বাংলাদেশ বিশ্বে একটি শক্তিশালী অর্থনৈতিক দেশ হিসেবে পরিগণিত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল জাহিদ ফারুক।

তিনি বলেন, দশ বছর আগে কেমন ছিলেন আপনারা। তার থেকে ভালো থাকবেন।

শুক্রবার বিকেল ৬টার দিকে জেলা প্রশাসন ও মৌলভীবাজার পৌরসভার আয়োজনে মৌলভীবাজার চাঁদনীঘাট এলাকায় মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনের সামনে বন্যা ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে চাল বিতরণকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, মনু নদীতে ১২৭ মিটারের গাইডওয়াল দেয়া হয়েছে। যাতে শহরে পানি না ঢুকে। মনু নদী প্রকল্পে ১ হাজার ২ কোটি টাকার বাজেট একনেকে পাঠানো হয়েছে। প্রকল্পটি পাস হলে বন্যার সময় আর নদীগর্ভে বাড়িঘর বিলীন হবে না। অতীতের সরকারের আমলে যে কষ্ট পেয়েছেন নদী ভাঙনের কারণে তা আর হবে না।

তিনি বলেন, আমরা বাংলাদেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে ঘুরে বেড়াই। প্রধানমন্ত্রী আমাদেরকে বলেছেন তোমরা বন্যাকবলিত এলাকায় যাও এবং যা যা করা দরকার তা কর।

কর্নেল জাহিদ ফারুক বন্যার্তদের উদ্দেশে প্রশ্ন রেখে বলেন, সামজিক নিরাপত্তাবেষ্টনীর আওতায় ৫৭টি ভাতা প্রদান করা হচ্ছে। তার মধ্যে বিধবা ভাতা, মুক্তিযোদ্ধা ভাতাসহ বিভিন্ন ধরনের ভাতা দেয়া হচ্ছে।

পৌর কাউন্সিলর স্বাগত কিশোর দাশের পরিচালনায় চাল বিতরণে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন মৌলভীবাজার-৩ আসনের সংসদ সদস্য নেছার আহমদ।

এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আজিজুর রহমান, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাহ জালাল, ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক আশরাফুল আলম খান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রনেন্দ্র শংকর চক্রবর্তী, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. কামাল হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মিছবাহুর রহমান, জেলা প্রশাসনের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তারাসহ জেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা।

অনুষ্ঠানে মৌলভীবাজার মনু নদীর তীর সংলগ্ন দুর্যোগ কবলিত এলাকা ও পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের ক্ষতিগ্রস্ত ৩৫০ পরিবারের মাঝে ১০ কেজি করে চাল বিতরণ করা হয়।

পানিসম্পদ মন্ত্রী এসময় মৌলভীবাজার মনু নদীর চাঁদনীঘাট এলাকার গাইড ওয়াল পরিদর্শন করেন। এর আগে মন্ত্রী কদমহাটা এলাকায় মনু নদীর বন্যাকবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন।