৩০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, মঙ্গলবার

রাতে আদালতের নির্দেশ, ওসি প্রদীপসহ লিয়াকত ও দুলাল ৭ দিনের রিমান্ডে

বরিশাল টাইমস রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১০:৫৫ অপরাহ্ণ, ০৬ আগস্ট ২০২০

বার্তা পরিবেশক অনলাইন:: অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলায় টেকনাফ থানার প্রত্যাহার হওয়া ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পরিদর্শক লিয়াকত আলিসহ তিন আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে ৭ দিনের রিমান্ডে র‌্যাব হেফাজতে পাঠিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (৬ আগস্ট) রাতে কক্সবাজারের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতের বিচারক মো. হেলাল উদ্দিন র‌্যাবের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদনের শুনানি করে ৭ দিন মঞ্জুর করেন। প্রদীপ ও লিয়াকতের সঙ্গে রিমান্ডে পাঠানো হয়েছে এসআই দুলাল রক্ষিতকে।

সাবেক সেনা কর্মকর্তা রাশেদ হত্যার মামলায় আত্মসমর্পণ করা বাকি চার আসামি কনস্টেবল সাফানুর করিম, কামাল হোসেন, আব্দুল্লাহ আল মামুন এবং এএসআই লিটন মিয়াকে দুই দিন জেল গেটে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছেন বিচারক। এছাড়া মামলার বাকি দুই আসামি এসআই টুটুল ও কনস্টেবল মো. মোস্তফা এখনো পলাতক। আদালত তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দিয়েছেন।

উল্লেখ্য, গত ৩১ জুলাই রাত সাড়ে ১০টার দিকে টেকনাফ থেকে কক্সবাজারের দিকে আসার পথে বাহারছড়া শামলাপুর পুলিশ চেকপোস্টে তল্লাশির নামে গাড়ি থেকে নামিয়ে মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খানকে গুলি করে হত্যা করা হয়।

এ ঘটনায় বুধবার (০৫ আগস্ট) টেকনাফ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তামান্না ফারাহর আদালতে ওসি প্রদীপ, মো. লিয়াকতসহ ৯ জনকে অভিযুক্ত করে হত্যা মামলা দায়ের করেন সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস। আদালত বিষয়টি আমলে নিয়ে টেকনাফ থানার ওসিকে এফআইআর হিসেবে রুজু এবং র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নকে (র‌্যাব) তদন্তের নির্দেশ দেন। একই সাথে আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।

গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির ১৪ ঘণ্টা পর চট্টগ্রামের দামপাড়া পুলিশ লাইন হাসপাতাল থেকে পুলিশের কাছে ধরা দিয়ে আত্মসমর্পণ করে টেকনাফ থানার প্রত্যাহারকৃত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ। পরে দুপুর ২টায় প্রদীপ কুমারকে পুলিশ প্রহরায় কক্সবাজারে নিয়ে আসা হয়। বিকেল সোয়া ৫টার দিকে দিকে প্রদীপ কুমারকে বহনকারী পুলিশের গাড়িগুলো কক্সবাজার আদালত প্রাঙ্গণে এসে পৌঁছে। এ সড়কের দুই পাশে শত শত উৎসুক জনতা প্রদীপ কুমারকে দেখতে ভিড় জমায়।

এর আগে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে মামলার প্রধান আসামি ইন্সপেক্টর লিয়াকতসহ ছয় পুলিশ সদস্য আদালতে হাজির হন। পরে প্রদীপ কুমারসহ সাত আসামি টেকনাফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিনের আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন তাদের আইনজীবীরা।

সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. হেলাল উদ্দিন আত্মসমর্পণকারীদের জামিন আবেদন নাকচ করে তাদের জেলা কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এরপর র‌্যাবের পক্ষ থেকে রিমান্ডের আবেদন জানানো হলে শুনানি শেষে আদালত আসামিদের রিমান্ডের ওই নির্দেশ দেন।

7 বার নিউজটি শেয়ার হয়েছে
  • ফেইসবুক শেয়ার করুন