নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল : ২০২৪ সালে অর্থনৈতিকভাবে কভিড-১৯ মহামারির নেতিবাচক প্রভাব আরো কমতে থাকবে। এর ধারাবাহিকতায় এশিয়া ও প্যাসিফিক অঞ্চলের ভোক্তারা নিত্যপণ্যের বাইরে নিজেদের আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী ভ্রমণ ও বিনোদনে হাত খুলে খরচ করবে। ২০২২-২৩ সালে উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে মুদি বাজার তথা নিত্যপণ্য ও জ্বালানির মতো অত্যাবশ্যকীয় জিনিসপত্র কেনার পেছনেই ভোক্তাদের পারিবারিক বাজেটের একটি বড় অংশ চলে গেছে। ফলে নিত্যপণ্যের বাইরে অন্য কিছুর চাহিদা থাকা সত্ত্বেও গ্রাহকদের কেনাকাটায় কাটছাঁট করতে হয়েছে।

‘ইকোনমিক আউটলুক: ব্যালান্সিং প্রাইসেস অ্যান্ড প্রায়োরিটিজ’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এই আশাবাদের কথা জানিয়েছে মাস্টারকার্ড। মাস্টারকার্ড ইকোনমিকস ইনস্টিটিউট (এমইআই) আগামী বছরের জন্য তাদের বার্ষিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদনে বৈশ্বিক অর্থনীতিতে প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাসও দিয়েছে।

প্রতিবেদনে মাস্টারকার্ড বলেছে, এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি চলতি বছরের মতোই আগামী বছরও সামঞ্জস্যপূর্ণ থাকবে বলে প্রত্যাশা করা হয়েছে। যদিও সব জায়গার পরিস্থিতি একই রকম নয়, তবু মোটাদাগে এর কারণ হিসেবে বলা যায়, এ অঞ্চলের অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার অব্যাহত রয়েছে এবং রপ্তানি ও পর্যটনের মতো প্রবৃদ্ধির অন্যতম প্রধান চালিকাশক্তিগুলো মহামারিপূর্ব পর্যায়ের কাছাকাছি পৌঁছেছে।

ফলে এ অঞ্চলের অর্থনৈতিক অবস্থা দিন দিন স্থিতিশীল হয়ে উঠছে।

বিভিন্ন দেশের অর্থনীতি আলাদাভাবে পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, প্রবৃদ্ধি অর্জনের ক্ষেত্রে সমগ্র অঞ্চলে এক ধরনের মিশ্র প্রবণতা রয়েছে। একদিকে সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, ফিলিপাইন, থাইল্যান্ড, তাইওয়ান ও দক্ষিণ কোরিয়ার অর্থনীতির প্রবৃদ্ধিতে ঊর্ধ্বগতি চলছে; অন্যদিকে অস্ট্রেলিয়া, চীন, জাপান ও নিউজিল্যান্ডে অর্থনৈতিক মন্দার আশঙ্কা রয়েছে। এদিকে ভারত ও ইন্দোনেশিয়া ২০২৪ সালেও চলতি বছরের মতোই স্থির থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

মাস্টারকার্ডের এশিয়া প্যাসিফিকের চিফ ইকোনমিস্ট ডেভিড ম্যান বলেন, ২০২৪ সালকে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের একটি বছর হিসেবে ধরা হয়েছে। কেননা আগামী বছর গ্রাহকরা তাদের বাজেটের ভারসাম্য বজায় রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে। প্রতিবেদনের উপাত্ত (ডাটা) অনুযায়ী, পরিস্থিতিভেদে অবস্থার কিছুটা পরিবর্তন থাকলেও মানুষ সব সময়ই ভ্রমণ ও খাবারদাবারের প্রতি আগ্রহী থাকে।

চীনাদের বিদেশ ভ্রমণ বৃদ্ধির ঘটনাই হবে ২০২৪ সালের মূল গল্প। দলগত ভ্রমণের ক্ষেত্রে চীনের অনুমোদনের তালিকায় নতুন নতুন দেশ যুক্ত হবে।