৪ঠা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শনিবার

শিরোনাম
বরিশালসহ ৭ জেলার ওপর দিয়ে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের আশঙ্কা ঝালকাঠিতে পারিবারিক বিরোধে বড় ভাইকে পিটিয়ে হত্যা, ছোট ভাই গ্রেপ্তার নাব্যতাসংকটে কীর্তনখোলা, লঞ্চসহ পণ্যবাহী নৌযান ঘাটে ভিড়তে ভোগান্তি উজিরপুরে দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ুয়া শিশুর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স: প্রায় সোয়া কোটি টাকায় সংস্কার কাজে চরম অনিয়ম-দুর্নীতি ট্রেনের ধাক্কায় প্রাণ হারালেন পুলিশ কর্মকর্তা ঝালকাঠিতে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করায় চেয়ারম্যান প্রার্থীকে শোকজ হবিগঞ্জে দুর্ঘটনা: গলাচিপায় একই পরিবারের নিহত চারজনের দাফন সম্পন্ন ভোলায় দেড় হাজার টাকা কেজির নিচে মিলছে না ইলিশ

পুলিশের প্রিজন ভ্যানেই নারী ধর্ষণ!

বরিশালটাইমস, ডেস্ক

প্রকাশিত: ০৪:০১ অপরাহ্ণ, ২১ এপ্রিল ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল: পুলিশের প্রিজন ভ্যানেই এক নারী কয়েদিকে ধর্ষণ করেছে দুই পুরুষ কয়েদি। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের হরিয়ানা রাজ্যের রোহতক জেলায়। এ ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

জানা যায়, নির্যাতিত ওই নারী কয়েদিকে চিকিৎসা করাতে হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছিল পুলিশ। সঙ্গে ছিল আরও দুই পুরুষ কয়েদি। চিকিৎসা সেরে ফেরার সময় ঘটে এ ঘটনা। দুই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা করে তদন্ত শুরু হয়েছে।

ভুক্তভোগীর দাবি, রোহতকের পিজিআইএমএস হাসপাতালে চিকিৎসা চলছিল তার। যার ফলে পুলিশ ভ্যানে করেই হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল তাকে। ভ্যানে তার সঙ্গে ছিলেন আরও ২ পুরুষ কয়েদি।

চিকিৎসার পর ভ্যানে অপেক্ষা করছিলেন তারা। পুলিশ তখন ব্যস্ত ছিল চিকিৎসা সংক্রান্ত কাগজপত্র গোছাতে। এ পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে দুই কয়েদি ঠান্ডা পানীয় খেতে দেয় নারীকে। এর পর অচেতন হয়ে পড়েন মহিলা। সেই সুযোগে গণধর্ষণ করা হয় তাকে।

পুলিশের সূত্র জানা গেছে, গণধর্ষণে অভিযুক্ত ওই দুই কয়েদির নাম মণীশ ও সতীশ। দুজনেই ঝিন্দ জেলার বাসিন্দা। আর মাদক মামলায় ১০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত ওই নির্যাতিত নারী। মানসিক অবসাদের শিকার তিনি। যার জেরে একাধিকবার জেলে আত্মহত্যারও চেষ্টা করেন। বর্তমানে রোহতকের পিজিআইএমএস হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে তার। এদিকে সেই নারীর অভিযোগের ভিত্তিতে শুরু হয়েছে তদন্ত। যদিও এই ঘটনা কবে ঘটেছে তার কোনো তারিখ এফআইআরে দেওয়া হয়নি বলে জানা যাচ্ছে সংবাদমাধ্যম সূত্রে।

যদিও এ ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আসার পর পুলিশের দায়িত্বজ্ঞান নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। প্রশ্ন উঠছে, কোনো পাহারা ছাড়া ভ্যানের মধ্যে কয়েদিদের ছেড়ে দিয়ে কীভাবে চলে যেতে পারে পুলিশ! কয়েদিদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় কতজন পুলিশ ছিলেন তা জানার চেষ্টা চলছে। খতিয়ে দেখা হচ্ছে পুলিশের ভূমিকাও। পুলিশের দাবি, ঘটনার সময় হাসপাতালে কাগজপত্র গোছাচ্ছিলেন তারা।

সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস

80 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন