
২১ জুলাই, ২০২৫ ০০:৩৩
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম (চরমোনাই পীর) বলেছেন, আমরা সরকারের অভিলাষ নিয়ে শংকিত। বিদেশি সংস্থা এমনকি স্বয়ং জাতিসংঘের অফিসের জন্য প্রযোজ্য সুবিধার চেয়ে বেশি সুবিধা প্রদান করে কেন এই কমিশনকে অফিস দিতে হবে তা আমাদের বুঝে আসে না। এই অফিসের কর্মকৌশল কী? লক্ষ কী? কর্মনীতি কী? ইত্যাদির কোনো কিছুই আমাদের সামনে পরিস্কার না।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে কোনো যুদ্ধাবস্থা বিরাজ করছে না। কোনো ধরনের জাতিগত হানাহানিও নেই। ফলে কোনো বিবেচনাতেই এই অফিসের প্রয়োজন নেই। তাই অবিলম্বে এই অভিশপ্ত কার্যালয় স্থাপনের অনুমতি বাতিল করতে হবে। অন্যথায় দেশকে বাঁচাতে আমাদের রাজপথে অবস্থান নিতে হতে পারে।
রোববার (২০ জুলাই) এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।
চরমোনাই পীর বলেন, বিশ্ব বাস্তবতায় জাতিসংঘ একটি ব্যর্থ সংস্থায় পরিণত হয়েছে। ফিলিস্তিনে লাখো মানুষের মৃত্যু রোধে জাতিসংঘের ব্যর্থতা এই সংস্থাকে অপ্রাসঙ্গিক করে ফেলেছে। ইয়েমেনে, আরাকানে এবং আফ্রিকা অঞ্চলে মানবাধিকারের চূড়ান্ত লঙ্ঘন হয়েছে জাতিসংঘের চোখের সামনে। বাংলাদেশের মতো একটি শান্ত ও নিরাপদ দেশে এমন ব্যর্থ একটি সংগঠনের একটা কমিশনের কার্যালয় খোলার কোনো কারণও নেই, দরকারও না; বরং বিপদ আছে। তাই দেশ ও জাতির দীর্ঘমেয়াদী স্বার্থ বিবেচনায় জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের অফিসের কার্যক্রম বন্ধ করতে হবে।
তিনি বলেন, ৫ আগস্টের পরে ড. মুহাম্মাদ ইউনূস সরকারের প্রতি আমরা সমর্থন জানিয়েছি ফ্যাসিবাদের বিচার নিশ্চিত করা, সংস্কার কার্যক্রমে সমন্বয় করা এবং একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজন করার জন্য। এই লক্ষ্যে আমরা সরকারকে প্রশ্নাতীত সমর্থন করেছি। কিন্তু দুঃখের সাথে বলতে হয়, সরকার তার মূলকাজ বাদ দিয়ে তার ম্যান্ডেটের সাথে সামঞ্জস্যহীন কাজ করে যাচ্ছে। বিচারে কোনো অগ্রগতি নেই, সংস্কারের কাজ থমকে আছে, আর দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি দিনের পরে দিন খারাপের দিকে যাচ্ছে। সরকার সেই দিকে নজর না দিয়ে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক কমিশনের অফিস নিয়ে ব্যস্ত হয়ে আছে।
মুফতি রেজাউল করিম বলেন, মানবাধিকারের সংজ্ঞা নিয়ে পশ্চিমাদের সাথে আমাদের ভিন্নমত আছে। আমাদের হাজার বছরের বোধ-বিশ্বাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও চরিত্রের সাথে সাংঘর্ষিক অনেক বিষয়কে এরা মানবাধিকার বলে গণ্য করে। সমকামিতা, গর্ভপাত, ট্রান্সজেন্ডার, মৃত্যুদণ্ড মওকুফ করার মতো বিষয়কে তারা মানবাধিকার হিসেবে বিবেচনা করে অথচ এগুলো আমাদের সমাজ বাস্তবতায় অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে। আমাদের সমাজ-দর্শনে ও বিশ্বাসে অপরাধ হিসেবে গণ্য হওয়া এই বিষয়গুলোকে তারা মানবাধিকারের অন্তর্ভুক্ত করে সমাজে এগুলো স্বাভাবিক করার জন্য চেষ্টা করবে। সমাজ থেকে কোনো বাধা আসলে তারা আমাদেরকে জাতি হিসেবে মানবাধিকারের বিরোধী বলে প্রতিবেদন করবে। ফলে বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগ নিরুৎসাহিত হবে। বিদেশি পর্যাটক আসা কমে যাবে। আমাদের নাগরিকদের সারা বিশ্বে ভীতিকর হিসেবে দেখানো হবে। আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে আমাদেরকে বর্বর জাতি হিসেবে উপস্থাপন করা হবে।
মুফতি রেজাউল করিম এ পরিস্থিতিকে ‘ভয়ংকর বিষবৃক্ষ রোপণের’ সঙ্গে তুলনা করেন। তিনি সতর্ক করে বলেন, যার ভয়াবহ পরিণতি আমাদেরকে দীর্ঘ সময় ভোগ করতে হবে।’
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম (চরমোনাই পীর) বলেছেন, আমরা সরকারের অভিলাষ নিয়ে শংকিত। বিদেশি সংস্থা এমনকি স্বয়ং জাতিসংঘের অফিসের জন্য প্রযোজ্য সুবিধার চেয়ে বেশি সুবিধা প্রদান করে কেন এই কমিশনকে অফিস দিতে হবে তা আমাদের বুঝে আসে না। এই অফিসের কর্মকৌশল কী? লক্ষ কী? কর্মনীতি কী? ইত্যাদির কোনো কিছুই আমাদের সামনে পরিস্কার না।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে কোনো যুদ্ধাবস্থা বিরাজ করছে না। কোনো ধরনের জাতিগত হানাহানিও নেই। ফলে কোনো বিবেচনাতেই এই অফিসের প্রয়োজন নেই। তাই অবিলম্বে এই অভিশপ্ত কার্যালয় স্থাপনের অনুমতি বাতিল করতে হবে। অন্যথায় দেশকে বাঁচাতে আমাদের রাজপথে অবস্থান নিতে হতে পারে।
রোববার (২০ জুলাই) এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।
চরমোনাই পীর বলেন, বিশ্ব বাস্তবতায় জাতিসংঘ একটি ব্যর্থ সংস্থায় পরিণত হয়েছে। ফিলিস্তিনে লাখো মানুষের মৃত্যু রোধে জাতিসংঘের ব্যর্থতা এই সংস্থাকে অপ্রাসঙ্গিক করে ফেলেছে। ইয়েমেনে, আরাকানে এবং আফ্রিকা অঞ্চলে মানবাধিকারের চূড়ান্ত লঙ্ঘন হয়েছে জাতিসংঘের চোখের সামনে। বাংলাদেশের মতো একটি শান্ত ও নিরাপদ দেশে এমন ব্যর্থ একটি সংগঠনের একটা কমিশনের কার্যালয় খোলার কোনো কারণও নেই, দরকারও না; বরং বিপদ আছে। তাই দেশ ও জাতির দীর্ঘমেয়াদী স্বার্থ বিবেচনায় জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের অফিসের কার্যক্রম বন্ধ করতে হবে।
তিনি বলেন, ৫ আগস্টের পরে ড. মুহাম্মাদ ইউনূস সরকারের প্রতি আমরা সমর্থন জানিয়েছি ফ্যাসিবাদের বিচার নিশ্চিত করা, সংস্কার কার্যক্রমে সমন্বয় করা এবং একটি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজন করার জন্য। এই লক্ষ্যে আমরা সরকারকে প্রশ্নাতীত সমর্থন করেছি। কিন্তু দুঃখের সাথে বলতে হয়, সরকার তার মূলকাজ বাদ দিয়ে তার ম্যান্ডেটের সাথে সামঞ্জস্যহীন কাজ করে যাচ্ছে। বিচারে কোনো অগ্রগতি নেই, সংস্কারের কাজ থমকে আছে, আর দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি দিনের পরে দিন খারাপের দিকে যাচ্ছে। সরকার সেই দিকে নজর না দিয়ে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক কমিশনের অফিস নিয়ে ব্যস্ত হয়ে আছে।
মুফতি রেজাউল করিম বলেন, মানবাধিকারের সংজ্ঞা নিয়ে পশ্চিমাদের সাথে আমাদের ভিন্নমত আছে। আমাদের হাজার বছরের বোধ-বিশ্বাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও চরিত্রের সাথে সাংঘর্ষিক অনেক বিষয়কে এরা মানবাধিকার বলে গণ্য করে। সমকামিতা, গর্ভপাত, ট্রান্সজেন্ডার, মৃত্যুদণ্ড মওকুফ করার মতো বিষয়কে তারা মানবাধিকার হিসেবে বিবেচনা করে অথচ এগুলো আমাদের সমাজ বাস্তবতায় অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে। আমাদের সমাজ-দর্শনে ও বিশ্বাসে অপরাধ হিসেবে গণ্য হওয়া এই বিষয়গুলোকে তারা মানবাধিকারের অন্তর্ভুক্ত করে সমাজে এগুলো স্বাভাবিক করার জন্য চেষ্টা করবে। সমাজ থেকে কোনো বাধা আসলে তারা আমাদেরকে জাতি হিসেবে মানবাধিকারের বিরোধী বলে প্রতিবেদন করবে। ফলে বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগ নিরুৎসাহিত হবে। বিদেশি পর্যাটক আসা কমে যাবে। আমাদের নাগরিকদের সারা বিশ্বে ভীতিকর হিসেবে দেখানো হবে। আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে আমাদেরকে বর্বর জাতি হিসেবে উপস্থাপন করা হবে।
মুফতি রেজাউল করিম এ পরিস্থিতিকে ‘ভয়ংকর বিষবৃক্ষ রোপণের’ সঙ্গে তুলনা করেন। তিনি সতর্ক করে বলেন, যার ভয়াবহ পরিণতি আমাদেরকে দীর্ঘ সময় ভোগ করতে হবে।’

২৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ২১:৩২
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ নেতার গুলিতে নিহত শহীদ ওসমান হাদির বোন মাসুমা হাদি। আজ শুক্রবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মাসুমা হাদি এই আগ্রহের কথা জানান।
তিনি বলেন, ‘এই মুহূর্তে আমার ব্যক্তিগত কোনো কিছু বলার নেই। তবে ইনকিলাব মঞ্চ ও পরিবারের পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত হলে এ নির্বাচনে প্রার্থী হতে রাজি আছি।
এদিন মাসুমা হাদিকে প্রার্থী করার দাবিতে ঝালকাঠির বাসস্ট্যান্ড মোড়ে মানববন্ধনের আয়োজন করেন তার সমর্থক ও শুভানুধ্যায়ীরা। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ‘ফ্যাসিস্টদের বিরুদ্ধে কথা বলতে গিয়ে হাদিকে প্রাণ দিতে হয়েছে। তিনি ইনসাফের পক্ষে এবং দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় লড়াই করেছেন। তিনি সংসদে গিয়ে ন্যায়ের পক্ষে, জনগণের পক্ষে এবং ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে কথা বলতে চেয়েছিলেন।
কিন্তু ঘাতকরা তার সেই কথা থামিয়ে দিয়েছে। তবে আমরা চাই শহীদ ওসমান হাদির দেশ, জনগণ ও ন্যায়ের পক্ষে লড়াই বেঁচে থাকুক, উজ্জীবিত থাকুক।’
তারা বলেন, ‘হাদির বোন মাসুমা হাদির মাঝে আমরা হাদির প্রতিচ্ছবি দেখতে পাই। আমরা মাসুমা হাদিকে ঢাকা-৮-এর সংসদ সদস্য প্রার্থী হিসেবে দেখতে চাই। দেশবাসীও এটি চায়।’
প্রসঙ্গত, ঢাকা-৮ আসনে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনী প্রচার চালানোর সময় ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান হাদি গত ১২ ডিসেম্বর রাজধানীর বিজয়নগরে গুলিবিদ্ধ হন। তাকে গুলির ঘটনায় ছাত্রলীগ নেতা মাসুদ ফয়সাল ও তার সহযোগী আলমগীর শেখকে শনাক্ত করেছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী।
গুলিতে ওসমান হাদির ব্রেইনের স্টেম সেল মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৮ ডিসেম্বর ওসমান হাদির মৃত্যু হয়। মরদেহ দেশে আনার পর ২০ ডিসেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের সমাধি চত্বরে হাদিকে দাফন করা হয়।
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ নেতার গুলিতে নিহত শহীদ ওসমান হাদির বোন মাসুমা হাদি। আজ শুক্রবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মাসুমা হাদি এই আগ্রহের কথা জানান।
তিনি বলেন, ‘এই মুহূর্তে আমার ব্যক্তিগত কোনো কিছু বলার নেই। তবে ইনকিলাব মঞ্চ ও পরিবারের পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত হলে এ নির্বাচনে প্রার্থী হতে রাজি আছি।
এদিন মাসুমা হাদিকে প্রার্থী করার দাবিতে ঝালকাঠির বাসস্ট্যান্ড মোড়ে মানববন্ধনের আয়োজন করেন তার সমর্থক ও শুভানুধ্যায়ীরা। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ‘ফ্যাসিস্টদের বিরুদ্ধে কথা বলতে গিয়ে হাদিকে প্রাণ দিতে হয়েছে। তিনি ইনসাফের পক্ষে এবং দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় লড়াই করেছেন। তিনি সংসদে গিয়ে ন্যায়ের পক্ষে, জনগণের পক্ষে এবং ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে কথা বলতে চেয়েছিলেন।
কিন্তু ঘাতকরা তার সেই কথা থামিয়ে দিয়েছে। তবে আমরা চাই শহীদ ওসমান হাদির দেশ, জনগণ ও ন্যায়ের পক্ষে লড়াই বেঁচে থাকুক, উজ্জীবিত থাকুক।’
তারা বলেন, ‘হাদির বোন মাসুমা হাদির মাঝে আমরা হাদির প্রতিচ্ছবি দেখতে পাই। আমরা মাসুমা হাদিকে ঢাকা-৮-এর সংসদ সদস্য প্রার্থী হিসেবে দেখতে চাই। দেশবাসীও এটি চায়।’
প্রসঙ্গত, ঢাকা-৮ আসনে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনী প্রচার চালানোর সময় ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান হাদি গত ১২ ডিসেম্বর রাজধানীর বিজয়নগরে গুলিবিদ্ধ হন। তাকে গুলির ঘটনায় ছাত্রলীগ নেতা মাসুদ ফয়সাল ও তার সহযোগী আলমগীর শেখকে শনাক্ত করেছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী।
গুলিতে ওসমান হাদির ব্রেইনের স্টেম সেল মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৮ ডিসেম্বর ওসমান হাদির মৃত্যু হয়। মরদেহ দেশে আনার পর ২০ ডিসেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের সমাধি চত্বরে হাদিকে দাফন করা হয়।

২৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ২০:১২
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে আয়োজিত ঐতিহাসিক গণসংবর্ধনায় দেওয়া বক্তব্য নিয়ে ভারতীয় একটি গণমাধ্যমের অপপ্রচার শনাক্ত করেছে প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের (পিআইবি) ফ্যাক্ট চেক ও মিডিয়া রিসার্চ টিম বাংলাফ্যাক্ট।
শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) বাংলাফ্যাক্ট জানিয়েছে, দীর্ঘ ১৭ বছর পর দেশে ফিরেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। দেশে ফিরে রাজধানীর পূর্বাচলের ৩০০ ফিট এলাকায় আয়োজিত এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে দেওয়া ভাষণে ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ গড়তে নিজের একটি পরিকল্পনার কথা জানান তিনি। পরিকল্পনাটি বিস্তারিতভাবে প্রকাশ না করলেও এটি বাস্তবায়নে দেশের সকল স্তরের মানুষের সহযোগিতা চেয়েছেন তিনি।
নিজের ভাবনার কথা বলার আগে তারেক রহমান ৬২ বছর আগের আমেরিকার বর্ণবৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের মহান নেতা মার্টিন লুথার কিংয়ের ঐতিহাসিক ‘আই হ্যাভ অ্যা ড্রিম’ (I have a dream) ভাষণটির কথা স্মরণ করেন। সেই ভাষণের সঙ্গে সুর মিলিয়ে তিনি বলেন, ‘আই হ্যাভ অ্যা প্ল্যান।’
তারেক রহমান বলেন, ‘প্রিয় ভাই-বোনেরা আমরা দেশের শান্তি চাই। মার্টিন লুথার কিং এর নাম শুনেছেন না আপনারা? নাম শুনেছেন তো আপনারা। মার্টিন লুথার কিং। তার একটি বিখ্যাত ডায়ালগ আছে, আই হ্যাভ আ ড্রিম। আজ এই বাংলাদেশের মাটিতে দাঁড়িয়ে আপনাদের সকলের সামনে আমি বলতে চাই, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের একজন সদস্য হিসাবে আপনাদের সামনে আমি বলতে চাই, আই হ্যাভ আ প্ল্যান, ফর দ্য পিপল অব মাই কান্ট্রি, ফর মাই কান্ট্রি। আজ এই পরিকল্পনা দেশের মানুষের স্বার্থে।’
তার ভাষণ সম্পর্কে সংবাদ প্রকাশ করতে গিয়ে ভারতের এবিপি আনন্দ (ABP Ananda) “ 'I have a plan..', বাংলাদেশে ফিরেই বিস্ফোরক খালেদা পুত্র, ভারতকে নিয়ে পরিকল্পনা ?” - শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ করেন। অথচ তারেক রহমান তার সম্পূর্ণ ভাষণে ভারত সম্পর্কে কোনো কথা বলেননি।
সম্পূর্ণ অপ্রাসঙ্গিকভাবে শিরোনামে ‘ভারত নিয়ে পরিকল্পনা’ জুড়ে দিয়েছে এবিপি আনন্দ। মিডিয়াটি পুরো প্রতিবেদনে এ প্রসঙ্গ আনার কোনো ব্যাখ্যাও দেয়নি।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে আয়োজিত ঐতিহাসিক গণসংবর্ধনায় দেওয়া বক্তব্য নিয়ে ভারতীয় একটি গণমাধ্যমের অপপ্রচার শনাক্ত করেছে প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের (পিআইবি) ফ্যাক্ট চেক ও মিডিয়া রিসার্চ টিম বাংলাফ্যাক্ট।
শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) বাংলাফ্যাক্ট জানিয়েছে, দীর্ঘ ১৭ বছর পর দেশে ফিরেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। দেশে ফিরে রাজধানীর পূর্বাচলের ৩০০ ফিট এলাকায় আয়োজিত এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে দেওয়া ভাষণে ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ গড়তে নিজের একটি পরিকল্পনার কথা জানান তিনি। পরিকল্পনাটি বিস্তারিতভাবে প্রকাশ না করলেও এটি বাস্তবায়নে দেশের সকল স্তরের মানুষের সহযোগিতা চেয়েছেন তিনি।
নিজের ভাবনার কথা বলার আগে তারেক রহমান ৬২ বছর আগের আমেরিকার বর্ণবৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের মহান নেতা মার্টিন লুথার কিংয়ের ঐতিহাসিক ‘আই হ্যাভ অ্যা ড্রিম’ (I have a dream) ভাষণটির কথা স্মরণ করেন। সেই ভাষণের সঙ্গে সুর মিলিয়ে তিনি বলেন, ‘আই হ্যাভ অ্যা প্ল্যান।’
তারেক রহমান বলেন, ‘প্রিয় ভাই-বোনেরা আমরা দেশের শান্তি চাই। মার্টিন লুথার কিং এর নাম শুনেছেন না আপনারা? নাম শুনেছেন তো আপনারা। মার্টিন লুথার কিং। তার একটি বিখ্যাত ডায়ালগ আছে, আই হ্যাভ আ ড্রিম। আজ এই বাংলাদেশের মাটিতে দাঁড়িয়ে আপনাদের সকলের সামনে আমি বলতে চাই, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের একজন সদস্য হিসাবে আপনাদের সামনে আমি বলতে চাই, আই হ্যাভ আ প্ল্যান, ফর দ্য পিপল অব মাই কান্ট্রি, ফর মাই কান্ট্রি। আজ এই পরিকল্পনা দেশের মানুষের স্বার্থে।’
তার ভাষণ সম্পর্কে সংবাদ প্রকাশ করতে গিয়ে ভারতের এবিপি আনন্দ (ABP Ananda) “ 'I have a plan..', বাংলাদেশে ফিরেই বিস্ফোরক খালেদা পুত্র, ভারতকে নিয়ে পরিকল্পনা ?” - শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ করেন। অথচ তারেক রহমান তার সম্পূর্ণ ভাষণে ভারত সম্পর্কে কোনো কথা বলেননি।
সম্পূর্ণ অপ্রাসঙ্গিকভাবে শিরোনামে ‘ভারত নিয়ে পরিকল্পনা’ জুড়ে দিয়েছে এবিপি আনন্দ। মিডিয়াটি পুরো প্রতিবেদনে এ প্রসঙ্গ আনার কোনো ব্যাখ্যাও দেয়নি।

২৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ২১:২১
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ‘ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন’ উপলক্ষে রাজধানীর পূর্বাচলের ৩০০ ফিট সড়কের গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সৃষ্ট সব বর্জ্য অপসারণ করবে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি।
বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন বিএনপি মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক প্রফেসর ডা. মওদুদ হোসেন আলমগীর পাভেল।
ডা. মওদুদ হোসেন বলেন, ৩০০ ফিটসহ এয়ারপোর্ট রোড ও সংলগ্ন এলাকায় শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) সকাল থেকে স্বেচ্ছাশ্রমে বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম শুরু করবে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি।
এর আগে, দীর্ঘ ১৭ বছরের নির্বাসন শেষে প্রিয় জন্মভূমির মাটিতে পা রেখেই এক আবেগঘন মুহূর্তের অবতারণা করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বের হয়েই তিনি প্রথমে খালি পায়ে দেশের মাটি স্পর্শ করেন এবং পরম মমতায় হাত দিয়ে একমুঠো মাটি তুলে নেন। দীর্ঘ দেড় যুগের প্রতীক্ষার পর মাটির এই স্পর্শ উপস্থিত নেতাকর্মীদের মাঝে এক আবেগপ্রবণ পরিবেশ তৈরি করে।
বিমানবন্দর থেকে তারেক রহমান একটি লাল রঙের সুরক্ষিত বাসে চড়ে পূর্বাচলের ‘জুলাই ৩৬ এক্সপ্রেসওয়ে’ (৩০০ ফিট) সংলগ্ন গণসংবর্ধনাস্থলে যান। সেখানে সমবেত লাখো জনতার উদ্দেশে তিনি তার ঐতিহাসিক প্রত্যাবর্তন ভাষণ দেন।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ‘ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন’ উপলক্ষে রাজধানীর পূর্বাচলের ৩০০ ফিট সড়কের গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সৃষ্ট সব বর্জ্য অপসারণ করবে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি।
বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন বিএনপি মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক প্রফেসর ডা. মওদুদ হোসেন আলমগীর পাভেল।
ডা. মওদুদ হোসেন বলেন, ৩০০ ফিটসহ এয়ারপোর্ট রোড ও সংলগ্ন এলাকায় শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) সকাল থেকে স্বেচ্ছাশ্রমে বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম শুরু করবে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি।
এর আগে, দীর্ঘ ১৭ বছরের নির্বাসন শেষে প্রিয় জন্মভূমির মাটিতে পা রেখেই এক আবেগঘন মুহূর্তের অবতারণা করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বের হয়েই তিনি প্রথমে খালি পায়ে দেশের মাটি স্পর্শ করেন এবং পরম মমতায় হাত দিয়ে একমুঠো মাটি তুলে নেন। দীর্ঘ দেড় যুগের প্রতীক্ষার পর মাটির এই স্পর্শ উপস্থিত নেতাকর্মীদের মাঝে এক আবেগপ্রবণ পরিবেশ তৈরি করে।
বিমানবন্দর থেকে তারেক রহমান একটি লাল রঙের সুরক্ষিত বাসে চড়ে পূর্বাচলের ‘জুলাই ৩৬ এক্সপ্রেসওয়ে’ (৩০০ ফিট) সংলগ্ন গণসংবর্ধনাস্থলে যান। সেখানে সমবেত লাখো জনতার উদ্দেশে তিনি তার ঐতিহাসিক প্রত্যাবর্তন ভাষণ দেন।

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
২৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৮:৫৮
২৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৮:৩১
২৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৫:৩২
২৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৪:১৩