ভোলা

ইঞ্জিন বিকল হয়ে মেঘনায় ভাসতে থাকা অর্ধশতাধিক যাত্রী উদ্ধার

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

০৭ জুন, ২০২৫ ০৩:৪০

প্রিন্ট এন্ড সেভ

ইঞ্জিন বিকল হয়ে মেঘনায় ভাসতে থাকা অর্ধশতাধিক যাত্রী উদ্ধার

ঈদের দিন গাজায় ৪ ইসরায়েলি সেনা ভোলার মেঘনা নদীতে অবৈধভাবে যাত্রী পারাপারের সময় মাঝ নদীতে একটি একটি ট্রলার বিকল হয়ে পড়ে। অবশেষে মেঘনা নদীর মাঝের চরে ইঞ্জিন বিকল হয়ে ভাসতে থাকা ট্রলার থেকে মাঝিসহ ৬২ জন ঈদে বাড়ি ফেরা যাত্রীকে উদ্ধার করেছে কোস্টগার্ড। এতে করে বড় ধরনের দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেয়েছেন যাত্রীরা।

শুক্রবার (৬ জুন) দুপুরে ভোলা কোস্টগার্ড দক্ষিণ জোনের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কমান্ডার হারুন-অর-রশীদ জানান, শুক্রবার সকাল ১০ টায় ভোলার সদর উপজেলার ইলিশা লঞ্চঘাটসংলগ্ন মাঝের চর এলাকায় লক্ষ্মীপুর হতে ভোলার ইলিশা লঞ্চঘাটে যাওয়ার পথে ১ টি ট্রলারের ইঞ্জিন বিকল হয়ে ৬০ জন যাত্রীসহ নদীতে ভাসতে থাকে। এসময় ট্রলারে থাকা একজন যাত্রী কোস্টগার্ডকে অবগত করে। খবর পেয়ে কোস্টগার্ডের একটি উদ্ধারকারী দল অতি দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং ৬০ জন যাত্রী ও ২ জন মাঝিসহ সর্বমোট ৬২ জনকে উদ্ধার করে বোট যোগে নিরাপদে ইলিশা লঞ্চঘাটে পৌঁছে দেয়।

এদিকে অবৈধভাবে যাত্রী পরিবহনের দায়ে ট্রলার ও মাঝিদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থাগ্রহণের জন্য ইলিশা নৌপুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয়।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ কোস্টগার্ড উপকূলীয় এবং নদী তীরবর্তী অঞ্চলের নিরাপত্তা নিশ্চিতে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে আসছে।

এছাড়াও আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহা-২০২৫ উপলক্ষে নৌপথে যাত্রী সাধারণের নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে কোস্টগার্ড নিয়োজিত রয়েছে এবং ভবিষ্যতেও এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে।’

লালমোহনে বাজার পাহারাদারদের ঈদ সামগ্রী উপহার

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

০৫ জুন, ২০২৫ ১৪:২৯

প্রিন্ট এন্ড সেভ

লালমোহনে বাজার পাহারাদারদের ঈদ সামগ্রী উপহার

ভোলার লালমোহন উপজেলায় পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে বাজার পাহারাদারদের ঈদ সামগ্রী উপহার দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় লালমোহন বাজার ব্যবসায়ী সমিতির উদ্যোগে সমিতির প্রধান কার্যালয়ে ৯জন পাহারাদার ও স্টাফকে এই ঈদ সামগ্রী উপহার দেওয়া হয়। যার মধ্যে ছিল- গুঁড়া চাল, তেল, পেয়াজ, রসুন, আদা ও মুরগি।

এ সময় লালমোহন বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মো. রফিকুল ইসলাম পাটোয়ারী, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো. আজাদুর রহমান, মো. রতন মুন্সী, আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট রাজিব হাসনাত শাকিল ও পৌরসভা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. মাকসুদ আহমেদসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

লালমোহনে বাজার পাহারাদারদের ঈদ সামগ্রী উপহার

Barishal Times Desk

Barishal Times Desk

০৪ জুন, ২০২৫ ১১:৫৬

প্রিন্ট এন্ড সেভ

ভোলায় নিম্নচাপের প্রভাবে কৃষির ক্ষতি চার কোটি টাকা

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে ভোলার চরফ্যাশন উপজেলায় কৃষি খাতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। টানা কয়েক দিনের ভারী বর্ষণ ও জোয়ারের পানিতে ওই এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এতে উপজেলার গ্রীষ্মকালীন সবজি, আউশ ধানের বীজতলা ও রোপা আউশ ধান চাষে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। কৃষি কর্মকর্তা জানিয়েছেন, আনুমানিক ৪ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।

চরফ্যাশন উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্যমতে, চলতি মৌসুমে গ্রীষ্মকালীন সবজির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ৭ হাজার ১২০ হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে ১ হাজার হেক্টরে শসা। আউশ ধান আবাদ হয়েছে ২৫ হাজার ৫০০ হেক্টরে। নিম্নচাপের প্রভাবে এই উপজেলায় ১৪৪ হেক্টরে গ্রীষ্মকালীন সবজি, ৩৪ হেক্টরে আউশের বীজতলা ও ১০৫ হেক্টরে রোপা আউশ ধানের ক্ষতি হয়েছে। এতে করে প্রায় ৩ হাজার কৃষক ক্ষতির মুখে পড়েছেন।

উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের গ্রীষ্মকালীন সবজির মধ্যে চাষ করা শসা, করলা, লাউ, চিচিঙ্গা, পেঁপে, মরিচসহ বিভিন্ন সবজি বৃষ্টিতে নষ্ট হয়ে গেছে। পাশাপাশি আউশ ধান পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় চাষের প্রাথমিক ধাপেই বিপাকে পড়েছেন কৃষকেরা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার আব্দুল্লাহপুর, আসলামপুর, চরমাদ্রাজ, ওসমানগঞ্জ, চরকুকরিমুকরি, রসুলপুর ও আমিনাবাদ ইউনিয়নের কৃষকদের মধ্যে হতাশা বিরাজ করছে। সবুজে ভরা কৃষিজমিগুলো এখন পানিতে তলিয়ে রয়েছে।

উপজেলার আব্দুল্লাহপুর ইউনিয়নের কৃষক আব্দুল্লাহ জানান, ১ একর ৬০ শতাংশ জমিতে শসার চাষাবাদ করেছেন। এতে তাঁর ২ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে। ঋণ নিয়ে এই শসা চাষাবাদ করেন। নিম্নচাপের প্রভাবে ভারী বর্ষণ ও জোয়ারের পানিতে ১ একর জমির শসাখেত নষ্ট হয়ে গেছে।

চরফ্যাশন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ নাজমুল হুদা জানান, সম্প্রতি নিম্নচাপের প্রভাবে চরফ্যাশনে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তবে গ্রীষ্মকালীন শাকসবজি বিশেষ করে শসা, করলা ও চিচিঙ্গাসহ বেশ কিছু সবজি এবং আউশ ধানের বীজতলাসহ সদ্য রোপণ করা আউশ ধানের বেশি ক্ষতি হয়েছে। কৃষকদের ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে কৃষি বিভাগ কাজ করছে। জেলা প্রশাসক মো. আজাদ জাহান লেন, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে ভারী বর্ষণ ও জোয়ারে প্লাবিত হয়ে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়।

ভোলায় ১৬ থেকে ২২ মণ ওজনের গরু নিয়ে বিপাকে খামারিরা

Barishal Times Desk

Barishal Times Desk

০৪ জুন, ২০২৫ ০৬:৩০

প্রিন্ট এন্ড সেভ

ভোলায় ১৬ থেকে ২২ মণ ওজনের গরু নিয়ে বিপাকে খামারিরা

ভোলায় ঈদকে কেন্দ্র করে বিক্রির উদ্দেশ্য পরম যত্নে লালন-পালন করা গড়ে তোলা ১৬ থেকে ২২ মণ ওজনের বিশাল আকারের ৪টি গরু এখনও বিক্রি হয়নি। ক্রেতা না থাকায় বিপাকে পড়েছেন খামারিরা। অন্যদিকে এসব গরু হাটে তোলার পর দামাদামি করে কোনো কোনো ক্রেতা উৎপাদন খরচও বলছেন না।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিগত বছরগুলোতে কোরবানির পশুর হাটে ক্রেতাদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল বড় আকারের গরু। কিন্তু এ বছর ক্রেতারা বড় গরুর দিকে ঝুঁকছে না, আর এতেই বিপাকে পড়েছেন খামারিরা।

সরেজমিনে ভোলা শহরের ‘গরুর হাট’ ও আলীনগর মাদরাসা বাজার পশুর হাট ঘুরে দেখা গেছে, ঈদকে সামনে রেখে কোরবানির পশুর হাটে ক্রেতাদের চাহিদার শীর্ষে রয়েছে ছোট ও মাঝারি আকারের গরু।

বিপাকে পড়া খামারিদের মধ্যে একজন সদর উপজেলার পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নে অবস্থিত খাঁন ডেইরি ফার্মের স্বত্বাধিকারী মো. আবুল কালাম খাঁন। তার খামারে ছোট বড় মিলিয়ে ১১টি গরু রয়েছে।

এর মধ্যে রয়েছে লাইভ ওয়েটে ২২ মণ ওজনের ব্রাহমা জাতের একটি ষাঁড় ‘কালো বদর’ ও ফ্রিজিয়ান ১৬ মণ ওজনের আরেকটি ষাঁড় ‘কালো পাহাড়’। এ বছর ঈদুল আজহায় বিক্রির উদ্দেশ্য ফার্মটিতে দুটি বিশাল আকারের গরু প্রস্তুত করা হয়েছে। গত ১ সপ্তাহ ধরে তোলা হচ্ছে ভোলার বিভিন্ন হাটে। কালা বদরের দাম দেওয়া হয়েছে ৭ লাখ ও কালো পাহাড়ের দাম দেওয়া হয়েছে ৫ লাখ টাকা। কিন্তু নেই ক্রেতাদের আগ্রহ।

খামারি আবুল কালাম খাঁন বলেন, আমার খামারের একটি ব্রাহমা জাতের গাভীর বাচ্চা হচ্ছে ২২ মণের কালো বদর ও ফ্রিজিয়ান শাহিওয়াল ক্রসের ১৬ মণ ওজনের কালো পাহাড় । সম্পূর্ণ প্রাকৃতিকভাবে কাঁচা ঘাস, খৈল,খড়, ভূসি খাইয়ে বড় করেছি।

প্রতিদিন প্রায় পাঁচশ টাকা প্রতিটি ষাঁড়ের পেছনে ব্যয় হচ্ছে। কালা বদরের বয়স ৪ বছর ও কালো পাহাড়ের বয়স ৩ বছর। দাম চেয়েছি ৭ লাখ ও ৫ লাখ টাকা। ষাঁড়গুলোর পেছনে ব্যয় হয়েছে প্রায় ৬ লাখ ও ৪ লাখ টাকা।

বিক্রির উদ্দেশ্য হাটে তোলার পর কয়েকজন ক্রেতা ষাঁড় দুটির পেছনে ব্যয় হওয়া দামও বলেনি, ক্রেতাও কম, এ দামে বিক্রি করলে চালানও উঠবে না। এখন গরু নিয়ে অনেকটা বিপাকে পড়েছি।

শুধু আবুল কালাম খাঁন নয়, একই চিত্র পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের চরপাতা গ্রামের খামারি মো. আল আমিনের। আল আমিনের খামারে ছোট বড় মিলিয়ে ২৫টি গরু রয়েছে। বিক্রির উদ্দেশ্য এ বছর প্রস্তুত করেছেন লাইভ ওয়েট ২২ মণ ওজনের শাহিওয়াল জাতের ষাঁড় নাম ‘রাজাবাবু’ ও ১৬ মণ ওজনের শাহিওয়াল জাতের আরেকটি গাভী। ক্রেতারা কাঙ্খিত দাম না বলায় তিনিও বিপাকে পড়েছেন।

মো. আল আমিন বলেন, দাম কমিয়ে আমার ২২ মণ ওজনের রাজাবাবুর দাম নির্ধারণ করেছি ৬ লাখ টাকা। কয়েকজন ক্রেতা রাজাবাবুর দাম বলেছেন সর্বোচ্চ ৪ লাখ ৬০ হাজার টাকা। ১৬ মণ ওজনের অন্য গরুটির দাম নির্ধারণ করেছি সাড়ে ৪ লাখ টাকা। ক্রেতারা বলছেন ২ লাখের মতো। এসব দামে গরু বিক্রি করলে লাভ তো দূরের কথা মূলধনও উঠবে না। খামারে গরু যত বড় হচ্ছে দৈনিক খরচ ততই বৃদ্ধি পাচ্ছে। গরুগুলো নিয়ে চিন্তায় পড়েছি।

ক্রেতা মো. জসিম ও শাহে আলম, রশিদ বলেন, হাটে এসেছি কোরবানির জন্য গরু কিনতে। আমাদের বাজেট ৭০ হাজার থেকে সর্বোচ্চ সোয়া ১ লাখ টাকা। ছোট ও মাঝারি ধরনের গরু দামাদামি করছি।

এ বিষয়ে জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম খান বলেন, আমাদের সার্বিক পরামর্শে খামারিরা গরুগুলো লালন পালন করেছেন। ভোলায় এ বছর বড় গরুর ক্রেতা কম থাকায় খামারিরা কিছুটা বিপাকে পড়েছেন এবং ক্রেতারা দামও কম বলছেন।

এদিকে শেষ মুহূর্তে হলেও গরুগুলো ন্যায্য দামে বিক্রি করতে পারবেন বলে আশা খামারিদের। উল্লেখ্য, জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর সূত্র জানিয়েছে চলতি বছর ভোলা জেলায় কোরবানির জন্য ১ লাখ ২ হাজার ৭৬৯টি পশু প্রস্তুত করা হয়েছে। চাহিদা রয়েছে ৯০ হাজার ২৫৩টি। চাহিদার বিপরীতে উদ্বৃত্ত রয়েছে ১২ হাজার ৫১৬টি।

custom sidebar ads

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.

জনপ্রিয়

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.