঠানও। তার উপর সামনে রয়েছে বৈশাখের নানা আয়োজন। তাই বিক্রয়ের অর্ডার পেতে শুরু করেছে ঝালকাঠির শীতল পাটির কারিগররা। শীতল পাটির শীতল গ্রামে এখন পুরোদমে চলছে বুননের কাজ। সাধরাণত ঘরের নারীরাই নিপূণ হাতে পাটি বুননের কাজ করছেন। আর পুরুষেরা পাটির কাঁচামাল পাইত্রা সংগ্রহ ও বেতি তৈরি এবং বিপণনের কাজ করে থাকেন। ৮’শ টাকা থেকে শুরু করে ৩ হাজার টাকা পর্যন্ত গুনগত মান অনুয়ায়ী এক একটি শীতল পাটি পাইকারী দামে বিক্রি করতে পারছেন কারিগররা। তবে এ পাটি ঢাকা-চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানের মেলা ও বিপণীবিতানে চরা দামে বিক্রি হয়। জেলা শহরের পাইকারী দোকান ছাড়াও বাড়ি বাড়ি এসে পাটির ফড়িয়া আড়দ্দাররা পাইকারী দামে পাটি কিনে সারা দেশে সরবরাহ করছেন। ঢাকা চট্টগ্রাম হয়ে বিদেশেও ঝালকাঠির শীতল পাটির কদর রয়েছে।

এদিকে সরবরাহ শুরু হওয়ায় করোনা বিদ্ধস্ত পাটিকররা এখন নতুন করে আশায় বুক বেঁছেছেন।

ঝালকাঠির জেলার নলছিটি, রাজাপুর এবং জেলা সদরসহ তিন উপজেলার ১০টি গ্রামের ৫’শত পরিবার বংশ পরম পরায় শীতল পাটি বুবনের কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছে।

এ বিষয়ে ঝালকাঠি জেলা প্রশাসক মো: জোহর আলী জানালেন, ঝালকাঠির ব্যান্ড পণ্য শীতল পাটির প্রসারে পাটিকরদের প্রশিক্ষণসহ নানা উদ্যোগ চলছে। তবে করোনার পাটিকরদের লোকশানে পড়ার কথা উল্লেখ করে জেলা প্রশাসক জানালেন, পাটিকরদের বিভিন্ন ভাবে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সহযোগিতা করা হচ্ছে। ঝালকাঠির ব্র্যান্ড পণ্যের প্রজেক্ট হিসেবে শীতল পাটিকে তুলে ধরতে সরকারি ভাবেই ভিভিন্ন প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে বলেও জানান জেলা প্রশাসক।

5 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন