১৭ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার

শিক্ষার্থীদের সমকামিতার প্রস্তাব দেওয়া সেই শিক্ষককে অব্যাহতি

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৭:৫০ অপরাহ্ণ, ২৬ মে ২০২২

শিক্ষার্থীদের সমকামিতার প্রস্তাব দেওয়া সেই শিক্ষককে অব্যাহতি

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল:: বরিশাল নগরীর সরকারি একটি শিক্ষপ্রতিষ্ঠানের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের সমকামিতার প্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বরিশাল ইন্সটিটিউট অফ হেলথ টেকনোলজির ফার্মেসি বিভাগের কয়েক ছাত্রকে একই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক মিজানুর রহমান এই প্রস্তাব দেন। এনিয়ে সম্প্রতি স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলোতে সংবাদ প্রকাশ পাওয়ার পরে ওই শিক্ষককে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি তাকে কোয়ার্টার থেকে বের করে দেওয়া হয়। অব্যাহতির এই খবরটি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নিশ্চিত করেছেন ইন্সটিটিউটের অধ্যক্ষ মানস কৃষ্ণ কুণ্ডু।

তবে সমকামিতার প্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ এবং তাকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে সরানোর বিষয়টির নেপথ্যে গভীর ষড়যন্ত্র রয়েছে বলে দাবি করেছেন ইন্সটিটিউটের ফার্মেসি বিভাগের চুক্তিভিত্তিক শিক্ষক মিজানুর রহমান।

সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সূত্রে জানা গেছে- শিক্ষক মিজানুরের বিরুদ্ধে গত বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন এক ছাত্র। এতে বলা হয়Ñ ‘মিজানুর রহমান নানা ভাবে ভয় দেখিয়ে কুপ্রস্তাব ও সমকামিতার প্রস্তাব দিতেন। শুধু ওই ছাত্রকে নয়, এছাড়াও অনেককে অনুরুপ প্রস্তাব দিয়েছেন। বিষয়টি জানাজানি হলেও কলেজের ছাত্রনেতাদের সঙ্গে তার সুসম্পর্ক থাকায় কেউ বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস দেখায়নি।

ওই শিক্ষার্থী জানান, তার সঙ্গে ম্যাসেঞ্জারে কথোপকথনের সময় একাধিকবার তাকে সমকামিতার প্রস্তাব দিয়েছেন শিক্ষক মিজানুর রহমান। এর প্রতিবাদ করলে ড্রাগসহ পুলিশে ধরিয়ে দেওয়ার হুমকিও দেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে দেওয়া অভিযোগপত্রের সঙ্গে ম্যাসেঞ্জারে মিজানুরের কথোপকথনের কয়েকটি স্ক্রিনশটের কপি সংযুক্ত করে দিয়েছেন ওই শিক্ষার্থী। ওই ছাত্রের পর ইন্সটিটিউটের অধ্যক্ষের কাছে মিজানুরের বিরুদ্ধে একই ধরণের আচরণের অভিযোগ অপর এক শিক্ষার্থী।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির অধ্যক্ষ মানস কৃষ্ণ কুণ্ডু জানান, শিক্ষার্থীদের অভিযোগের ভিত্তিতে শিক্ষক মিজানুরকে প্রথমে হোস্টেলের সহকারী সুপারের পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এরপর ইন্সটিটিউট থেকে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হয়। এবং তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ তদন্তে চার সদস্যের একটি কমিটি করা হয়েছে। এই কমিটিকে তদন্ত করে দ্রুতসময়ের মধ্যে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।

তবে অভিযোগসমূহ সমুলে অভিযোগ করে শিক্ষক মিজানুর রহমান বলছেন, তার বিরুদ্ধে একটি বড় ধরণের ষড়যন্ত্র চলছে। শিক্ষকদের একটি অংশ একট্টা হয়ে কয়েকজন শিক্ষার্থীকে ব্যবহার করে তাকে প্রতিষ্ঠান থেকে বিতাড়িত করতে এই কৌশল নিয়েছেন।’

13 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন