২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার

বরিশাল-ঢাকা নৌরুট: পদ্মাসেতু চালুর প্রথম দিনেই কমে গেছে লঞ্চযাত্রী

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০১:২৬ পূর্বাহ্ণ, ২৭ জুন ২০২২

বরিশাল-ঢাকা নৌরুট: পদ্মাসেতু চালুর প্রথম দিনেই কমে গেছে লঞ্চযাত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল:: স্বপ্নের পদ্মা সেতু চালুর প্রথম দিনেই প্রভাব পড়েছে বরিশাল-ঢাকা নৌপথে চলাচলকারী যাত্রীবাহী লঞ্চে। রবিবার (২৬ জুন) রাত ৯টায় যাত্রী নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে বরিশাল নৌবন্দর ত্যাগ করা পাঁচটি লঞ্চের বেশিরভাগ কেবিন খালি ছিল। ডেকের যাত্রীও কম ছিল বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

রাজধানী ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া লঞ্চগুলো হলো সুরভী-৭, পারাবত-১২ ও ৯, কুয়াকাটা, এমভি এ্যাডভেঞ্চার-১ ও সুন্দরবন-১১।

এ্যাডভেঞ্চর-১ লঞ্চের ম্যানেজার হুমায়ুন কবির বলেন, ‘আমাদের লঞ্চের ডাবল কেবিন রয়েছে ৫৫টি। যার মধ্যে আটটি ভাড়া হয়েছে, বাকিগুলো খালি ছিল। সিঙ্গেল ৫৫টির মধ্যে বেশিরভাগ খালি ছিল। ভিআইপি চারটি কেবিনের মধ্যে একটি এবং সেমি-ভিআইপি পাঁচটির মধ্যে একটি ভাড়া হয়েছে, বাকিগুলো খালি ছিল। ডেকের যাত্রী তেমন ছিল না।’

হুমায়ুন কবির আরও বলেন, ‘পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় কেউ দেখার জন্য গেছেন, কেউ কেউ সড়কপথে গন্তব্যে গেছেন। এ জন্য যাত্রী সংকট ছিল। তবে এ সমস্যা বেশিদিন থাকবে বলে মনে হয় না।’

সুন্দরবন-১১ লঞ্চের সুপারভাইজার সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের ৩২টি ডাবল কেবিনের সব ভাড়া হয়েছে। সিঙ্গেল ৬১টি কেবিনের মধ্যে খালি ছিল চারটি, ভিআইপি ছয়টি ও সেমি-ভিআইপি পাঁচটি ভাড়া হয়েছে। ৪৪টি সোফার মধ্যে চারটি খালি ছিল। তবে ডেকের যাত্রী প্রতিদিনের চেয়ে কম ছিল। পদ্মা সেতু চালুর কারণে কিছুটা প্রভাব পড়েছে।’

পারাবাত লঞ্চের বরিশালের ব্যবস্থাপক খাজা মোহাম্মদ ইকবাল জানান, তাদের দুটি লঞ্চ রবিবার রাতে বরিশাল থেকে যাত্রী নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে গেছে। পারাবত-১২ লঞ্চে ডাবল ও সিঙ্গেল এবং ভিআইপি মিলিয়ে সর্বমোট কেবিন হচ্ছে ২৪০টি। এর মধ্যে ১১৭টি কেবিন খালি ছিল। পারাবত-৯ লঞ্চে ডাবল ও সিঙ্গেল এবং ভিআইপি মিলিয়ে সর্বমোট কেবিন ১৮৫টি। এর মধ্যে খালি ছিল ১৪১টি। ডেকের যাত্রীও অনেক কম ছিল।

এ ব্যাপারে লঞ্চ মালিক সমিতির কেন্দ্রীয় সিনিয়র সহ-সভাপতি ও সুন্দরবন নেভিগেশনের চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান রিন্টু বলেন, ‘পদ্মা সেতু নিয়ে মানুষের আগ্রহের শেষ নেই। এ কারণে কিছুটা প্রভাব পড়েছে। তবে তা বেশিদিন স্থায়ী হবে না। লঞ্চের যাতায়াত নিরাপদ ও আরামদায়ক হওয়ায় লঞ্চের প্রতি মানুষের আগ্রহ ছিল এবং থাকবে।

তাছাড়া সড়কের চেয়ে নদীপথে পণ্য পরিবহন ব্যয় অর্ধেক হওয়ায় স্বাভাবিক দিনগুলোর মতই পণ্য পেয়েছি। যাত্রীদের যাতায়াত নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন করতে নদীপথ সচল রাখতে হবে।’

8 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন