২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার

বাবুগঞ্জে প্রধানমন্ত্রীর বসতঘর পেয়ে আনন্দে আত্মহারা ১১০ পরিবার

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৯:৩৯ অপরাহ্ণ, ২৩ জানুয়ারি ২০২১

আরিফ আহমেদ মুন্না একটি মেসে রান্নার কাজ করেন খানপুরা গ্রামের বিধবা হনুফা বেগম। প্রায় ২০ বছর আগে স্বামী মতলেব মারা যাওয়ার পরে অনেক কষ্টে মেস এবং অন্যের বাড়িতে কাজ করে সংসার চালিয়ে আসছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর উপহার জমিসহ বসতঘর পেয়ে আনন্দে কেঁদে ফেলেন বিধবা হনুফা বেগম। ভ্যানচালক বাবুল মিয়াও পেয়েছেন বসতঘর। প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে মাথা গোঁজার ঠাঁই পেয়ে আনন্দে আত্মহারা বাবুল মিয়া।

শুধু হনুফা আর বাবুল নয়, তাদের মতো ঠিকানা পেয়েছেন বাবুগঞ্জ উপজেলার ১১০টি দরিদ্র ভূমিহীন পরিবার। মুজিববর্ষ উপলক্ষে শনিবার প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্প-২’এর আওতায় বাবুগঞ্জ উপজেলার ১১০টি পরিবারের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে জমির দলিলসহ ওই বসতঘর হস্তান্তর করেন উপজেলা চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ সভাপতি কাজী ইমদাদুল হক দুলাল। সকালে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সারাদেশে একযোগে ওই কর্মসূচি উদ্বোধন করেন বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এসময় বাবুগঞ্জ উপজেলা অডিটোরিয়ামে ইউএনও মোঃ আমীনুল ইসলামের সভাপতিত্বে এক আলোচনা ও সুধী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মাহমুল হাসিবের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন প্রধান অতিথি বরিশালের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক গৌতম বাড়ৈ, বাবুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ফারজানা বিনতে ওহাব, ওসি মিজানুর রহমান, পিআইও অয়ন সাহা, রহমতপুর ইউপি চেয়ারম্যান সরোয়ার মাহামুদ, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার শাহ আলম সিকদার, জাতীয় পার্টির সভাপতি মকিতুর রহমান কিসলু, ওয়ার্কার্স পার্টির সম্পাদক শাহিন হোসেন, ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক গোলাম কিবরিয়া প্রমুখ।

ওই সুধী সমাবেশে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে যুদ্ধকালীন বেইজ কমান্ডার বীর প্রতীক রতন আলী শরীফ এবং উপজেলার ৬ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, মুক্তিযোদ্ধা, সাংবাদিক, শিক্ষক, স্বেচ্ছাসেবক এবং বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রয়ন প্রকল্প-২’এর আওতায় কয়েকদফায় যাচাই-বাছাই শেষে বাবুগঞ্জ উপজেলার ১৭০টি দুঃস্থ-অসহায় পরিবারকে বসতঘর প্রদানের জন্য চূড়ান্ত করা হয়। এরমধ্যে নির্মাণকাজ সম্পন্ন হওয়া ১১০টি বসতঘর শনিবার প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করা হয়। বাকি ৬০টি পরিবারকেও অতি দ্রুততার সাথে বসতগৃহ বুঝিয়ে দেওয়া হবে বলে জানান উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোঃ আমীনুল ইসলাম।’

4 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন