
০১ জুলাই, ২০২৫ ১৭:০১
বরগুনার তালতলীতে উপজেলা বিএনপির দুই গ্রুপের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি চলাকালে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ১৪ জন আহত হয়েছে। মঙ্গলবার (০১ জুলাই) বেলা ১১ টার দিকে উপজেলার সদর রোডে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন - সিদ্দিকুর রহমান (৩০), শাকিল হোসেন (২৭), রবিউল মুসুল্লি (২৬), মহসিন খান (২৭), মান্নু(৪৫), আলাউদ্দিন (৪৫), কবির হোসেন (৩৫), রহিম হাওলাদার (৪০), রুবেল হোসেন (৩৪), সাহাবিদ খান (৪২), আঃ হাই (৫০), সাইদুল ইসলাম (৩৫), নুর মোহাম্মদ (৪৫), মিজানুর রহমান ওরফে টাস মিজান (২৫)। তাদের মধ্যে গুরুতর আহত অবস্থায় ৪ জনকে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো. শহিদুল হকের নেতৃত্বে একটি গ্রুপ এবং অপর একটি গ্রুপের নেতৃত্ব দেন তালতলী বাজার বহুমুখী সাধারণ ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি উপজেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক মাহবুবুল আলম মামুন ও উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব মিয়া রিয়াজুল ইসলাম রিয়াজ।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোমবার (৩০ জুন) উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো. শহিদুল হকের বিরুদ্ধে মারধর ও চাঁদাবাজির অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেন বিএনপি কর্মী ও ব্যবসায়ী মো. আবুল কালাম।
এসময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ও তালতলী বাজার বহুমুখী সাধারণ ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মাহবুবুল আলম মামুন, কৃষক দলের বরগুনা জেলা সহসভাপতি অধ্যক্ষ হারুন অর রশিদ খান, উপজেলা বিএনপি'র যুগ্ম আহ্বায়ক মিয়া শামিম আহসান, মংসেলন তালুকদার, যুবদলের সদস্য সচিব মিয়া রিয়াজুল ইসলাম রিয়াজ, শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান, উপজেলা কৃষক দলের সভাপতি জাফর হাওলাদার প্রমুখ।
এঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে মঙ্গলবার (০১ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০ টায় উপজেলা বিএনপি'র আহ্বায়ক মো. শহিদুল হকের সমর্থকরা মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে। এ কর্মসূচি পালনের সময় উপজেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক মাহবুবুল আলম মামুন ও যুবদলের সদস্য সচিব মিয়া রিয়াজুল ইসলাম রিয়াজ এর নেতৃত্বে একই স্থানে সমাবেশ করার জন্য বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে সমবেত হন। একই স্থানে উভয়পক্ষ মুখোমুখী হলে দুই গ্রুপের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
একপর্যায়ে তাদের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। এ সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, পুলিশ ও নৌবাহিনী মাইকিং করে শহরের দোকানপাট বন্ধ করে দেন এবং ঘন্টা ব্যাপী চেষ্টা করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। আহতরা সবাই তালতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। গুরুতর অবস্থায় ৪ জনকে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
তালতলী স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মনিরুল ইসলাম বলেন, আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করা হয়েছে। এদের মধ্যে ৪ জন গুরুতর আহত থাকায় তাদেরকে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
উপজেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক ও তালতলী বাজার বহুমুখী সাধারণ ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মাহবুবুল আলম মামুন বলেন, উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো. শহিদুল হক চাঁদার দাবিতে প্রতিবন্ধী ব্যবসায়ী আবুল কালাম কে মারধর করেন।
এঘটনায় মঙ্গলবার ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। আমরা উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা ব্যবসায়ীদের পক্ষে একাত্মতা প্রকাশ করি।
এ কর্মসূচি চলাকালীন সময়ে শহিদুল হকের নেতৃত্বে ব্যবসায়ীদের উপর অতর্কিত হামলা করলে কয়েকজন ব্যবসায়ী ও বিএনপি নেতাকর্মী আহত হয়। মামুন আরো বলেন, উপজেলা বিএনপি'র আহবায়ক মো. শহিদুলের বিষয়ে সাংগঠনিক ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা না নিলে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
এসব অভিযোগ অস্বীকার করে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো. শহিদুল হক বলেন, আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচারের প্রতিবাদে মানববন্ধন চলছিলো। এসময় উপজেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক মাহবুবুল আলম মামুন ও যুবদলের সদস্য সচিব মিয়া রিয়াজুল ইসলাম রিয়াজের নেতৃত্বে আমার সমর্থকদের উপর হামলা চালায়।
তালতলী থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ শাহজালাল বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে নৌ বাহিনীর সাথে মিলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। এ ব্যাপারে কোন পক্ষ কোন অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা উম্মে সালমা বলেন, বিএনপির দু'গ্রুপের সংঘর্ষের খবর পেয়ে নৌবাহিনীর সহায়তায় ১ ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা হয়েছে। আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে শহরের দোকানপাট ২ ঘন্টার জন্য বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বরগুনার তালতলীতে উপজেলা বিএনপির দুই গ্রুপের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি চলাকালে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ১৪ জন আহত হয়েছে। মঙ্গলবার (০১ জুলাই) বেলা ১১ টার দিকে উপজেলার সদর রোডে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন - সিদ্দিকুর রহমান (৩০), শাকিল হোসেন (২৭), রবিউল মুসুল্লি (২৬), মহসিন খান (২৭), মান্নু(৪৫), আলাউদ্দিন (৪৫), কবির হোসেন (৩৫), রহিম হাওলাদার (৪০), রুবেল হোসেন (৩৪), সাহাবিদ খান (৪২), আঃ হাই (৫০), সাইদুল ইসলাম (৩৫), নুর মোহাম্মদ (৪৫), মিজানুর রহমান ওরফে টাস মিজান (২৫)। তাদের মধ্যে গুরুতর আহত অবস্থায় ৪ জনকে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো. শহিদুল হকের নেতৃত্বে একটি গ্রুপ এবং অপর একটি গ্রুপের নেতৃত্ব দেন তালতলী বাজার বহুমুখী সাধারণ ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি উপজেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক মাহবুবুল আলম মামুন ও উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব মিয়া রিয়াজুল ইসলাম রিয়াজ।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোমবার (৩০ জুন) উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো. শহিদুল হকের বিরুদ্ধে মারধর ও চাঁদাবাজির অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেন বিএনপি কর্মী ও ব্যবসায়ী মো. আবুল কালাম।
এসময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ও তালতলী বাজার বহুমুখী সাধারণ ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মাহবুবুল আলম মামুন, কৃষক দলের বরগুনা জেলা সহসভাপতি অধ্যক্ষ হারুন অর রশিদ খান, উপজেলা বিএনপি'র যুগ্ম আহ্বায়ক মিয়া শামিম আহসান, মংসেলন তালুকদার, যুবদলের সদস্য সচিব মিয়া রিয়াজুল ইসলাম রিয়াজ, শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান, উপজেলা কৃষক দলের সভাপতি জাফর হাওলাদার প্রমুখ।
এঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে মঙ্গলবার (০১ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০ টায় উপজেলা বিএনপি'র আহ্বায়ক মো. শহিদুল হকের সমর্থকরা মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে। এ কর্মসূচি পালনের সময় উপজেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক মাহবুবুল আলম মামুন ও যুবদলের সদস্য সচিব মিয়া রিয়াজুল ইসলাম রিয়াজ এর নেতৃত্বে একই স্থানে সমাবেশ করার জন্য বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে সমবেত হন। একই স্থানে উভয়পক্ষ মুখোমুখী হলে দুই গ্রুপের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
একপর্যায়ে তাদের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। এ সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, পুলিশ ও নৌবাহিনী মাইকিং করে শহরের দোকানপাট বন্ধ করে দেন এবং ঘন্টা ব্যাপী চেষ্টা করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। আহতরা সবাই তালতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। গুরুতর অবস্থায় ৪ জনকে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
তালতলী স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মনিরুল ইসলাম বলেন, আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করা হয়েছে। এদের মধ্যে ৪ জন গুরুতর আহত থাকায় তাদেরকে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
উপজেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক ও তালতলী বাজার বহুমুখী সাধারণ ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মাহবুবুল আলম মামুন বলেন, উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো. শহিদুল হক চাঁদার দাবিতে প্রতিবন্ধী ব্যবসায়ী আবুল কালাম কে মারধর করেন।
এঘটনায় মঙ্গলবার ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। আমরা উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা ব্যবসায়ীদের পক্ষে একাত্মতা প্রকাশ করি।
এ কর্মসূচি চলাকালীন সময়ে শহিদুল হকের নেতৃত্বে ব্যবসায়ীদের উপর অতর্কিত হামলা করলে কয়েকজন ব্যবসায়ী ও বিএনপি নেতাকর্মী আহত হয়। মামুন আরো বলেন, উপজেলা বিএনপি'র আহবায়ক মো. শহিদুলের বিষয়ে সাংগঠনিক ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা না নিলে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
এসব অভিযোগ অস্বীকার করে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো. শহিদুল হক বলেন, আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচারের প্রতিবাদে মানববন্ধন চলছিলো। এসময় উপজেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক মাহবুবুল আলম মামুন ও যুবদলের সদস্য সচিব মিয়া রিয়াজুল ইসলাম রিয়াজের নেতৃত্বে আমার সমর্থকদের উপর হামলা চালায়।
তালতলী থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ শাহজালাল বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে নৌ বাহিনীর সাথে মিলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। এ ব্যাপারে কোন পক্ষ কোন অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা উম্মে সালমা বলেন, বিএনপির দু'গ্রুপের সংঘর্ষের খবর পেয়ে নৌবাহিনীর সহায়তায় ১ ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা হয়েছে। আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে শহরের দোকানপাট ২ ঘন্টার জন্য বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

০৮ নভেম্বর, ২০২৫ ১৩:৫৬
বরগুনা-১ (সদর, আমতলী ও তালতলী) আসনে বিএনপির মনোনয়ন না পেলেও নির্বাচন করবেন বলে জানিয়েছেন মতিয়ার রহমান তালুকদার। স্থানীয়রা বলছেন, বিদ্রোহী প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নিলে এ আসনে বিএনপির জয় পাওয়া কঠিন হবে।
জানা যায়, এই আসনে (তৎকালীন বরগুনা-৩) ১৯৮৮ সালে চতুর্থ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টি থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন মতিয়ার রহমান তালুকদার। তিনি বরগুনা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসাবেও দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯১ সালের নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগ প্রার্থী মজিবুর রহমান তালুকদারের কাছে অল্প ভোটে হেরে যান। ২০০১ সালে সাড়ে তিন হাজার ভোটে মতিয়ারকে পরাজিত করে এমপি নির্বাচিত হন শেখ হাসিনা। ওই নির্বাচনে শেখ হাসিনা ৩টি আসন থেকে নির্বাচিত হওয়ায় এই আসনটি ছেড়ে দেন। ওই সময় বিএনপি সরকার গঠনের পর তিন মাসের মধ্যে এ আসনে উপনির্বাচন দেওয়া হয়। এ সময় মতিয়ার বিএনপি থেকে মনোনয়ন নিয়ে বিপুল ভোটে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে বরগুনার ৩টি আসনকে ভেঙে করেন ২টি। বর্তমানে বরগুনা-১ (সদর, আমতলী ও তালতলী) আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ৫ লাখ ৫৭ হাজার ৮৭৪ জন।
মাতিয়ার যুগান্তরকে বলেন, ১৯৮৮ থেকে আমি আমতলী ও তালতলী উপজেলাকে নিজের মতো করে সাজিয়েছি। তাই সাধারণ জনগণ আমার দিকে তাকিয়ে রয়েছে। বরগুনা সদরের চেয়ে এ দুটি উপজেলায় ভোটারের সংখ্যা অনেক বেশি। তার দাবি, এ দুটি উপজেলার সাধারণ ভোটার তাকেই জয়যুক্ত করবেন।
বিএনপির জেলা কমিটির সাবেক সদস্য মতিয়ার জানান, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগ মুহূর্ত পর্যন্ত তিনি দলীয় মনোনয়নের অপেক্ষায় থাকবেন। এর মধ্যে অন্য দল থেকেও মনোনয়ন পেতে লবিং চালিয়ে যাবেন।
তিনি আরও জানান, দলীয় হাইকমান্ড কিছু আসনে মনোনয়ন পুনর্বিবেচনা করবে বলে তিনি জেনেছেন। তাই তিনি আশা করছেন, শেষ পর্যন্ত নিজ দল থেকেই মনোনয়ন পাবেন।
বরগুনা-১ (সদর, আমতলী ও তালতলী) আসনে বিএনপির মনোনয়ন না পেলেও নির্বাচন করবেন বলে জানিয়েছেন মতিয়ার রহমান তালুকদার। স্থানীয়রা বলছেন, বিদ্রোহী প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নিলে এ আসনে বিএনপির জয় পাওয়া কঠিন হবে।
জানা যায়, এই আসনে (তৎকালীন বরগুনা-৩) ১৯৮৮ সালে চতুর্থ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টি থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন মতিয়ার রহমান তালুকদার। তিনি বরগুনা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসাবেও দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯১ সালের নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগ প্রার্থী মজিবুর রহমান তালুকদারের কাছে অল্প ভোটে হেরে যান। ২০০১ সালে সাড়ে তিন হাজার ভোটে মতিয়ারকে পরাজিত করে এমপি নির্বাচিত হন শেখ হাসিনা। ওই নির্বাচনে শেখ হাসিনা ৩টি আসন থেকে নির্বাচিত হওয়ায় এই আসনটি ছেড়ে দেন। ওই সময় বিএনপি সরকার গঠনের পর তিন মাসের মধ্যে এ আসনে উপনির্বাচন দেওয়া হয়। এ সময় মতিয়ার বিএনপি থেকে মনোনয়ন নিয়ে বিপুল ভোটে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে বরগুনার ৩টি আসনকে ভেঙে করেন ২টি। বর্তমানে বরগুনা-১ (সদর, আমতলী ও তালতলী) আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ৫ লাখ ৫৭ হাজার ৮৭৪ জন।
মাতিয়ার যুগান্তরকে বলেন, ১৯৮৮ থেকে আমি আমতলী ও তালতলী উপজেলাকে নিজের মতো করে সাজিয়েছি। তাই সাধারণ জনগণ আমার দিকে তাকিয়ে রয়েছে। বরগুনা সদরের চেয়ে এ দুটি উপজেলায় ভোটারের সংখ্যা অনেক বেশি। তার দাবি, এ দুটি উপজেলার সাধারণ ভোটার তাকেই জয়যুক্ত করবেন।
বিএনপির জেলা কমিটির সাবেক সদস্য মতিয়ার জানান, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগ মুহূর্ত পর্যন্ত তিনি দলীয় মনোনয়নের অপেক্ষায় থাকবেন। এর মধ্যে অন্য দল থেকেও মনোনয়ন পেতে লবিং চালিয়ে যাবেন।
তিনি আরও জানান, দলীয় হাইকমান্ড কিছু আসনে মনোনয়ন পুনর্বিবেচনা করবে বলে তিনি জেনেছেন। তাই তিনি আশা করছেন, শেষ পর্যন্ত নিজ দল থেকেই মনোনয়ন পাবেন।

০১ নভেম্বর, ২০২৫ ১৬:২৫
বরগুনার তালতলী উপজেলায় দুই শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়েরের আট দিন পর আসামি মো. মোকলেছ মোল্লাকে (৫৯) আত্মগোপনে থাকাকালীন সময় গ্রেপ্তার করেছে পটুয়াখালী র্যাব-৮। গ্রেপ্তারের পর আসামি মোকলেছ মোল্লাকে তালতলী থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার সোনা কাটা ইউনিয়নের সকিনা এলাকার মৃত আলমগীর মোল্লার ছেলে মোকলেস মোল্লা (৫৯) এর বিরুদ্ধে গত ২২ অক্টোবর-২০২৫ পৃথক পৃথকভাবে তালতলী থানায় দুই ভুক্তভোগীর বাবা ও মা বাদী হয়ে শিশু ধর্ষণের অভিযোগে দুটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। এর আগে গত ৪ ও ৬ অক্টোবর উপজেলার সোনাকাটা ইউনিয়নের সকিনা এলাকায় নয় ও দশ বছরের দুই শিশু ধর্ষণের ঘটনা ঘটে।
প্রথম মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে ৪ অক্টোবর দুপুরে প্রতিবেশী মোকলেছ মোল্লা দশ বছরের শিশুটিকে খাবারের প্রলোভন দেখিয়ে তার নিজ বাড়িতে ডেকে নেয়। পরে ঘরের বারান্দায় ভয়-ভীতি দেখিয়ে শিশুটিকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরে ওই শিশুর বাবা বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন।
একই এলাকার অন্য মামলায় নয় বছর বয়সী শিশুটির মা অভিযোগ করেন, ৬ অক্টোবর বিকেলে তিনি স্বামীর সঙ্গে স্থানীয় বাজারে ঔষধ কিনতে যান। ওই সময় বাড়িতে একা থাকা অবস্থায় মোকলেছ মোল্লা শিশুটির ঘরে প্রবেশ করে বিভিন্ন ভয়-ভীতি দেখিয়ে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়।
পরে ভুক্তভোগী ওই দুই শিশুর পরিবারের সদস্যরা ধর্ষণের বিষয় জানতে পেরে প্রতিবেশী মোকলেছ মোল্লাকে অভিযুক্ত করে তালতলী থানায় পৃথক দুটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। মামলার পরপরই আসামি মোকলেস মোল্লা গা-ঢাকা দিয়ে আত্মগোপনে চলে যায়। পরে তাকে র্যাব-৮ এর সহায়তায় গত ২৯ অক্টোবর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বেতাগী থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এ বিষয়ে তালতলী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শাহজালাল বলেন, আসামি মোখলেস মোল্লার বিরুদ্ধে দুই শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে দুটি মামলা হয়েছে। এ মামলায় পটুয়াখালী র্যাব-৮ এর সদস্যরা তাকে বেতাগী উপজেলা থেকে গ্রেপ্তার করে তালতলী থানায় সোপর্দ করে। আসামি মোখলেস মোল্লাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়ছে। একই সাথে মামলার তদন্তের স্বার্থে ও ঘটনার রহস্য উদঘাটন করতে আদালতের নিকট রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে।
বরগুনার তালতলী উপজেলায় দুই শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়েরের আট দিন পর আসামি মো. মোকলেছ মোল্লাকে (৫৯) আত্মগোপনে থাকাকালীন সময় গ্রেপ্তার করেছে পটুয়াখালী র্যাব-৮। গ্রেপ্তারের পর আসামি মোকলেছ মোল্লাকে তালতলী থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার সোনা কাটা ইউনিয়নের সকিনা এলাকার মৃত আলমগীর মোল্লার ছেলে মোকলেস মোল্লা (৫৯) এর বিরুদ্ধে গত ২২ অক্টোবর-২০২৫ পৃথক পৃথকভাবে তালতলী থানায় দুই ভুক্তভোগীর বাবা ও মা বাদী হয়ে শিশু ধর্ষণের অভিযোগে দুটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। এর আগে গত ৪ ও ৬ অক্টোবর উপজেলার সোনাকাটা ইউনিয়নের সকিনা এলাকায় নয় ও দশ বছরের দুই শিশু ধর্ষণের ঘটনা ঘটে।
প্রথম মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে ৪ অক্টোবর দুপুরে প্রতিবেশী মোকলেছ মোল্লা দশ বছরের শিশুটিকে খাবারের প্রলোভন দেখিয়ে তার নিজ বাড়িতে ডেকে নেয়। পরে ঘরের বারান্দায় ভয়-ভীতি দেখিয়ে শিশুটিকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরে ওই শিশুর বাবা বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন।
একই এলাকার অন্য মামলায় নয় বছর বয়সী শিশুটির মা অভিযোগ করেন, ৬ অক্টোবর বিকেলে তিনি স্বামীর সঙ্গে স্থানীয় বাজারে ঔষধ কিনতে যান। ওই সময় বাড়িতে একা থাকা অবস্থায় মোকলেছ মোল্লা শিশুটির ঘরে প্রবেশ করে বিভিন্ন ভয়-ভীতি দেখিয়ে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়।
পরে ভুক্তভোগী ওই দুই শিশুর পরিবারের সদস্যরা ধর্ষণের বিষয় জানতে পেরে প্রতিবেশী মোকলেছ মোল্লাকে অভিযুক্ত করে তালতলী থানায় পৃথক দুটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। মামলার পরপরই আসামি মোকলেস মোল্লা গা-ঢাকা দিয়ে আত্মগোপনে চলে যায়। পরে তাকে র্যাব-৮ এর সহায়তায় গত ২৯ অক্টোবর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বেতাগী থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এ বিষয়ে তালতলী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শাহজালাল বলেন, আসামি মোখলেস মোল্লার বিরুদ্ধে দুই শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে দুটি মামলা হয়েছে। এ মামলায় পটুয়াখালী র্যাব-৮ এর সদস্যরা তাকে বেতাগী উপজেলা থেকে গ্রেপ্তার করে তালতলী থানায় সোপর্দ করে। আসামি মোখলেস মোল্লাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়ছে। একই সাথে মামলার তদন্তের স্বার্থে ও ঘটনার রহস্য উদঘাটন করতে আদালতের নিকট রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে।

১৬ অক্টোবর, ২০২৫ ১৭:১০
ক্ষতিপূরণ এবং ন্যায্য রূপান্তর এখনই' এই প্রতিপাদ্যকে ধারণ করে জলবায়ু ঋণ বাতিল করার দাবিতে বরগুনার তালতলীতে পদযাত্রা কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সকাল ১১ টার দিকে ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ, ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা), পিপীলিকা'র পাঠশালা, বিডি ক্লিন-তালতলী ও নিদ্রা পর্যটন উদ্যোক্তা কমিটির আয়োজনে এ পদযাত্রা কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
এ পদযাত্রা উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের শুভ সন্ধ্যা সমুদ্র সৈকত থেকে শুরু হয়ে সোনাকাটা ইউনিয়নের নিদ্রার চর সৈকতে গিয়ে শেষ হয়। এসময় শতাধিক শিক্ষার্থী পদযাত্রা কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন। অংশগ্রহণকারীদের শরীরে জলবায়ু ন্যায্যতার দাবি সম্বলিত টি শার্ট ও বিভিন্ন শ্লোগান সম্বলিত প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করতে দেখা যায়।
বরগুনা প্রেসক্লাবের সাধারণ-সম্পাদক আবু জাফর সালেহ পদযাত্রা কর্মসূচির শুভ উদ্বোধন করেন। এসময় বক্তব্য রাখেন, বরগুনা জেলা টেলিভিশন ফোরামের সাবেক সাধারণ-সম্পাদক বেলাল হোসেন মিলন, ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ'র (তালতলী-আমতলী) সমন্বয়ক আরিফুর রহমান, পরিবেশ ও উন্নয়নকর্মী এম মিলন, সাংবাদিক ও পরিবেশকর্মী মো. মোস্তাফিজ, তালতলী চারুকলা একাডেমীর পরিচালক রফিকুল ইসলাম অন্তর প্রমুখ।
এ সময় বক্তারা বলেন, 'আমাদের সকল প্রকার জীবাশ্ম জ্বালানীর ব্যবহার বন্ধ করতে হবে এবং সকল ক্ষেত্রে নবায়ন শক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি করতে হবে।উপকূলীয় অঞ্চলে সূর্যের তাপ বেশি উষ্ণ বিধায় এখানে সোলার প্রযুক্তি স্থাপন, সমুদ্র তীরের বাতাসকে ব্যবহার করে বায়োবিদ্যুৎ উৎপাদন ও গ্রামীণ এলাকায় বায়োগ্যাস প্লান্ট স্থাপন করতে হবে। সকল প্রকার জলবায়ু ঋণ বাতিল করে ক্ষতিপূরণ দাবি করেন।'
ক্ষতিপূরণ এবং ন্যায্য রূপান্তর এখনই' এই প্রতিপাদ্যকে ধারণ করে জলবায়ু ঋণ বাতিল করার দাবিতে বরগুনার তালতলীতে পদযাত্রা কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সকাল ১১ টার দিকে ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ, ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা), পিপীলিকা'র পাঠশালা, বিডি ক্লিন-তালতলী ও নিদ্রা পর্যটন উদ্যোক্তা কমিটির আয়োজনে এ পদযাত্রা কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
এ পদযাত্রা উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের শুভ সন্ধ্যা সমুদ্র সৈকত থেকে শুরু হয়ে সোনাকাটা ইউনিয়নের নিদ্রার চর সৈকতে গিয়ে শেষ হয়। এসময় শতাধিক শিক্ষার্থী পদযাত্রা কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন। অংশগ্রহণকারীদের শরীরে জলবায়ু ন্যায্যতার দাবি সম্বলিত টি শার্ট ও বিভিন্ন শ্লোগান সম্বলিত প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করতে দেখা যায়।
বরগুনা প্রেসক্লাবের সাধারণ-সম্পাদক আবু জাফর সালেহ পদযাত্রা কর্মসূচির শুভ উদ্বোধন করেন। এসময় বক্তব্য রাখেন, বরগুনা জেলা টেলিভিশন ফোরামের সাবেক সাধারণ-সম্পাদক বেলাল হোসেন মিলন, ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ'র (তালতলী-আমতলী) সমন্বয়ক আরিফুর রহমান, পরিবেশ ও উন্নয়নকর্মী এম মিলন, সাংবাদিক ও পরিবেশকর্মী মো. মোস্তাফিজ, তালতলী চারুকলা একাডেমীর পরিচালক রফিকুল ইসলাম অন্তর প্রমুখ।
এ সময় বক্তারা বলেন, 'আমাদের সকল প্রকার জীবাশ্ম জ্বালানীর ব্যবহার বন্ধ করতে হবে এবং সকল ক্ষেত্রে নবায়ন শক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি করতে হবে।উপকূলীয় অঞ্চলে সূর্যের তাপ বেশি উষ্ণ বিধায় এখানে সোলার প্রযুক্তি স্থাপন, সমুদ্র তীরের বাতাসকে ব্যবহার করে বায়োবিদ্যুৎ উৎপাদন ও গ্রামীণ এলাকায় বায়োগ্যাস প্লান্ট স্থাপন করতে হবে। সকল প্রকার জলবায়ু ঋণ বাতিল করে ক্ষতিপূরণ দাবি করেন।'

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.