primary-ads

সারাদেশ

ছাত্রদল নেতার মাথা ফাটালেন পুলিশ কর্মকর্তা

নিজস্ব প্রতিবেদন

১১ জুন, ২০২৫ ০৭:৫৮

প্রিন্ট এন্ড সেভ

ছাত্রদল নেতার মাথা ফাটালেন পুলিশ কর্মকর্তা

নেত্রকোনার আটপাড়ায় ছুটিতে এসে এক ছাত্রদল নেতাকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের উত্তরখান থানায় কর্মরত এসআই জাহিদুল হাসানের বিরুদ্ধে।

সোমবার (১০ জুন) বেলা ১টার দিকে উপজেলার শুনই ইউনিয়নের নতুন বাজার এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। বর্তমানে এসআই জাহিদুলেঈদুল আজহার ছুটিতে বাড়িতে অবস্থান করছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রদল নেতা শাকিলের ছোট ভাই মনির বাজারে গেলে সেখানে এসআই জাহিদের ছোট ভাই তাকে চড়-থাপ্পড় মারেন। এ ঘটনা জানার পর শাকিল বাজারে গিয়ে তার ভাইকে মারধরের কারণ জানতে চান। তখন এসআই জাহিদুল ও তার তিন ভাই রতন, হৃদয় ও হিমেল ছাত্রদল নেতা শাকিল এবং তার চাচা মোস্তাকিমের (৪৫) ওপর হামলা চালান।

অভিযোগ রয়েছে, হামলার সময় এসআই জাহিদ কাঠের লাঠি দিয়ে শাকিলের মাথায় আঘাত করেন। এতে শাকিল গুরুতর আহত হন। আহত অবস্থায় শাকিল ও তার চাচাকে প্রথমে আটপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

পরে শাকিলকে পাঠানো হয় নেত্রকোনা সদর হাসপাতালে এবং মোস্তাকিমকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

আহত ছাত্রদল নেতা শাকিল ২০২৪ সালের জুলাই মাসে ঢাকায় গণঅভ্যুত্থানের সময় আহত হন এবং সরকার ঘোষিত ভাতার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হন।

উল্লেখ্য, অভিযুক্ত এসআই জাহিদুল হাসান রিয়াদ উপজেলার শুনই ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি সুলতান মিয়ার ছেলে।

এ ব্যাপারে আহত ছাত্রদল নেতা শাকিল সাংবাদিকদের বলেন, আমি আমার ছোট ভাইকে মারার কারণ জানতে গেলে এসআই জাহিদুল ও তার ভাইয়েরা আমাকে বলে অনেক বড় নেতা হয়ে গেছিস, এখন তোর কোন বাপে তোরে বাঁচায় দেখব- এটা বলে আমার ও আমার চাচার ওপর হামলা চালায়।

এসআই জাহিদুল বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগটি ভিত্তিহীন। আমি কাউকে মারধর করিনি। ঘটনাটি রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার করার চেষ্টা চলছে।

আটপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান বলেন, ঘটনার বিষয়ে এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'

যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দিদের ঈদ কেটেছে ফিরনি, মাংস আর রুই মাছের আয়োজনে

Barishal Times Desk

Barishal Times Desk

১২ জুন, ২০২৫ ০৯:৫৭

প্রিন্ট এন্ড সেভ

যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দিদের ঈদ কেটেছে ফিরনি, মাংস আর রুই মাছের আয়োজনে

বাইরের পৃথিবীতে ঈদের আনন্দ যতটাই রঙিন, তারই ছোঁয়া ছিল যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারের চার দেয়ালের ভেতরও। ঈদের নামাজ, বিশেষ খাবার এবং সীমিত বিনোদনের মধ্য দিয়ে ঈদের দিনটি উদযাপন করেছেন কারাগারের ১ হাজার ২৫৫ জন বন্দি।

এদের মধ্যে নারী বন্দি রয়েছেন ৫৫ জন। ঈদে তাদেরকে ফুলের শুভেচ্ছা জানান যশোরে কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেলসুপার নুরশেদ আহমেদ ভূইয়া।  কারাগার সূত্র জানায়, শনিবার (১০ জুন) সকাল থেকেই বন্দিদের জন্য শুরু হয় ঈদের আয়োজন।

সব বন্দিই এতে অংশ নেন সমানভাবে খাবার ও আচরণে ছিল না কোনো শ্রেণিভিত্তিক বিভাজন। বন্দি অবস্থায় ঈদ উদযাপন করেছেন যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন, যশোরের বিভিন্ন উপজেলা পর্যায়ের আওয়ামী লীগ নেতা ও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানরাও। কেউ কেউ ‘ভিআইপি’ সুবিধা প্রত্যাশা করলেও কারা কর্তৃপক্ষ তা মেনে নেয়নি।

কারা সূত্রে জানা যায়, বন্দিদের অনেক স্বজন বাড়িতে রান্না করা খাবার কারাগারে নিয়ে আসেন। সেগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে নির্ধারিত বন্দিদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়। এছাড়াও এদিন বন্দিদের স্বজনদের সাথে দেখার ব্যবস্থা কারে কর্তৃপক্ষ।

যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার শরিফুল আলম জানান, বন্দিরা নিজেরা ঈদের আগের রাতেই কারাগারের ভেতরে রঙিন কাগজ দিয়ে নামাজের জায়গা সাজিয়ে নেন। এটি ছিল সম্পূর্ণ তাদের স্বতঃস্ফূর্ত উদ্যোগ।

ঈদের দিন সকাল সাড়ে ৮টায় কারাগারে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। পরে মিষ্টিমুখ ও ফুলের শুভেচ্ছা বিনিময় করা হয়।  সকালবেলায় বন্দিদের দেওয়া হয় ফিরনি ও মুড়ি। দুপুরের খাবারে পরিবেশন করা হয় পোলাও, গরু ও খাসির মাংস, সালাদ, মিষ্টি এবং পান-সুপারি। আর রাতের মেন্যুতে ছিল সাদা ভাত, রুই মাছ ও আলুর দম। জেলার বলেন, চেষ্টা করেছি বন্দিরা যেন ঈদের আনন্দ থেকে বঞ্চিত না হন।

আমরা আন্তরিকভাবে আপ্যায়ন করেছি, এতে বন্দিরা সন্তুষ্ট হয়েছেন। উল্লেখ্য, যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে বর্তমানে বন্দির সংখ্যা এক হাজার ২৫৫ জন। এর মধ্যে এক হাজার ২০০ জন পুরুষ এবং ৫৫ জন নারী বন্দি।

জেলা আওয়ামলীগ সভাপতি শহিদুল ইসলাম মিলন, শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক শেখ আতিকুর রহমান বাবু ছাড়াও কারাগারে ঈদ কাটিয়েছেন নরেন্দ্রপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাজু আহম্মেদ, চৌগাছা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও ফুলসারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মেহেদী মাসুদ চৌধুরী, বাঘারপাড়ার রায়পুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুনজুর রশিদ স্বপন, মনিরামপুরের রোহিতা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাফিজ উদ্দিন প্রমুখ।

যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দিদের ঈদ কেটেছে ফিরনি, মাংস আর রুই মাছের আয়োজনে

Barishal Times Desk

Barishal Times Desk

১২ জুন, ২০২৫ ০৭:৩৮

প্রিন্ট এন্ড সেভ

যশোরের শার্শা  বিএনপি কর্মীকে কুপিয়ে হত্যা, ৪ আসামী আটক

যশোরের শার্শা উপজেলায় পুর্ব শত্রুতার জেরে লিটন হোসেন (৩০) নামে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যার চার ঘন্টার মধ্যে এজাহারভুক্ত দুই আসামীসহ মোট চার জনকে আটক করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (১১ জুন) রাত ১২ টার দিকে তাদেরকে আটক করে শার্শা থানা পুলিশ আটককৃতরা হলো উপজেলার দূর্গাপুর গ্রামের মৃত কাশেম আলীর ছেলে আজগার আলী(৩২) ও শমসের আলী(৪৫)।এছাড়াও তদন্তে সন্দিগ্ধতা এজাহারভুক্ত মৃত মুনসুর আলীর ছেলে সামসুল হক(৫২) ও আব্দুল হক মিয়া(৫৫)।

পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮ টার দিকে উপজেলার লক্ষনপুর ইউনিয়নের দুর্গাপুর গ্রামে কুপিয়ে যুবক নিহতের খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।পরে ওইদিন ওইদিন রাতেই নিহত লিটনের পিতা আজগার আলী বাদী হয়ে শার্শা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।পরে আসমী আটকে পুলিশ অভিযান চালিয়ে মামলা দায়েরের পর' মাত্র সাড়ে ৪ ঘন্টার মধ্যে ৪ জনকে আটক করে।

 শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)  কেএম রবিউল ইসলাম জানান,আটক আসামীদের বিজ্ঞ আদালতে সোর্পদ করা হয়েছে।উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার ১০জুন রাতে নিহত লিটন একটি চায়ের দোকানে বসে চা  খাচ্ছিলো, এসময় ওই এলাকার সেলিম ও রমজান সঙ্গীয় সন্ত্রাসী সাথে নিয়ে তাকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি ভাবে কুপিয়ে জখম করে।

এ সময় তার আত্মচিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে হামলাকারীরা দ্রুত পালিয়ে যায়। পরে আগত লিটনকে উদ্ধার করে স্বজনরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

 নিহতের পিতা আজগর আলী জানান, স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা  আ: মমিন, সেলিম হোসেন ও রমজান আলীর সঙ্গে তার ছেলের দীর্ঘ দিন রাজনৈতিক বিরোধ চলে আসছিল।

তারা এর আগেও লিটনকে কয়েকবার মারধরও করেছে। ঈদের আগের দিনও লিটনের সাথে ওদের তর্ক-বিতর্ক হয়। এসব ঘটনার জেরে লিটনকে তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবী করেন পিতা আজগর আলী।

বিএনপি নেতাকে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টা, দুই পুলিশ সদস্য ক্লোজড

Barishal Times Desk

Barishal Times Desk

১২ জুন, ২০২৫ ০৬:৪৩

প্রিন্ট এন্ড সেভ

বিএনপি নেতাকে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টা, দুই পুলিশ সদস্য ক্লোজড

নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে বিএনপি নেতা ও ফার্মেসি ব্যবসায়ী সাদেকুর রহমানের দোকানে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টা এবং চাঁদা দাবির ঘটনায় অভিযুক্ত দুই পুলিশ সদস্যকে ক্লোজড করেছে পুলিশ।

বুধবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার নাসিরউদ্দিন। ক্লোজড হওয়া দুই পুলিশ সদস্য হলেন- সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) কুতুবউদ্দিন (৪৫) ও কনস্টেবল আবুল খায়ের (৩৫)। আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার নাসিরউদ্দিন জানান, অভিযুক্ত দুই পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে এবং তাদের ক্লোজড করা হয়েছে।

custom sidebar ads

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.

জনপ্রিয়

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.