২রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বৃহস্পতিবার

মিথ্যা মামলা দিয়ে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে হয়রানির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৭:০৩ অপরাহ্ণ, ২০ জুন ২০১৯

ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাবেক সহকারি কমান্ডার (দপ্তর) আহসান হাবিব ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়েরের প্রতিবাদে তার তৃতীয় পুত্র শফিকুল ইসলাম লিমন সংবাদ সম্মেলন করেছেন। বৃহস্পতিবার দুপুর ১টায় নলছিটি রিপোর্টার্স ইউনিটির অস্থায়ী কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে শফিকুল ইসলাম লিমন বলেন, গত ৩১ মে (শুক্রবার) দুপুর আনুমানিক ১২টার দিকে তার ছোট ভাইয়ের স্ত্রী নুসরাত জাহান ইভা স্বামীর সাথে অভিমান করে বিষপান করে। তাৎক্ষণিকভাবে আমার পরিবারের সদস্যরা প্রতিবেশীদের সহযোগিতায় ইভাকে নলছিটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়। হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে যথাযথ জরুরী চিকিৎসা দিয়ে দুপুর দেড়টায় হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে ৩ জুন পর্যন্ত তার চিকিৎসা চলে। পরবর্তীতে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করলে আমার বাবা-মা এবং ইভার বাবা-মা সেখানে ভর্তি করান। সেখানে তার ৯ জুন পর্যন্ত চিকিৎসা চলার পর সে মোটামুটি সুস্থ্য হয়ে গেলে ইভার চাচা মো. কালাম গাজী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে ইভাকে তার বরিশালের বাসায় নিয়ে যায়। এর কয়েকদিন পর ইভাকে হাসপাতালে পুনরায় ভর্তির খবর পেয়ে আমার বাবা হাসপাতালে গিয়ে ইভাকে না পেয়ে তার চাচা কালাম গাজীর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি অকথ্য ভাষায় গালাগাল দেন। এরপর আমার বাবা ইভার চাচার বাসায় গেলে তারা দেখা করতে না দিয়ে বলেন; ইভা সুস্থ্য হলে দেখা করবেন। ১৪ জুন বিকেলে ইভার চাচী (কালাম গাজীর স্ত্রী) মোবাইলফোনে আমার বাবাকে জানান ইভাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল এবং সে মারা গেছে। খবর শুনে আমার পরিবারের লোকজন শেবাচিম হাসপাতালে ছুটে যায়। কিন্তু সেখানে গিয়ে তাদের দেখা না পাওয়ায় মোবাইলফোনে যোগাযোগ করলে তারা জানান ইভার মরদেহ মেডিকেলের লাশকাটা ঘরে রাখা আছে।

পরদিন উভয় পরিবারের লোকজন বরিশাল থেকে ইভার মরদেহ নলছিটিতে নিয়ে আসে। লাশ আমাদের বাড়িতে দাফন না করে ইভার পরিবারের লোকজন জোর করে তাদের বাড়িতে নিয়ে যায় এবং লাশ নিয়ে যাওয়ার সময় তারা আমাদের বিরুদ্ধে মামলা করার হুমকি দিয়ে যায়।

সংবাদ সম্মেলনে লিমন অভিযোগ করে বলেন, এ ঘটনার পর ইভার পরিবারের লোকজন সত্যকে আড়াল করতে ভুল তথ্য দিয়ে ঝালকাঠি প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে। এরপর গত ১৮ জুন (মঙ্গলবার) আমার বৃদ্ধ পিতা মুক্তিযোদ্ধা আহসান হাবিব, মা জাহানারা বেগম, বড়ভাই সুজন হাওলাদার ও তার স্ত্রী হাসি বেগম ও ইভার স্বামী আমার ছোটভাই তরিকুল ইসলাম লিংকনকে আসামি করে ঝালকাঠির নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেন।

সংবাদ সম্মেলনে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের উপস্থিত সদস্যরা মিথ্যা মামলার হয়রানি থেকে মুক্তি পেতে সাংবাদিকদের সহযোগিতা কামনা করেন।

3 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন