primary-ads

সারাদেশ

স্থানীয়দের ধাওয়া, সাবেক প্রতিমন্ত্রী মোতাহার হোসেনের গাড়ি জব্দ

Barishal Times Desk

Barishal Times Desk

১৬ জুন, ২০২৫ ০৯:০৭

প্রিন্ট এন্ড সেভ

স্থানীয়দের ধাওয়া, সাবেক প্রতিমন্ত্রী মোতাহার হোসেনের গাড়ি জব্দ

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী এবং লালমনিরহাট-১ (হাতীবান্ধা-পাটগ্রাম) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মোতাহার হোসেনের প্রায় কোটি টাকা মূল্যের একটি গাড়ি স্থানীয়রা ধাওয়া করে। পরে পুলিশ গাড়িটি জব্দ করেছে।

সোমবার (১৬ জুন) সকালে লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার কাকিনা এলাকা থেকে গাড়িটি জব্দ করে পুলিশ। এ সময় গাড়ির চালক কাজল চন্দ্র রায় এবং তার সহযোগী আজিজকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আজ ভোরে হাতীবান্ধার দোলাপাড়া সীমান্ত সংলগ্ন একটি বাড়ি থেকে গাড়িটি বের করা হয়। স্থানীয়দের ধারণা, উদ্দেশ্য ছিল সাবেক এমপির ছেলের জন্য ঈদ সামগ্রী নিয়ে ঢাকায় যাওয়া।

বিষয়টি স্থানীয়দের নজরে এলে তারা গাড়িটিকে ধাওয়া করে। প্রায় ৪০ কিলোমিটার ধাওয়া খেয়ে গাড়িটি কালীগঞ্জের কাকিনা পেট্রোল পাম্পের কাছে পৌঁছালে এলাকাবাসী সেটিকে আটক করতে সক্ষম হয়।

খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে গাড়িটি জব্দ করে এবং গাড়িতে থাকা চালক কাজল চন্দ্র রায় ও তার সহযোগী আজিজকে আটক করে। পরে দুজনকে কালীগঞ্জ থানায় পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে।

কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেলিম মালিক সাংবাদিকদের জানান, সোমবার ভোরে আমরা খবর পাই যে, হাতীবান্ধার দোলাপাড়া সীমান্ত থেকে একটি দামি গাড়ি স্থানীয়রা ধাওয়ায় কাকিনা এলাকায় আটকে রেখেছে।

তাৎক্ষণিকভাবে আমাদের টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং গাড়িটি জব্দ করে। গাড়ির ভেতরে থাকা চালক কাজল চন্দ্র রায় এবং তার সহযোগী আজিজকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, গাড়িটি লালমনিরহাট-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মোতাহার হোসেনের।

এটিএম বুথে কিশোরীকে ধর্ষণ

Barishal Times Desk

Barishal Times Desk

১৬ জুন, ২০২৫ ১০:২৮

প্রিন্ট এন্ড সেভ

এটিএম বুথে কিশোরীকে ধর্ষণ

গাজীপুরের শ্রীপুরে এটিএম বুথে এক কিশোরীকে (১৪) ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার পর থেকে ওই বুথের নিরাপত্তাকর্মী পলাতক রয়েছেন। ভুক্তভোগীর বাবা বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। রোববার (১৫ জুন) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার মুলাইদ গ্রামের একটি কারখানার পাশের এটিএম বুথের ভেতর এ ঘটনা ঘটে।

অভিযুক্ত মো. লিটন মিয়া শ্রীপুর উপজেলার মুলাইদ গ্রামের আতাবুদ্দিন মুসার বাড়ির ভাড়াটিয়া। তার গ্রামের বাড়ির ঠিকানা জানা সম্ভব হয়নি। ঘটনার পর থেকে তিনি পলাতক। ভুক্তভোগী কিশোরীর বাড়ি নেত্রকোনা জেলার কলমাকান্দায়। সে মা-বাবার সঙ্গে শ্রীপুরের একটি গ্রামে ভাড়া বাড়িতে থাকে।

কিশোরীর স্বজনদের অভিযোগ, টাকা তোলার জন্য ওই এটিএম বুথে নিয়মিত আসা-যাওয়া করার সুবাদে নিরাপত্তাকর্মী মো. লিটনের সঙ্গে ভুক্তভোগী ও তার বাবার পরিচয় হয়। ভুক্তভোগীকে অন্য কারখানায় ভালো বেতনের চাকরির ব্যবস্থা করে দেওয়ার আশ্বাস দেন লিটন।

রোববার সকাল ৬টার দিকে কিশোরীর বাবা তার মেয়েকে নিয়ে ওই বুথে যান। বুথে যাওয়ার পর লিটন কিশোরীকে বুথের ভেতরে থাকা ছোট্ট একটি কক্ষে নিয়ে বসান। একপর্যায়ে লিটন মিয়া ওই কিশোরীকে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতে বলেন এবং তার বাবাকে বাড়িতে চলে যেতে বলেন। তার কথায় কিশোরীর বাবা সেখান থেকে চলে যান। পরে বুথের ভেতর তাকে ধর্ষণ করেন লিটন।

শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল বারিক বলেন, কিশোরী ধর্ষণে অভিযুক্ত ওই নিরাপত্তাকর্মী পলাতক রয়েছেন। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করা হচ্ছে। এ ঘটনায় কিশোরীর বাবা রোববার সন্ধ্যায় মামলা দায়ের করেছেন।

এটিএম বুথে কিশোরীকে ধর্ষণ

Barishal Times Desk

Barishal Times Desk

১৬ জুন, ২০২৫ ১০:১৪

প্রিন্ট এন্ড সেভ

প্রশাসনকে ‘ম্যানেজ’ করে বালু ব্যবসা, অস্তিত্ব সংকটে নদী

নীলফামারীর ডিমলায় তিস্তাসহ একাধিক নদ-নদী বালুখেকোদের আগ্রাসনে অস্তিত্ব সংকটে ভুগছে। প্রতিদিন অনিয়ন্ত্রিতভাবে বালু ও মাটি উত্তোলনের ফলে নদীর তলদেশ ভেঙে যাচ্ছে, কমছে নাব্য, ধসছে তীর। সরকার অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে কঠোর অবস্থানে থাকলেও স্থানীয় প্রশাসনের নীরবতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

শুষ্ক মৌসুমে নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার তিস্তা, বুড়ি তিস্তা, কুমলাই, নাউতারাসহ একাধিক নদ-নদীর পানি শুকিয়ে চর জেগে উঠলে একশ্রেণির প্রভাবশালী মহল অবৈধভাবে বালু ও মাটি কাটতে শুরু করে। অভিযোগ উঠেছে, এলাকাভিত্তিক আধিপত্য বিস্তার করে লাখ লাখ টাকার বালু বাণিজ্য চলে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, এই অবৈধ বালু তোলার পেছনে একটি শক্তিশালী চক্র জড়িত, যার মধ্যে স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তি ও বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা রয়েছেন। তারা অবৈধ বালু তোলার মাধ্যমে আর্থিকভাবে লাভবান হলেও সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব এবং নদী হারাচ্ছে তার নাব্য।

ইজারাদারদের তথ্যমতে, উপজেলার তিস্তা, বুড়ি তিস্তা ও নাউতারা নদীর বিভিন্ন ঘাট থেকে প্রতিদিন শতাধিক ট্রাক্টর দিয়ে কয়েক লক্ষাধিক টাকার বালু অবৈধভাবে উত্তোলন করছে এই চক্রটি। নদী তীরের মানুষের অভিযোগ, প্রশাসনকে ‘ম্যানেজ’ করেই চলছে এই রমরমা বালু বাণিজ্যের ব্যবসা। তাদের ভাষ্য, স্থানীয় প্রশাসনের লোকজন নদীর পাড়ে এসে টাকা নিয়ে যায়, আর রাজনৈতিক দলের কিছু স্থানীয় নেতা পাহারা দেন।

ডিমলার নাউতারা ইউনিয়নের পূর্ব সাতজান, শালহাটি বাজার, পূর্ব ছাতনাই ইউনিয়নের কলোনি বাজার, খগাখড়িবাড়ী ইউনিয়নের পাগলপাড়া, টেপাখড়িবাড়ী ইউনিয়নের তেলির বাজার, তিস্তা বাজার, ঝুনাগাছ চাপানি ইউনিয়নের ছোটখাতা গ্রোয়িং (তিস্তা নদীর বাঁধ), ডিমলা সদর ইউনিয়নের নটাবাড়ী (বুড়ি তিস্তা নদী) ও গয়াবাড়ী ইউনিয়নের কুমলাই নদী ঘুরে দেখা গেছে, গ্রামীণ জনপদের ভেতর দিয়ে একের পর এক ট্রাক্টর নদীর তীরবর্তী এলাকা থেকে অবৈধভাবে বালু ও মাটি উত্তোলন করে নিয়ে যাচ্ছে। বছরের পর বছর ধরে এভাবে বালু ও মাটি উত্তোলন করে এলাকার প্রভাবশালীসহ এই চক্রটি লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।

স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, এলাকার প্রভাবশালীর নির্দেশে নদীর পাড় থেকে বালু ও মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে অসাধু চক্রটি। ভয়ে কেউ কথা বলতে পারছে না। প্রশাসন দেখেও না দেখার ভান করছে। বালু উত্তোলনের ফলে প্রতিনিয়ত ভাঙছে নদীর তীর, পরিবর্তন হচ্ছে গতিপথ, নষ্ট হচ্ছে জীববৈচিত্র্য এবং ধ্বংস হচ্ছে পরিবেশ। স্থানীয়রা ক্ষতিগ্রস্ত হলেও ভয়ে কেউ বাধা দিতে সাহস পায় না।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন কৃষক অভিযোগ করে বলেন, কোনোভাবেই বন্ধ হচ্ছে না অবৈধ বালু ও মাটি উত্তোলন। এই বালু দিয়ে বাড়ি, রাস্তাসহ বিভিন্ন ভরাটের ব্যবসা করছে এই চক্রটি। নাউতারা নদীর সাতজান এলাকায় গভীর করে মাটি কাটা ও বালু উত্তোলনের ফলে প্রতি বছরই বর্ষা মৌসুমে এর খেসারত দিতে হয় নদীর ধারের জমির মালিকদের। ক্ষতি হয় ফসলি জমির, অনেক গাছপালা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়।

ওসমান গনি নামের এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, গুটিকয়েক লোকের স্বার্থ হাসিলের জন্য অথবা ব্যক্তিগত লাভবান হওয়ার জন্য এভাবে সর্বনাশ মেনে নেওয়া যায় না। এ ক্ষতি রোধ করতে হবে। অবিলম্বে এই অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধ করে দোষী ব্যক্তিদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কেউ এই চক্রের সঙ্গে জড়িত থেকে সুযোগ-সুবিধা নিচ্ছে কি না, সেটা তদন্ত করে বের করতে হবে।

গোলজার হোসেন নামে এক ঠিকাদার জানান, ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাজ থেকে ইজারা নিয়ে তিনি বিপাকে পড়েছেন। কারণ অবৈধভাবে যারা বালু তুলছে, তারা কম দামে বিক্রি করছে। ফলে লোকসান গুনতে হচ্ছে বৈধ ইজারাদারদের। এভাবে চলতে থাকলে আগামীতে কেউ ইজারা নেবে না এবং সরকারের ঘরে রাজস্বও বন্ধ হয়ে যাবে।

উল্লেখ্য, অবৈধ বালু ও মাটি উত্তোলন বন্ধে সরকার কঠোর অবস্থানে রয়েছে। সম্প্রতি কার্যকর হওয়া বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা (সংশোধন) আইন, ২০২৩ অনুযায়ী এ ধরনের অপরাধের জন্য সর্বোচ্চ দুই বছর কারাদণ্ড এবং ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। ২০১০ সালের মূল আইনের এই সংশোধিত সংস্করণটি পরিবেশগত ক্ষতি প্রতিরোধ এবং প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষায় সরকারের কঠোর অবস্থানেরই ইঙ্গিত বহন করে। এছাড়া ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ এক যুগান্তকারী রায়ে ঘোষণা করে যে, বাংলাদেশের সব নদী একটি ‘আইনি সত্তা’ (legal entity) হিসেবে গণ্য হবে। এর ফলে নদীগুলো ব্যক্তির মতো আইনি অধিকার লাভ করে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিমলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ইমরানুজ্জামান জানান, যারা অবৈধভাবে বালু বা মাটি উত্তোলন করছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কোনো অন্যায়কে প্রশ্রয় দেওয়া হবে না।

আওয়ামী লীগ নেতার গাড়িতে ঘুরছেন বিএনপি নেতা

Barishal Times Desk

Barishal Times Desk

১৫ জুন, ২০২৫ ১২:৫২

প্রিন্ট এন্ড সেভ

আওয়ামী লীগ নেতার গাড়িতে ঘুরছেন বিএনপি নেতা

রাজশাহী জেলা বিএনপির সদস্য সচিব বিশ্বনাথ সরকার আওয়ামী লীগের এক নেতার ব্যক্তিগত গাড়িতে ঘুরছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। সিসি ক্যামেরায় ধারণ করা ফুটেজ অনুযায়ী, গত ১১ জুন গোদাগাড়ী উপজেলার খেতুরী ধামের সামনে একটি কালো রঙের প্রাইভেটকার থেকে নামেন বিশ্বনাথ সরকার, তার ভাতিজা অলোক সরকার আলো এবং সেন্টু সরকার নামের আরেক ব্যক্তি।

গাড়িটির মালিক গোদাগাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-প্রচার সম্পাদক ও সাবেক কাস্টমস কর্মকর্তা সুনন্দন দাস রতন। দুর্নীতি ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে আলোচিত রতন স্থানীয়ভাবে রাজনীতিতেও সক্রিয়।

তিনি সাবেক এমপি ওমর ফারুক চৌধুরীর ঘনিষ্ঠ এবং শ্রী শ্রী গৌরাঙ্গদেব ট্রাস্টি বোর্ডের সাবেক সদস্য ছিলেন। তবে দুর্নীতিসহ নানা অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত ৮ ফেব্রুয়ারি তাকে ট্রাস্টি বোর্ড থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

ঘটনার বিষয়ে গাড়িচালক ইসরাইল হোসেন গণমাধ্যমকে জানান, গাড়িটি রতনের মালিকানাধীন এবং তিনি ১১ জুন রাজশাহী শহর থেকে ওই তিনজনকে নিয়ে খেতুরী ধামে গিয়েছিলেন। যদিও এ বিষয়ে সুনন্দন দাস রতনের কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি, কারণ একাধিকবার ফোন করেও তিনি ফোন ধরেননি।

ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্যদের অভিযোগ, অব্যাহতির পর রতন এখন পুরো বোর্ড ভেঙে দেওয়ার ষড়যন্ত্র করছেন। গত মার্চে তিনি ধামে (মন্দির) তালা লাগানোর চেষ্টা করেছিলেন তার লোকজন পাঠিয়ে। এবার বিএনপি নেতাদের ব্যবহার করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপচেষ্টা চলছে।

তাদের অভিযোগ, বিশ্বনাথ সরকার বোর্ডকে জানিয়েছিলেন, ১৩ জুন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ধামে আসবেন। এই তথ্যকে ঘিরেই মিলনমেলা আয়োজনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছিল। তবে পরে জানা যায়, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের কোনো আগমনের পরিকল্পনাই ছিল না। তার নাম ভাঙিয়ে একটি অনাকাঙ্ক্ষিত বৈঠক আয়োজনের চেষ্টাই ছিল মূল উদ্দেশ্য।

স্থানীয় বিএনপিপন্থি সংগঠন হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান কল্যাণ ফ্রন্টের নামে ওই ‘মিলনমেলা’ আয়োজনের কথা বলা হলেও শেষ পর্যন্ত তা অনুষ্ঠিত হয়নি। সংগঠনটি পরে এক সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করে, অনুষ্ঠানের আগের দিন মাটিকাটা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি এহসানুল কবির টুকু সেখানে গিয়ে সহদেব কুমার পান্না নামে এক ভক্তকে মারধর করেন এবং ধাম থেকে বের করে দেন, যার ফলে অনুষ্ঠান বাতিল হয়।

তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন টুকু। তিনি দাবি করেন, কেন্দ্রীয় নেতার আগমনের খবরে প্রস্তুতি দেখতে তিনি ধামে যান এবং সেখানে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি সহদেব কুমার পান্নাকে দেখতে পেয়ে তাকে বিএনপির আয়োজনে অংশ না নিতে বলেন। মারধরের কোনো ঘটনা ঘটেনি বলেও দাবি করেন তিনি।

এদিকে, রোববার দুপুরে ধাম প্রাঙ্গণে এক সংবাদ সম্মেলনে ট্রাস্টি বোর্ড হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান কল্যাণ ফ্রন্টের অভিযোগকে ‘পুরোপুরি মিথ্যা’ বলে দাবি করে। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বোর্ডের সভাপতি বিদ্যুৎ নারায়ণ সরকার। সঙ্গে ছিলেন ট্রাস্টি সদস্য শ্যামাপদ স্যানাল, গণেশ চন্দ্র ঘোষ, রামকুমার সাহা, বাবু মণ্ডল বাবু ও রাজানাথ পাল।

তারা জানান, ১১ থেকে ১৩ জুন পর্যন্ত ধামে অন্তত ৫০ জন পুলিশ সদস্য মোতায়েন ছিলেন। সেখানে কাউকে মারধরের সুযোগ ছিল না। সিসি ক্যামেরার ফুটেজেও এমন কিছু দেখা যায়নি।

তারা আরও দাবি করেন, রতন ধামের ভেতর দিয়ে তার নিজস্ব জমিতে রাস্তা নির্মাণের চেষ্টা করছিলেন, যা ব্যক্তিস্বার্থে ছিল। এ কারণেই তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এরপর থেকেই তিনি বিশ্বনাথ সরকার ও বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য দেবাশিষ রায় মধুকে ব্যবহার করে বোর্ড ভাঙার ষড়যন্ত্র করছেন।

বিশ্বনাথ সরকার যদিও দাবি করেছেন, তিনি রতনকে চিনেন না এবং তার গাড়িতে চড়ার অভিযোগ ভিত্তিহীন, তবে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা দেবাশিষ রায় মধু বিষয়টি অস্বীকার করেননি। তিনি বলেন, এই ট্রাস্টি বোর্ডটি ফ্যাসিস্ট সরকারের ঘনিষ্ঠদের দ্বারা গঠিত। আমরা হিন্দু সম্প্রদায়ের ইচ্ছানুযায়ী এটিকে পুনর্গঠনের উদ্যোগ নিয়েছি।

custom sidebar ads

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.

জনপ্রিয়

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.