Bkash

রাজনীতি

কারাগারে পা দুলিয়ে চা খাচ্ছেন হাসিনার মন্ত্রী-এমপিরা

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

২৫ আগস্ট, ২০২৫ ১৭:০৭

প্রিন্ট এন্ড সেভ

কারাগারে পা দুলিয়ে চা খাচ্ছেন হাসিনার মন্ত্রী-এমপিরা

২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধে গ্রেপ্তার হওয়া ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিরা কেরানীগঞ্জের বিশেষ কারাগারে এখন যেন অন্য এক জগতে। সাধারণ বন্দিদের মতো কষ্ট নয়, তারা ডিভিশন পেয়ে বসে বসে চা পান করছেন, পা দুলিয়ে পড়ছেন জাতীয় পত্রিকা, খাচ্ছেন আলাদাভাবে রান্না করা বাড়তি খাবারও।

গণহত্যার দায়ে অভিযুক্ত হয়েও কারাগারে তাদের এমন ভিআইপি সুবিধা কতটা যৌক্তিক, সেটিই এখন বড় প্রশ্ন। এমন তথ্য পাওয়ার পর অপরাধ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সরকারের এসব মন্ত্রী-এমপির বিরুদ্ধে মামলা চলছে। তারা ভিআইপি হিসেবে যদি ডিভিশন পেয়ে থাকেন, তাহলে তাদের অপরাধ অনুযায়ী এ সুবিধা কতটুকু প্রাসঙ্গিক তা বিবেচনা করা প্রয়োজন।

সোমবার (২৫ আগস্ট) কারা সূত্রে জানা গেছে, কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের পাশে অবস্থিত এই বিশেষ কারাগারটি সম্পূর্ণ আলাদা একটি স্থাপনা, যা ছিল নারীদের জন্য। আনুমানিক পাঁচ বছর যাবত খালি পড়ে থাকা কারাগারটি এখন বিশেষ কারাগার হিসেবে ব্যবহার করছে কর্তৃপক্ষ। এই কারাগারে বর্তমানে বন্দি সংখ্যা ১৩৭। এদের মধ্যে কয়েদি সংখ্যা ৭২, অর্থাৎ তাদের মামলার রায় হয়েছে এবং তারা সাজা খাটছেন। বিশেষ বন্দি রয়েছেন ৬৫ জন, তাদের মধ্যে ৫৫ জন আবার ডিভিশনপ্রাপ্ত। তাদের দেখভাল ও দৈনন্দিন কাজকর্মে সহায়তার জন্য ওই ৭২ জন সাধারণ কয়েদি নিয়োজিত।

কারাগার সম্পর্কিত একটি সূত্র জানায়, কেরানীগঞ্জের এই বিশেষ কারাগারটির ব্যবহার প্রথমে ছিল অন্য রকম। পতিত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে মন্ত্রী-নেতারা খালি পড়ে থাকা নারী কারাগারটি ধোয়া-মোছার নাম করে রাজনৈতিক বিরোধীদের দমনের হুমকি দিতেন। এমনকি সাবেক আওয়ামী প্রধান শেখ হাসিনা প্রকাশ্যে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ্য করে বলেছিলেন— ‘বেশি বাড়াবাড়ি করলে আবার কারাগারে ঢুকিয়ে দেব। ’ তার সেই বক্তব্যের পরপরই তৎকালীন কারা কর্তৃপক্ষ ওই খালি পড়ে থাকা নারী কারাগারে ধোয়া-মোছার কাজ শুরু করে।

কিন্তু সময়ের পরিক্রমায় সেই নারী কারাগার আজ রূপান্তরিত হয়েছে বিশেষ কারাগারে যেখানে বন্দি রাখা হয়েছে আওয়ামী সরকারের সাবেক মন্ত্রী-এমপি থেকে শুরু করে শীর্ষ নেতাদের। সেখানে ডিভিশনপ্রাপ্তরা হলেন- ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাবেক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান ও কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী; সাবেক হওয়া আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক, খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম, রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন, সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী এবি তাজুল ইসলাম, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আতিকুল ইসলাম, ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী দীপংকর তালুকদার, দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান, বেসামরিক বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন, উপমন্ত্রী আব্দুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব, এমপি ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু।

ওই সূত্র জানিয়েছে, কারাগারে হাজতি বা কয়েদিদের ডিভিশনের বিষয়ে তাদের পক্ষ থেকে আদালতের আদেশের পরে জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের (ডিসি) কাছে আবেদন ও আদেশের কপি পাঠানো হয়। তিনি সরকারের পক্ষে, বন্দি কোন শ্রেণির ডিভিশন পাবেন সেই সিদ্ধান্ত দেন। কাগজ-কলমে নির্দেশনা মোতাবেক কারা বিধি অনুযায়ী ডিভিশনপ্রাপ্ত বন্দিদের সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয়।

যেমন সাধারণ বন্দিদের খাবারের মান এবং ডিভিশনপ্রাপ্ত বন্দিদের খাবারের মান প্রায় কাছাকাছি হলেও স্পষ্ট কিছু পার্থক্য রয়েছে। ডিভিশনপ্রাপ্ত বন্দিদের জন্য সাধারণ বন্দিদের তুলনায় উন্নত মানের খাবার সরবরাহ করা হয়, পরিমাণেও থাকে বেশি। তাদের জন্য আলাদা রান্নার ব্যবস্থাও থাকে।

সাধারণ বন্দিদের সকালের খাবারে দেওয়া হয় রুটি, সবজি ও গুড়। দুপুরে থাকে ভাত, ডাল ও সবজি। আর রাতে পরিবেশন করা হয় ভাত, ডাল, সঙ্গে মাছ বা মাংস। তবে ডিভিশনপ্রাপ্ত বন্দিদের জন্য নিয়ম অনুযায়ী খাবারের তালিকায় আলাদা আয়োজন থাকে।

যেমন, তাদের জন্য মাছ-মাংসের রান্নার ধরন আলাদা হয়, পরিমাণও তুলনামূলক বেশি। ডিভিশনপ্রাপ্ত বন্দিরা দুপুর ও রাতে প্রতিবারই ১৫০ গ্রাম করে মাছ বা মাংস পান, অথচ সাধারণ বন্দিদের জন্য বরাদ্দ থাকে মাত্র ৩৬ গ্রাম।

আবাসনের ক্ষেত্রেও বড় ধরনের ভিন্নতা দেখা যায়। সাধারণ বন্দিদের নির্দিষ্ট ভবনের ওয়ার্ডে গাদাগাদি করে থাকতে হয়। সেখানে পাকা ফ্লোরে কম্বল বিছিয়েই রাত কাটাতে হয় তাদের। অন্যদিকে ডিভিশনপ্রাপ্ত বন্দিদের জন্য বরাদ্দ থাকে আলাদা কক্ষ।

কেউ একা বা সর্বোচ্চ কয়েকজন মিলে সেখানে থাকতে পারেন। ঘরে থাকে খাট, একটি ম্যাট্রেস, দুটি চাদর, একটি চেয়ার ও একটি টেবিল। প্রতিদিন তাদের জন্য একটি পত্রিকা সরবরাহ করা হয়, সঙ্গে দেওয়া হয় দুধ-চিনি মেশানো চা।

ডিভিশন সুবিধার ব্যাপারে আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বাংলাদেশের কারাগারে আদালতের নির্দেশে সাজাপ্রাপ্ত কিংবা বিচারাধীন মামলার আসামিদের মধ্যে অনেকেই তাদের সামাজিক মর্যাদা ও অবস্থানের ভিত্তিতে ডিভিশন-সুবিধা পান। তবে বিধি অনুযায়ী ডিভিশনপ্রাপ্ত সবার সুবিধা এক রকম নয়। কারা কোন ক্যাটাগরিতে পড়বেন এবং কী ধরনের সুবিধা ভোগ করবেন— সেটি আইনে সুনির্দিষ্টভাবে নির্ধারিত।

তিনি উদাহরণ দিয়ে বলেন, একজন সাবেক রাষ্ট্রপতি যে সুযোগ-সুবিধা পাবেন, তা কোনো অধ্যাপক পাবেন না। যদিও দুজনই নিয়ম অনুযায়ী ডিভিশন সুবিধাভুক্ত বন্দি হিসেবে গণ্য হবেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ও সমাজ-অপরাধ বিশেষজ্ঞ তৌহিদুল হক বলেন, ‘ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ফ্যাসিস্ট সরকার তার নিজস্ব আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ব্যবহার করে আবু সাইদ, মুগ্ধসহ অসংখ্য আন্দোলনকারীকে হত্যা করেছে, আহত হয়েছে হাজার হাজার মানুষ।

একপর্যায়ে গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী সরকার প্রধানসহ সাবেক ও তৎকালীন এমপি-মন্ত্রীরা এবং হাজার হাজার নেতাকর্মী পালিয়ে যায়। পরে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হত্যার ঘটনায় মামলা হলে অনেক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য গ্রেপ্তার হয়।

বর্তমানে তারা কেরানীগঞ্জ কারাগারে চার দেয়ালের ভেতরে বন্দি থাকলেও ডিভিশন অনুযায়ী উন্নতমানের খাবার ও বিশেষ সুবিধা ভোগ করছে। এখন প্রশ্ন হলোতারা যদি রাজনৈতিক বন্দি হিসেবে ডিভিশন পেয়ে থাকে, তবে তা কতটা যৌক্তিক? কারণ, তারা কেউ কেউ নিয়ম অনুযায়ী মন্ত্রী-এমপি বা শিল্পপতি ভিআইপি পরিচয়ে ডিভিশন পেলেও, মামলার প্রেক্ষাপটে তো তারা গণহত্যার আসামি। ’

তৌহিদুল হক আরও বলেন, ‘মামলা অনুযায়ী তারা হাজার হাজার মানুষ হত্যার দায়ে অভিযুক্ত, অর্থাৎ গণহত্যাকারী। তাদের বিচার চলছে আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে। তাই সরকারের উচিত দ্রুত বিষয়গুলো খতিয়ে দেখা আসলে ডিভিশন সুবিধা কারা পাচ্ছে এবং তা কতটা ন্যায্য। ’

এ বিষয়ে কারা মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ মোহাম্মদ মোতাহার হোসেন বলেন, ‘কারা বিধি অনুযায়ী ডিভিশনপ্রাপ্ত বিশেষ বন্দিদের নিয়ম অনুযায়ী কিছুটা সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। বাড়তি সুবিধা দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। ডিভিশনপ্রাপ্তদের কি কি সুযোগ-সুবিধা দেওয়া দরকার সেটি জেল বিধিতে উল্লেখ আছে। তাদের সেভাবেই সুবিধা দেওয়া হচ্ছে।

আরও পড়ুন:

ডা. মুরাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

০১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৭:৪৭

প্রিন্ট এন্ড সেভ

ডা. মুরাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী ও জামালপুর-৪ আসনের (সরিষাবাড়ী) সাবেক সংসদ সদস্য ডা. মুরাদ হাসানকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিয়েছেন জামালপুরের একটি আদালত। সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সরিষাবাড়ী আমলি আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রোমানা আক্তার ডা. মুরাদ হাসানসহ দুই আসামিকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেন।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, তথ্য প্রতিমন্ত্রী থাকাকালীন এক ইউটিউব চ্যানেল ও ফেসবুক পেইজের টকশোতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার মেয়ে জাইমা রহমানকে নিয়ে অশ্লীল ও কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেন ডা. মুরাদ হাসান।

অসৎ উদ্দেশ্যে এ মিথ্যাচার, অশ্লীল ও কুরুচিপূর্ণ বক্তব্যে জিয়া পরিবারের ১০ হাজার কোটি টাকার অধিক ক্ষতিসাধিত হয়েছে এবং দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে। এ ঘটনায় জামালপুর জেলা ট্রাক মালিক সমিতির সহসভাপতি ও সাবেক ছাত্রদল নেতা লায়ন মো. রুমেল সরকার বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।

মামলায় ডা. মুরাদ হাসান ছাড়াও টকশোর উপস্থাপক চট্টগ্রামের পটিয়া পৌর এলাকার এটিএম আবুল কাশেমের ছেলে মহি উদ্দিন হেলাল নাহিদকে আসামি করা হয়। বাদি পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. মনিরুজ্জামান জানান, গত ২৪ মে সরিষাবাড়ী আমলি আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রুকসানা পারভীন ১০ হাজার কোটি টাকার মানহানি মামলাটি আমলে নিয়ে ডা. মুরাদ হাসান ও মহি উদ্দিন হেলালের বিরুদ্ধে সমন জারি করেছিলেন। আইনের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে তারা আদালতে হাজির হয়নি, এ কারণে আদালত তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন।

মামলার বাদী রুমেল সরকার বলেন, আশা করি পুলিশ এ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা আমলে নিয়ে আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠাবে। ডা. মুরাদ হাসান ২০০৮ সালে প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়, পরে ২০১৮ সালের নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে প্রথমে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী, পরে তথ্য প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরে এক চিত্রনায়িকার সঙ্গে অশ্লীল কথোপকথনের অডিও ভাইরাল হলে ২০২১ সালের ডিসেম্বরে মন্ত্রীর পদ হারান তিনি।

জামায়াত নেতাদের জরুরি বৈঠক

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

০১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৫:৩১

প্রিন্ট এন্ড সেভ

জামায়াত নেতাদের জরুরি বৈঠক

জরুরি বৈঠক করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ। বৈঠকে নায়েবে আমিররা, সেক্রেটারি জেনারেল, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেলরাসহ নির্বাহী পরিষদের সদস্যরা অংশ নিয়েছেন।

সোমবার (০১ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় রাজধানীর বসুন্ধরায় জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। দলের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বৈঠকে দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। নেতৃবৃন্দ জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫-কে আইনি ভিত্তি প্রদান এবং তার আলোকে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য করার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।

এতে আরও বলা হয়েছে, বৈঠকে নির্বাচনের আগে সকল রাজনৈতিক দলের জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিতকরণ এবং পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন আয়োজনের বিষয়ে জামায়াতে ইসলামীর দৃঢ় অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করা হয়।

এর আগে গতকাল রোববার দেশের প্রধান তিনটি দল বিএনপি জামায়াত ও এনসিপির সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

এদিকে নির্বাচন নিয়ে কেউ বিকল্প ভাবলে তা জাতির জন্য বিপজ্জনক হবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, ‘কেউ যদি নির্বাচনের কোনো বিকল্প নিয়ে ভাবে, সেটা হবে এই জাতির জন্য গভীর বিপজ্জনক।’ রোববার (৩১ আগস্ট) রাতে প্রধান উপদেষ্টার বরাতে এ তথ্য জানিয়েছেন প্রেস সচিব শফিকুল আলম। এর আগে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

শফিকুল আলম বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, তিনি জাতির উদ্দেশে ভাষণে নির্বাচনের যে সময় ঘোষণা করেছেন, নির্বাচন সে সময়ের মধ্যে হবে। অর্থাৎ ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সব রাজনৈতিক দলকে প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচন নিয়ে তার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন।’

তিন মাসের জন্য স্থগিত ফজলুর রহমানের পদ

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

বরিশালটাইমস রিপোর্ট

২৬ আগস্ট, ২০২৫ ২০:০০

প্রিন্ট এন্ড সেভ

তিন মাসের জন্য স্থগিত ফজলুর রহমানের পদ

দলীয় চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ফজলুর রহমানের পদ তিন মাসের জন্য স্থগিত করেছে বিএনপি। মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) রাতে এ সংক্রান্ত চিঠি তাকে দেওয়া হয়েছে বলে দলের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে।

দলীয় চিঠিতে বলা হয়, গত ২৪ আগস্ট ফজলুর রহমানের কাছে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠানো হয়েছিল। তবে তিনি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে লিখিত জবাব না দিয়ে সময় বাড়ানোর আবেদন করেন। তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে পরের দিন (২৫ আগস্ট) আরও ২৪ ঘণ্টা সময় দেওয়া হয়। কিন্তু ২৬ আগস্ট যে জবাব তিনি দিয়েছেন, তা সন্তোষজনক নয় বলে বিএনপি মনে করছে।

তবে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে তার অবদান বিবেচনা করে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। বরং দলীয় প্রাথমিক সদস্যপদসহ সব পদ তিন মাসের জন্য স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

চিঠিতে আরও বলা হয়, ভবিষ্যতে টকশো বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বক্তব্য দেওয়ার সময় দেশের মর্যাদা ও দলের নীতিমালা যাতে ক্ষুণ্ন না হয় এবং জনগণের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত না লাগে, সে বিষয়ে তাকে সতর্ক থাকতে হবে।

এর আগে দলের কাছে কারণ দশানোর নোটিশের জবাব দেন বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান। গতকাল মঙ্গলবার বিকালে তার স্ত্রী অ্যাডভোকেট উম্মে কুলসুম রেখা জানান, উনি (ফজলুর রহমান) এই সংক্রান্ত চিঠির জবাবে লিখিতভাবে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জমা দিয়েছেন। বিশেষ বার্তা প্রেরক সেটা জমা দিয়ে এসেছেন। এখন উনি সাংবাদিকদের সাথে কথা বলবেন না।

অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান নামে নিজস্ব প্যাডে চার পৃষ্ঠার এই জবাবে দলের পক্ষ থেকে যা জানতে চাওয়া হয়েছে তা বিস্তারিত ব্যাখ্যা করেছেন বলে জানান তার সহধর্মিণী। বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বরাবর জবাবটি লেখা হয়।

লিখিত জবাবে ফজলুর রহমান বলেছেন, আমার প্রিয় দল বিএনপির ক্ষতি হয় এমন কোনো কথা বা কাজ আমি করিনি এবং করবও না। জাতীয়তাবাদী দলের নেতৃত্বে বিচার বিবেচনার প্রতি আমার সর্বোচ্চ আস্থা আছে। আমি আশা করি, সুবিচার পাব এবং দলের বৃহত্তর স্বার্থে যেকোনো সিদ্ধান্তের প্রতি সর্বদা অনুগত থাকব।’

জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান নিয়ে অনবরত ‘বিতর্কিত’ বক্তব্য দেওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৪ আগস্ট দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমানকে কারণ দশানোর নোটিশ দেয়। বিএনপি। ফজলুর রহমানের ঢাকার ঠিকানায় এ নোটিশ পাঠানো হয় বিশেষ বার্তা প্রেরকের মাধ্যমে।

custom sidebar ads

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.

জনপ্রিয়

Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.