২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার

নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের প্রথম জয়

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৭:২৩ অপরাহ্ণ, ০১ সেপ্টেম্বর ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল >> প্রায় নিখুঁত একটা দিন হতে পারত বাংলাদেশের জন্য। তেমনটা হতে দিলেন না ব্যাটসম্যানরা। ৬১ রান তাড়া করতে নেমেও ৩ উইকেট হারাল বাংলাদেশ। ফলে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে বাংলাদেশের প্রথম জয়টাও দশে দশ পয়েন্ট পেল না।

স্পিনারদের দাপটে মিরপুরে সিরিজের প্রথম ম্যাচে নিউজিল্যান্ডকে ৭ উইকেটে হারিয়ে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল স্বাগতিক দল। জয়টা একরকম অক্লেশেই এসেছে টাইগারদের জন্য।

৩০ বল অক্ষত রেখেই টার্গেটে পৌঁছে যায় মাহমুদুল্লাহর দল।

কার্যত ম্যাচ শেষ হয়ে যায় প্রথমার্ধের পর। নিউজিল্যান্ডের অসহায় আত্মসমর্পণের পর বাংলাদেশের জয় ছিল সময়ের ব্যাপার মাত্র।

সেটা করতে গিয়ে তাল হারান দুই ওপেনার লিটন দাস ও নাঈম শেখ। দুজনই ফেরেন এক রান করে।

সেখান থেকে দলকে টেনে নিরাপত্তার দিকে নিয়ে যায় বহু পরিচিত সাকিব-মুশফিক জুটি। ৩০ রানের জুটি গড়ে বিদায় নেন সাকিব। বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার আউট হন ২৫ রান করে।

বাকি সময়ে আর বিপদ হতে দেননি অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ ও মুশফিকুর রহিম। ৭ উইকেটের জয়ে মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ। মুশফিক ১৬ ও মাহমুদুল্লাহ ১৪ রানে অপরাজিত থাকেন।

এর আগে যেমনটা ভাবা হয়েছিল সেটাই দেখা গেছে মিরপুরে। স্পিন মৃত্যুকূপে বাংলাদেশি বোলারদের সামলাতে পারবে কি না নিউজিল্যান্ডের অনভিজ্ঞ দল, এমনটা শঙ্কায় ছিলেন বিশেষজ্ঞরা।

সত্যি হয় সেই শঙ্কা। নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক টম লেইথাম যতই বলুন প্রস্তুতি নিয়ে এসেছে তার দল, মাঠে দেখা গেল না তার ছিটেফোঁটাও। বাংলাদেশের বিপক্ষে পুরো ধসে যায় ব্ল্যাকক্যাপস ইনিংস।

শুরুটা হয় প্রথম ওভারেই। স্পিন বিষের থলে খোলেন মাহেদী হাসান। ইনিংসের তৃতীয় ডেলিভারিতে কট অ্যান্ড বোল্ড হয়ে ফেরেন রাচিন রাভিন্দ্রা। অভিষিক্ত এই ব্যাটার আউট হন শূন্য রানে।

এরপর মঞ্চে আসেন বিশ্বসেরা সাকিব আল হাসান। তৃতীয় ওভারে উইল ইয়াংকে বোল্ড করেন তিনি। বোল্ড হওয়ার আগে ১১ বলে ৫ রান করেন ইয়াং।

মাহেদী ও সাকিবের পর উৎসবে যোগ দেন নাসুম আহমেদ। চতুর্থ ওভারের তৃতীয় বলে নাসুমকে মারতে গিয়ে ডিপ স্কয়্যার লেগে ধরা পড়েন কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম। দুই বল পরই নিউজিল্যান্ডকে আবার আঘাত করেন নাসুম। শেষ বলে তার ডেলিভারিতে বোল্ড হন টম ব্লান্ডল। ১০ রানের আগে ৪ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকে সফরকারী দল।

দলীয় অর্ধশত পূরণের আগেই দলের অর্ধেক হারায় তারা। ১১তম ওভারের পঞ্চম বলে সাইফউদ্দিনের ডেলিভারিতে নাসুমের হাতে ধরা পড়েন ব্ল্যাকক্যাপ অধিনায়ক টম লেইথাম। ২৫ বলে ১৮ রান করেন লেইথাম।

তারপরও আসা-যাওয়ার মিছিল থামতে দেয়নি বাংলাদেশ। ১২তম ওভারের চতুর্থ বলে সাকিবের হাতে পরাস্ত হন কোল ম্যাককঞ্চি।

নিউজিল্যান্ড এর আগে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৬০ রানে অলআউট হয়েছিল টি-টোয়েন্টিতে। বাংলাদেশের বিপক্ষে সেই রেকর্ড পড়ে বিপদে। ১৩তম ওভারের শেষ বলে সাইফউদ্দিনের ডেলিভারিতে মুশফিকের হাতে ধরা পড়েন ১৭ রান করা হেনরি নিকোলস।

সবাই উইকেট পাবেন আর মুস্তাফিজুর রহমান নিজের প্রিয় মাঠে উইকেটশূন্য থাকবেন তা তো হয় না! ডুগ ব্রেসওয়েল আর আজাজ পাটেলকে তুলে জোড়া আঘাত করেন দ্য ফিজ। নিউজিল্যান্ড তখন নিজেদের সর্বনিম্ন রানে ডুবে যাওয়ার লজ্জার কাছে।

সেটাও পূর্ণ করে দেন মুস্তাফিজ। তার বলে নিউজিল্যান্ডের শেষ ব্যাটসম্যান জ্যাকব ডাফি যখন ফিরছেন তখন দলের রান ৬০।

১৩ রানে ৩ উইকেট নিয়ে সেরা বোলার ছিলেন মুস্তাফিজ। সাকিব, নাসুম ও সাইফউদ্দিন পান ২টি করে উইকেট।

5 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন