https://joinnavy.navy.mil.bd/

পটুয়াখালী

বাউফলে ছাত্রদলের উদ্যোগে সেতু মেরামত

জসীম ‍উদ্দিন, বাউফল

জসীম ‍উদ্দিন, বাউফল

১৯ জুন, ২০২৫ ১৯:১৪

প্রিন্ট এন্ড সেভ

বাউফলে ছাত্রদলের উদ্যোগে সেতু মেরামত

পটুয়াখালীর বাউফলে দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়া একটি গুরুত্বপূর্ণ সংযোগ সেতু অবশেষে মেরামত করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৯জুন) সকাল ১০টায় মানবিক সংগঠন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল বাউফল উপজেলা শাখার নেতা কর্মীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহনে সেতুটি মেরামত করে স্থানীয়দের চলাচল উপযোগী করা হয়।

দীর্ঘদিন ধরে সেতুটি ভাঙ্গা থাকায় চরম দুর্ভোগে ছিলেন এলাকাবাসী। বিশেষ করে শিক্ষার্থীদের প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পার হতে হতো, এমনকি হালকা যানবাহনও চলাচল করতে পারতো না। এসময় উপস্থিত ছিলেন,বাউফল উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহ্ধসঢ়;বায়ক মূনঈমুল ইসলাম মিরাজ,বাউফল সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আপেল মাহমুদ মুন্না, সাবেক যুগ্ম আহ্ধসঢ়;বায়ক নেয়ামুল ইসলাম, কনকদিয়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃকাজী মাসুদ,সাধারণ সম্পাদক খলিল হোসেন,বাউফল উপজেলা ছাত্রদল নেতা সানজিদ খান,কনকদিয়া ইউনিয়ন সেচ্ছাসেবকদলের যুগ্ম আহ্ধসঢ়;বায়ক আলী আকবর,কনকদিয়া ইউনিয়ন জিয়া মঞ্চ এর যুগ্ম আহ্ধসঢ়;বায়ক সজীব বয়াতী, বিএনপি নেতা গাজী নুরুল ইসলাম সহ ইউনিয়ন ও কলেজ শাখা ছাত্রদলের নেতৃবৃন্দ।

ছাত্রদল নেতা মূনঈমুল ইসলাম মিরাজ জানান, “আমরা শুধুমাত্র রাজনীতি নয়, মানুষের কল্যাণে কাজ করতে বিশ্বাস করি। জনসাধারণের দুর্ভোগ লাঘবে আমাদের এই ক্ষুদ্র প্রয়াস।”সংস্কারের পর স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, সেতুটি মেরামতের ফলে এখন শিক্ষার্থীরা নিরাপদে স্কুলে যেতে পারবে এবং যানবাহন চলাচল করতে পারবে। এলাকাবাসী ছাত্রদলের এমন মানবিক উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে ভবিষ্যতেও এ ধরনের কার্যক্রম অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান।

আরও পড়ুন:

পটুয়াখালীতে কাফনের কাপড় পরে ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

০৯ নভেম্বর, ২০২৫ ১৪:০৬

প্রিন্ট এন্ড সেভ

পটুয়াখালীতে কাফনের কাপড় পরে ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল

পটুয়াখালী জেলার দশমিনা উপজেলায় ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে ঝটিকা মিছিল করেছেন নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। উপজেলা ছাত্রলীগের ব্যানারে এ মিছিলটি অনুষ্ঠিত হয়েছে। ইতোমধ্যে মিছিলের একটি ভিডিও স্যোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে।

রোববার (৯ নভেম্বর) সকালে উপজেলা সরকারি আবদুর রশিদ তালুকদার ডিগ্রি কলেজ এলাকা থেকে এ মিছিলটি বের হয়ে উপজেলা এলাকায় এসে শেষ হয়।

 জানা যায়, দশমিনা সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি মো. জায়েদ প্যাদার নেতৃত্ব এ ঝটিকা মিছিলটি বের করা হয়েছে।

জায়েদ প্যাদা নিজের ফেসবুক পেইজে সেই ভিডিও পোষ্ট করে লিখেছেন, ‘অনেকদিন পরে আবারও রাজপথে। এরপর ভিডিওটি মুহুর্তই ফেইসবুকে ভাইরাল হয়।

ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, ব্যানারের সামনে কাফনের কাপড় পরে ও মিছিলে অংশগ্রহণকারী নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মাথায় কাফনের কাপড় বাধা ছিল।
 এসময় দশমিনা উপজেলা ছাত্রলীগের ব্যানারে হটাও ইউনুস বাঁচাও দেশ- লেখা ছিল। মিছিলে ৩৫-৪০জন নেতাকর্মীকে দেখা গেছে। তাদের ‘মুজিব তোমার স্মরণে, ভয় করি না মরনে, শেখ হাসিনা আসবে, বাংলাদেশ হাসবে’ এমন স্লোগান দিতে শোনা যায়।
 
এ বিষয় দশমিনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুল আলীম বরিশালটাইমসকে জানান, ভোরে রাতে নিষিদ্ধ সংগঠনের ভিডিও নজরে এসেছে। এ বিষয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’

একসঙ্গে জন্মানো পাঁচ সন্তান লালন–পালনের খরচ নিয়ে দুশ্চিন্তায় মা–বাবা

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

০৯ নভেম্বর, ২০২৫ ১০:৩৪

প্রিন্ট এন্ড সেভ

একসঙ্গে জন্মানো পাঁচ সন্তান লালন–পালনের খরচ নিয়ে দুশ্চিন্তায় মা–বাবা

এক মাস আগে একসঙ্গে পাঁচ সন্তানের জন্ম দেন ২২ বছর বয়সী লামিয়া আক্তার। ঘটনাটি লামিয়ার পরিবারে আনন্দ বয়ে আনলেও এখন সন্তানদের লালন–পালনের খরচ নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন মা–বাবা।

পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার চাঁদকাঠী গ্রামে লামিয়ার বাড়ি। তাঁর স্বামী মো. সোহেল হাওলাদার একই উপজেলার সিংহেরাকাঠী গ্রামের বাসিন্দা। লামিয়ার বাবা ফারুক হাওলাদার ইটভাটায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন এবং স্বামী সোহেল ভাইয়ের সঙ্গে স্থানীয় বাজারে ছোট মুদি ব্যবসা করেন। দুই পরিবারই দরিদ্র এবং তাদের বসতভিটা ছাড়া জমিজমা নেই।

২০২০ সালে পারিবারিকভাবে সোহেলের সঙ্গে লামিয়ার বিয়ে হয়। চার বছর পর গত জুনে তিনি জানতে পারেন, তাঁর গর্ভে একসঙ্গে তিনটি সন্তান আছে। গর্ভধারণের পর থেকেই ভয় ও উদ্বেগে ছিলেন তিনি ও স্বজনেরা। তবে অস্ত্রোপচার ছাড়াই চলতি বছরের ৬ অক্টোবর বরিশালের একটি বেসরকারি হাসপাতালে পাঁচ সন্তানের জন্ম দেন তিনি।

নবজাতকদের মধ্যে তিনটি ছেলে ও দুটি মেয়ে। নাম রাখা হয়েছে মো. হাসান, মো. হোসাইন, মো. মোয়াজ্জিন, মোসা. লামিবা ও মোসা. উমামা।

পাঁচ সন্তানের জন্মের পর লামিয়া এখন নিজের বাবার বাড়িতে আছেন। নবজাতকদের পরিচর্যা করছেন তাঁর মা শাহনাজ বেগম (৪০)। তবে মায়ের দুধে পাঁচটি শিশুর চাহিদা পূরণ হচ্ছে না। তাই প্যাকেটজাত দুধ ও অন্যান্য খরচ জোগাতে হিমশিম খাচ্ছে পরিবারটি।

শাহনাজ বেগম বলেন, পাঁচটি শিশুই সুস্থ আছে। কিন্তু যত দিন যাচ্ছে, তাদের পেছনে ব্যয় বাড়ছে। দুই দিনে ১ হাজার ৭০০ টাকার দুধ কিনতে হয়। এত খরচ বহন করা তাঁদের জন্য খুবই কষ্টকর। তিন বছর আগে তাঁর স্বামী ফারুক হাওলাদারের মেরুদণ্ডে অস্ত্রোপচার হয়েছে। ধারদেনা করে চিকিৎসা করাতে হয়। এখনো বিশ্রামে থাকার কথা থাকলেও অভাবের কারণে তাঁকে আবার ইটভাটায় কাজে যেতে হচ্ছে।

শিশুদের বাবা সোহেল হাওলাদার বলেন, তাঁদের সামান্য আয় দিয়ে পাঁচ সন্তানের খরচ বহন করা সম্ভব নয়। তিনি সন্তানদের সুস্থভাবে বড় করতে সবার কাছে সহায়তা চান।

এলাকার একাধিক বাসিন্দা বলেন, দরিদ্র এই দুই পরিবারের পক্ষে পাঁচটি শিশু লালন–পালন করা খুবই কঠিন। শিশুদের সুস্থ ও সুন্দর ভবিষ্যতের জন্য সমাজের বিত্তবান কিংবা সরকারিভাবে পরিবারটির পাশে দাঁড়ানো খুব প্রয়োজন।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আবদুর রউফ বলেন, সরকারিভাবে আর্থিক সহায়তা দেওয়ার মতো কোনো তহবিল তাঁদের নেই। তবে চিকিৎসার সব সহায়তা দেওয়া হবে।

জেলের জালে ধরা পড়লো ২১ কেজির 'ব্ল্যাক ডায়মন্ড'

কাজী সাঈদ, কুয়াকাটা

কাজী সাঈদ, কুয়াকাটা

০৮ নভেম্বর, ২০২৫ ১৬:১৭

প্রিন্ট এন্ড সেভ

জেলের জালে ধরা পড়লো ২১ কেজির 'ব্ল্যাক ডায়মন্ড'

পটুয়াখালীর মহিপুর মৎস্য বন্দরের এক জেলের জালে ধরা পড়েছে ২১ কেজি ৫০০ গ্রাম ওজনের একটি বিশাল ‘কালো পোয়া’ মাছ। বিরল এই সামুদ্রিক মাছটি স্থানীয়ভাবে ‘দাঁতিনা’ ও ‘ব্ল্যাক ডায়মন্ড’ নামেও পরিচিত।

এর আগে 'এফবি ভাই ভাই' ট্রলারে গত ৩ দিন আগে গভীর সমুদ্রে অন্যান্য মাছের সাথে এ মাছটি উঠে আসে।

আজ শনিবার (৮ নভেম্বর) সকালে মাছটি মহিপুর মৎস্য বন্দরের ফয়সাল ফিসে আনা হলে একনজর দেখতে ভিড় জমায় উৎসুক জনতা। সচরাচর এ ধরনের মাছ জেলেদের জালে ধরা পড়ে না বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

ফয়সাল ফিস আড়তের রাজু জানান, মাছটি তোলার পর ডাকের মাধ্যমে এক লাখ টাকা পর্যন্ত দাম ওঠে। তবে অধিক দামের আশায় মাছটি বিক্রি না করে চট্টগ্রামে পাঠানোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন তারা। “শুনেছি মাছটির বায়ু থলি (এয়ার ব্লাডার) অনেক দামি। আশা করছি ভালো দামে বিক্রি করতে পারব,” বলেন তিনি।

স্থানীয় মৎস্য ব্যবসায়ী মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, মহিপুর বন্দরে আজ এমন এক মাছ উঠেছে যা সচরাচর দেখা যায় না। সকালে খবর শুনে আমরা দেখতে এসেছি। এক লাখ টাকার একটি মাছ এটা সত্যিই অবিশ্বাস্য।

ইকোফিশ বাংলাদেশ-এর গবেষণা সহকারী বখতিয়ার রহমান জানান, কালো পোয়া একটি বিরল সামুদ্রিক মাছ। এদের দৈর্ঘ্য সাধারণত ৫০ থেকে ১৮০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত হয় এবং ওজন ১০ থেকে ২৫ কেজি হলেও কখনও ৫০ কেজিরও বেশি হতে পারে।

তিনি আরও বলেন, বঙ্গোপসাগরের কক্সবাজার, মহেশখালী, সেন্ট মার্টিন, পটুয়াখালী ও বরিশাল উপকূলে এ মাছ দেখা যায়। কাদামাটি বা বালুময় তলদেশে এরা বসবাস করে এবং ছোট মাছ, চিংড়ি ও অন্যান্য সামুদ্রিক প্রাণী খেয়ে বেঁচে থাকে।

কলাপাড়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা বলেন, মহিপুর বন্দরে ২১ কেজি ওজনের একটি কালো পোয়া মাছ ধরা পড়েছে। এটি খুবই আনন্দের সংবাদ। মাছটির এয়ার ব্লাডার আন্তর্জাতিক বাজারে অত্যন্ত দামী হওয়ায় একে 'ব্ল্যাক স্পটেড ক্রোকার'ও বলা হয়। সরকার ঘোষিত মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞার সুফলেই এখন জেলেরা এমন বড় ও দুষ্প্রাপ্য মাছ ধরতে পারছেন। এতে তারা অর্থনৈতিক লাভবান হচ্ছেন।

custom sidebar ads

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.

জনপ্রিয়

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.