১৭ আগস্ট, ২০২৫ ১২:২৩
নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল: একসময় বিকেল গড়ালেই পিরোজপুরের হুলারহাটসহ জেলার লঞ্চঘাটগুলোতে দেখা যেত অন্যরকম এক চিত্র। ব্যাগ কাঁধে মানুষজন সারিবদ্ধভাবে লঞ্চে উঠছেন, কেউ পরিবার নিয়ে ঢাকা যাচ্ছেন, কেউবা ব্যবসার কাজে রাজধানীর পথে।
লঞ্চের সাইরেন বাজতেই নদীর ঢেউ কেটে এগিয়ে যেত লঞ্চ। নিয়ে যেত হাজারো যাত্রীকে তাদের গন্তব্যে। দীর্ঘ কয়েক যুগ ধরে এভাবেই নৌপথ ছিল ঢাকা-পিরোজপুর যাতায়াতের প্রধান ভরসা।
কিন্তু পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর সেই দৃশ্য এখন কেবল স্মৃতি। একসময় যেখানে প্রতিদিন ৭ থেকে ৮টি লঞ্চ পিরোজপুর থেকে শত শত যাত্রী নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করত, সেখানে গত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে একটিও লঞ্চ চলছে না এ রুটে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) সূত্রে জানা যায়, যাত্রী সংকটের কারণে তারা লঞ্চ চলাচল সাময়িক বন্ধ রেখেছে। পদ্মা সেতুর কারণে সড়কপথে যাতায়াত অনেক সহজ হওয়ায় যাত্রীরা ধীরে ধীরে লঞ্চের পরিবর্তে বাসে যেতে শুরু করেছেন।
ফলে ব্যবসায়িকভাবে লঞ্চ চালু রাখা সম্ভব হচ্ছে না। পিরোজপুর থেকে ঢাকায় ৪ থেকে সাড়ে ৪ ঘণ্টায় পৌঁছানো যায়। মানুষ এ কারণে লঞ্চে সময় অপচয় করে যেতে চাইছে না। যাত্রী সংকটের কারণে প্রতিদিনের খরচ উঠছে না।
পিরোজপুর জেলার হুলারহাট, স্বরূপকাঠি, কাউখালি, ভান্ডারিয়া, ইন্দেরহাটসহ মোট আটটি ঘাট থেকে লঞ্চে যাত্রী উঠতেন। প্রতিদিন গড়ে ৫০০ থেকে ৮০০ যাত্রী লঞ্চে ভ্রমণ করতেন। লঞ্চ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এসব যাত্রী পড়েছেন বিড়ম্বনায়।
সরেজমিনে পিরোজপুরের হুলারহাট লঞ্চঘাটে গিয়ে দেখা যায়, এক সময়ের জমজমাট এ ঘাটটি যাত্রী সংকটে অলস সময় পার করছে। আগে যেখানে সারি সারি বিলাসবহুল লঞ্চ নোঙর করা থাকতো সেখানে এখন স্থান পেয়েছে বালিবোঝাই কয়েকটি কার্গো।
তবে প্রতিদিনই কিছু যাত্রী অভ্যাসবশত ঘাটে চলে আসেন লঞ্চে উঠবেন ভেবে। কিন্তু লঞ্চ না পেয়ে শেষ পর্যন্ত বাসে চেপে গন্তব্যে যেতে হয় তাদের। এতে যেমন কষ্ট হচ্ছে, তেমনি বাড়ছে খরচও।
এদিকে যাত্রীদের পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ঘাটকেন্দ্রিক ব্যবসায়ীরাও। লঞ্চ টার্মিনালকে ঘিরে দোকান, খাবারের হোটেল, ফেরিওয়ালা সবাই কোনো না কোনোভাবে নির্ভর করতেন যাত্রীদের ওপর। যাত্রী না থাকায় এখন সেই ব্যবসায়ও পড়েছে ধস।
হুলারহাট লঞ্চ টার্মিনালে বসে আমিনুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি বলেন, দূরপাল্লার রুটে আমাদের কাছে সবচেয়ে নিরাপদ এবং আরামদায়ক হলো লঞ্চ। এখন বাসে যেতে হয় ভিড় আর দুর্ঘটনার ঝুঁকি নিয়ে। আমরা চাই পুনরায় ঢাকা-পিরোজপুর রুটে লঞ্চ চালু হোক।
স্থানীয় বাসিন্দা দেলোয়ার শেখ বলেন, ঢাকা যেতে লঞ্চই ছিল সবচেয়ে ভালো মাধ্যম। বিকেলে লঞ্চে উঠে সকালে ঢাকা পৌঁছাতাম। এখন বাধ্য হয়ে বাসে যেতে হয়। খরচ যেমন বেশি, তেমনি ঝুঁকিও বেশি। লঞ্চ আবার চালু হলে আমরা উপকৃত হবো।
হুলারহাট লঞ্চঘাটের পাশেই ছোট্ট চায়ের দোকান চালান মো. আবিদ মোল্লা। তিনি বলেন, আগে প্রতিদিন লঞ্চের যাত্রীদের ভিড়ে আমার দোকানে বিক্রি ভালো হতো। এখন যাত্রী নেই, দিনে ২০০ টাকারও বিক্রি হয় না। সংসার চালানো কষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
আরেকজন ব্যবসায়ী, মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, লঞ্চ চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় শুধু যাত্রী নয়, আমরা ব্যবসায়ীরাও বিপদে আছি। ঘাটকে কেন্দ্র করে বহু মানুষের জীবিকা ছিল। এখন ঘাট ফাঁকা পড়ে আছে। আমরা চাই, আবার লঞ্চ চালু হোক।
পদ্মা সেতু একদিকে খুলে দিয়েছে নতুন সম্ভাবনা, সহজ করেছে যোগাযোগব্যবস্থা। কিন্তু তার প্রভাব পড়েছে নৌরুটের ওপর। পিরোজপুরের মানুষ এখনও আশা করে, একদিন হয়তো আবারও ঢাকার পথে লঞ্চ ছাড়বে, নদীর বুক চিরে চলবে এসব লঞ্চ দাবি স্থানীয় বাসিন্দাদের।
এ বিষয়ে পিরোজপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মামুনুর রশীদ বলেন, হুলারহাট লঞ্চঘাটটি একটি প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী লঞ্চঘাট। তবে পদ্মাসেতু নির্মাণের ফলে ঘাটটিতে লঞ্চ চলাচল কমে গেছে। এ বিষয়ে স্থানীয় যারা লঞ্চ ব্যবসায়ী আছেন তাদের সঙ্গে কথা বলে ব্যবসায়ীক পরিস্থিতি বিবেচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল: একসময় বিকেল গড়ালেই পিরোজপুরের হুলারহাটসহ জেলার লঞ্চঘাটগুলোতে দেখা যেত অন্যরকম এক চিত্র। ব্যাগ কাঁধে মানুষজন সারিবদ্ধভাবে লঞ্চে উঠছেন, কেউ পরিবার নিয়ে ঢাকা যাচ্ছেন, কেউবা ব্যবসার কাজে রাজধানীর পথে।
লঞ্চের সাইরেন বাজতেই নদীর ঢেউ কেটে এগিয়ে যেত লঞ্চ। নিয়ে যেত হাজারো যাত্রীকে তাদের গন্তব্যে। দীর্ঘ কয়েক যুগ ধরে এভাবেই নৌপথ ছিল ঢাকা-পিরোজপুর যাতায়াতের প্রধান ভরসা।
কিন্তু পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর সেই দৃশ্য এখন কেবল স্মৃতি। একসময় যেখানে প্রতিদিন ৭ থেকে ৮টি লঞ্চ পিরোজপুর থেকে শত শত যাত্রী নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করত, সেখানে গত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে একটিও লঞ্চ চলছে না এ রুটে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) সূত্রে জানা যায়, যাত্রী সংকটের কারণে তারা লঞ্চ চলাচল সাময়িক বন্ধ রেখেছে। পদ্মা সেতুর কারণে সড়কপথে যাতায়াত অনেক সহজ হওয়ায় যাত্রীরা ধীরে ধীরে লঞ্চের পরিবর্তে বাসে যেতে শুরু করেছেন।
ফলে ব্যবসায়িকভাবে লঞ্চ চালু রাখা সম্ভব হচ্ছে না। পিরোজপুর থেকে ঢাকায় ৪ থেকে সাড়ে ৪ ঘণ্টায় পৌঁছানো যায়। মানুষ এ কারণে লঞ্চে সময় অপচয় করে যেতে চাইছে না। যাত্রী সংকটের কারণে প্রতিদিনের খরচ উঠছে না।
পিরোজপুর জেলার হুলারহাট, স্বরূপকাঠি, কাউখালি, ভান্ডারিয়া, ইন্দেরহাটসহ মোট আটটি ঘাট থেকে লঞ্চে যাত্রী উঠতেন। প্রতিদিন গড়ে ৫০০ থেকে ৮০০ যাত্রী লঞ্চে ভ্রমণ করতেন। লঞ্চ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এসব যাত্রী পড়েছেন বিড়ম্বনায়।
সরেজমিনে পিরোজপুরের হুলারহাট লঞ্চঘাটে গিয়ে দেখা যায়, এক সময়ের জমজমাট এ ঘাটটি যাত্রী সংকটে অলস সময় পার করছে। আগে যেখানে সারি সারি বিলাসবহুল লঞ্চ নোঙর করা থাকতো সেখানে এখন স্থান পেয়েছে বালিবোঝাই কয়েকটি কার্গো।
তবে প্রতিদিনই কিছু যাত্রী অভ্যাসবশত ঘাটে চলে আসেন লঞ্চে উঠবেন ভেবে। কিন্তু লঞ্চ না পেয়ে শেষ পর্যন্ত বাসে চেপে গন্তব্যে যেতে হয় তাদের। এতে যেমন কষ্ট হচ্ছে, তেমনি বাড়ছে খরচও।
এদিকে যাত্রীদের পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ঘাটকেন্দ্রিক ব্যবসায়ীরাও। লঞ্চ টার্মিনালকে ঘিরে দোকান, খাবারের হোটেল, ফেরিওয়ালা সবাই কোনো না কোনোভাবে নির্ভর করতেন যাত্রীদের ওপর। যাত্রী না থাকায় এখন সেই ব্যবসায়ও পড়েছে ধস।
হুলারহাট লঞ্চ টার্মিনালে বসে আমিনুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি বলেন, দূরপাল্লার রুটে আমাদের কাছে সবচেয়ে নিরাপদ এবং আরামদায়ক হলো লঞ্চ। এখন বাসে যেতে হয় ভিড় আর দুর্ঘটনার ঝুঁকি নিয়ে। আমরা চাই পুনরায় ঢাকা-পিরোজপুর রুটে লঞ্চ চালু হোক।
স্থানীয় বাসিন্দা দেলোয়ার শেখ বলেন, ঢাকা যেতে লঞ্চই ছিল সবচেয়ে ভালো মাধ্যম। বিকেলে লঞ্চে উঠে সকালে ঢাকা পৌঁছাতাম। এখন বাধ্য হয়ে বাসে যেতে হয়। খরচ যেমন বেশি, তেমনি ঝুঁকিও বেশি। লঞ্চ আবার চালু হলে আমরা উপকৃত হবো।
হুলারহাট লঞ্চঘাটের পাশেই ছোট্ট চায়ের দোকান চালান মো. আবিদ মোল্লা। তিনি বলেন, আগে প্রতিদিন লঞ্চের যাত্রীদের ভিড়ে আমার দোকানে বিক্রি ভালো হতো। এখন যাত্রী নেই, দিনে ২০০ টাকারও বিক্রি হয় না। সংসার চালানো কষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
আরেকজন ব্যবসায়ী, মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, লঞ্চ চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় শুধু যাত্রী নয়, আমরা ব্যবসায়ীরাও বিপদে আছি। ঘাটকে কেন্দ্র করে বহু মানুষের জীবিকা ছিল। এখন ঘাট ফাঁকা পড়ে আছে। আমরা চাই, আবার লঞ্চ চালু হোক।
পদ্মা সেতু একদিকে খুলে দিয়েছে নতুন সম্ভাবনা, সহজ করেছে যোগাযোগব্যবস্থা। কিন্তু তার প্রভাব পড়েছে নৌরুটের ওপর। পিরোজপুরের মানুষ এখনও আশা করে, একদিন হয়তো আবারও ঢাকার পথে লঞ্চ ছাড়বে, নদীর বুক চিরে চলবে এসব লঞ্চ দাবি স্থানীয় বাসিন্দাদের।
এ বিষয়ে পিরোজপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মামুনুর রশীদ বলেন, হুলারহাট লঞ্চঘাটটি একটি প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী লঞ্চঘাট। তবে পদ্মাসেতু নির্মাণের ফলে ঘাটটিতে লঞ্চ চলাচল কমে গেছে। এ বিষয়ে স্থানীয় যারা লঞ্চ ব্যবসায়ী আছেন তাদের সঙ্গে কথা বলে ব্যবসায়ীক পরিস্থিতি বিবেচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
০৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৩:৫৩
পিরোজপুর সদর উপজেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক কাউন্সিলে ভোট গণনার সময় দুই গ্রুপের মধ্যে হাতাহাতি ও ব্যালট ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। এতে করে নির্বাচন ফলাফল ঘোষণা স্থগিত করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) রাতে পিরোজপুর শহরের শিল্পকলা একাডেমিতে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার বিকেলে সদর উপজেলার সাতটি ইউনিয়নের ৪৯৭ জন কাউন্সিলরের মধ্যে ৪৮২ জন ভোট প্রদান করেন। এরপর শুরু হয় ভোট গণনা। গণনার একপর্যায়ে কিছু ব্যক্তি হট্টগোল শুরু করেন এবং তা দ্রুত অডিটোরিয়ামের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়ে। এরই মধ্যে কয়েকজন ব্যক্তি ভোট দেওয়া ব্যালট ছিনতাই করে নিয়ে যায়। ফলে ভোট গণনা বন্ধ হয়ে যায় এবং ফলাফল ঘোষণা স্থগিত করা হয়।
এ বিষয়ে বিএনপির কাউন্সিল প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক ও কেন্দ্রীয় বন ও পরিবেশ বিষয়ক সহ-সম্পাদক কাজী রওনাকুল ইসলাম টিপু বলেন, ঘটনার বিষয়ে দলীয় নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
ঘটনা সম্পর্কে পিরোজপুর সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রবিউল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক রয়েছে।
পিরোজপুর সদর উপজেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক কাউন্সিলে ভোট গণনার সময় দুই গ্রুপের মধ্যে হাতাহাতি ও ব্যালট ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। এতে করে নির্বাচন ফলাফল ঘোষণা স্থগিত করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) রাতে পিরোজপুর শহরের শিল্পকলা একাডেমিতে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার বিকেলে সদর উপজেলার সাতটি ইউনিয়নের ৪৯৭ জন কাউন্সিলরের মধ্যে ৪৮২ জন ভোট প্রদান করেন। এরপর শুরু হয় ভোট গণনা। গণনার একপর্যায়ে কিছু ব্যক্তি হট্টগোল শুরু করেন এবং তা দ্রুত অডিটোরিয়ামের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়ে। এরই মধ্যে কয়েকজন ব্যক্তি ভোট দেওয়া ব্যালট ছিনতাই করে নিয়ে যায়। ফলে ভোট গণনা বন্ধ হয়ে যায় এবং ফলাফল ঘোষণা স্থগিত করা হয়।
এ বিষয়ে বিএনপির কাউন্সিল প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক ও কেন্দ্রীয় বন ও পরিবেশ বিষয়ক সহ-সম্পাদক কাজী রওনাকুল ইসলাম টিপু বলেন, ঘটনার বিষয়ে দলীয় নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
ঘটনা সম্পর্কে পিরোজপুর সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রবিউল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক রয়েছে।
০৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৩:৪৮
নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল: পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় ৮৫ হাজার টাকা মূল্যের ১৭০ পিস ইয়াবাসহ দুই মাদক কারবারিকে আটক করেছে কোস্ট গার্ড। গতকাল সন্ধ্যায় কোস্ট গার্ড স্টেশন পাথরঘাটা কর্তৃক পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলাধীন গুলিশাখালী বাজার সংলগ্ন এলাকায় একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চালানো এই অভিযানে তল্লাশি চালিয়ে উক্ত পরিমাণ ইয়াবাসহ দুই মাদক কারবারিকে আটক করা হয়।
জব্দকৃত ইয়াবা এবং আটককৃত মাদক কারবারিদের পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মঠবাড়িয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। কোস্ট গার্ড জানিয়েছে, মাদকের ভয়াল থাবা থেকে তরুণ প্রজন্মকে রক্ষায় ভবিষ্যতেও এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল: পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় ৮৫ হাজার টাকা মূল্যের ১৭০ পিস ইয়াবাসহ দুই মাদক কারবারিকে আটক করেছে কোস্ট গার্ড। গতকাল সন্ধ্যায় কোস্ট গার্ড স্টেশন পাথরঘাটা কর্তৃক পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলাধীন গুলিশাখালী বাজার সংলগ্ন এলাকায় একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চালানো এই অভিযানে তল্লাশি চালিয়ে উক্ত পরিমাণ ইয়াবাসহ দুই মাদক কারবারিকে আটক করা হয়।
জব্দকৃত ইয়াবা এবং আটককৃত মাদক কারবারিদের পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মঠবাড়িয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। কোস্ট গার্ড জানিয়েছে, মাদকের ভয়াল থাবা থেকে তরুণ প্রজন্মকে রক্ষায় ভবিষ্যতেও এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
০২ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১৯:৪৮
পিরোজপুরের নেছারাবাদ উপজেলার দৈহারী ইউনিয়নের একটি স্থানীয় মসজিদের নামে জেলা পরিষদের বরাদ্দের টাকা তুলে নিয়ে আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। ওই ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. আলামিন হাওলাদার বরাদ্দের টাকা তুলে তিন বছর পার করলেও টাকা মসজিদের কোনো কাজে লাগাননি।
জানা গেছে, নেছারাবাদ উপজেলার দৈহারী ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাঁটাদৈহারী গ্রামে অবস্থিত জামে মসজিদের সংস্কারের কাজে এক লাখ টাকা বরাদ্দ দেয় পিরোজপুর জেলা পরিষদ। ২০২১-২২ অর্থবছরে গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ উন্নয়ন প্রকল্পে মসজিদের উন্নয়নের জন্য ওই টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। আলামিন হাওলাদার মসজিদের তৎকালীন সভাপতির স্বাক্ষর জাল করে বরাদ্দের প্রথম কিস্তির ৫০ হাজার টাকা তুলে নেন।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ইউপি সদস্য আলামিন হাওলাদার প্রাথমিক বরাদ্দের ওই টাকা তুলে নানা অজুহাত দেখিয়ে ব্যক্তিগত কাজে খরচ করে ফেলেছেন। স্থানীয় মুসল্লিরা জানান, আলামিন হাওলাদার মসজিদে বরাদ্দ করা সরকারি টাকা কমিটিতে জমা না দিয়ে আত্মসাৎ করেছেন। তাঁকে একাধিকবার উত্তোলন করা টাকায় কাজ করার কথা বলা হয়েছে। বছরখানেক আগে নামমাত্র মসজিদের সামনে কিছু বালু ফেলে রেখে কাজে আর হাত দেননি।
জানতে চাইলে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য আলামিন হাওলাদার বলেন, ‘জেলা পরিষদ থেকে পাওয়া ৫০ হাজার টাকা আমার কাছে আছে। আমি টাকা ভুলে খরচ করে ফেলেছি। এখন একটু আর্থিক সমস্যায় আছি। হাতে টাকা এলে আমি কাজ করে দেব।’ অপর প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমার চেষ্টায় মসজিদে ওই টাকা এনেছি। তাই মসজিদ কমিটির কাছে টাকা দেব না। আমার সমস্যা কেটে গেলে নিজে কাজ করে দেব।’
মসজিদের সভাপতি মো. ইমাম হাসান বলেন, ‘ইউপি সদস্য আলামিন আমাদের মসজিদ উন্নয়ন ও নির্মাণ প্রকল্পের কথা বলে ৫০ হাজার টাকা উঠিয়ে নিয়েছেন। তৎকালীন সময়ে আমি সভাপতি ছিলাম না। জেলা পরিষদ কর্তৃক বরাদ্দ করা টাকার কাজ একাধিকবার শুরু করার কথা বলেও অদৃশ্য কারণে করছেন না। এমনকি ওই টাকা এখনো কমিটির কাছে হস্তান্তর করেনি। টাকা চাইতে গেলে তিনি চড়াও হয়ে যান।’
এ বিষয়ে দৈহারী ইউপি চেয়ারম্যান মো. জাহারুল ইসলাম বলেন, ‘সরকারি বরাদ্দের টাকা আত্মসাতের কোনো সুযোগ নেই। আমি তাঁকে কাজের জন্য একাধিকবার অনুরোধ করেছি। এখনো তিনি বরাদ্দের টাকায় কাজ করেননি। এ বিষয়ে আমি তাঁর বিরুদ্ধে যথাযথ প্রক্রিয়ায় ব্যবস্থা নেব।’
পিরোজপুরের নেছারাবাদ উপজেলার দৈহারী ইউনিয়নের একটি স্থানীয় মসজিদের নামে জেলা পরিষদের বরাদ্দের টাকা তুলে নিয়ে আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। ওই ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. আলামিন হাওলাদার বরাদ্দের টাকা তুলে তিন বছর পার করলেও টাকা মসজিদের কোনো কাজে লাগাননি।
জানা গেছে, নেছারাবাদ উপজেলার দৈহারী ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাঁটাদৈহারী গ্রামে অবস্থিত জামে মসজিদের সংস্কারের কাজে এক লাখ টাকা বরাদ্দ দেয় পিরোজপুর জেলা পরিষদ। ২০২১-২২ অর্থবছরে গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ উন্নয়ন প্রকল্পে মসজিদের উন্নয়নের জন্য ওই টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। আলামিন হাওলাদার মসজিদের তৎকালীন সভাপতির স্বাক্ষর জাল করে বরাদ্দের প্রথম কিস্তির ৫০ হাজার টাকা তুলে নেন।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ইউপি সদস্য আলামিন হাওলাদার প্রাথমিক বরাদ্দের ওই টাকা তুলে নানা অজুহাত দেখিয়ে ব্যক্তিগত কাজে খরচ করে ফেলেছেন। স্থানীয় মুসল্লিরা জানান, আলামিন হাওলাদার মসজিদে বরাদ্দ করা সরকারি টাকা কমিটিতে জমা না দিয়ে আত্মসাৎ করেছেন। তাঁকে একাধিকবার উত্তোলন করা টাকায় কাজ করার কথা বলা হয়েছে। বছরখানেক আগে নামমাত্র মসজিদের সামনে কিছু বালু ফেলে রেখে কাজে আর হাত দেননি।
জানতে চাইলে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য আলামিন হাওলাদার বলেন, ‘জেলা পরিষদ থেকে পাওয়া ৫০ হাজার টাকা আমার কাছে আছে। আমি টাকা ভুলে খরচ করে ফেলেছি। এখন একটু আর্থিক সমস্যায় আছি। হাতে টাকা এলে আমি কাজ করে দেব।’ অপর প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমার চেষ্টায় মসজিদে ওই টাকা এনেছি। তাই মসজিদ কমিটির কাছে টাকা দেব না। আমার সমস্যা কেটে গেলে নিজে কাজ করে দেব।’
মসজিদের সভাপতি মো. ইমাম হাসান বলেন, ‘ইউপি সদস্য আলামিন আমাদের মসজিদ উন্নয়ন ও নির্মাণ প্রকল্পের কথা বলে ৫০ হাজার টাকা উঠিয়ে নিয়েছেন। তৎকালীন সময়ে আমি সভাপতি ছিলাম না। জেলা পরিষদ কর্তৃক বরাদ্দ করা টাকার কাজ একাধিকবার শুরু করার কথা বলেও অদৃশ্য কারণে করছেন না। এমনকি ওই টাকা এখনো কমিটির কাছে হস্তান্তর করেনি। টাকা চাইতে গেলে তিনি চড়াও হয়ে যান।’
এ বিষয়ে দৈহারী ইউপি চেয়ারম্যান মো. জাহারুল ইসলাম বলেন, ‘সরকারি বরাদ্দের টাকা আত্মসাতের কোনো সুযোগ নেই। আমি তাঁকে কাজের জন্য একাধিকবার অনুরোধ করেছি। এখনো তিনি বরাদ্দের টাকায় কাজ করেননি। এ বিষয়ে আমি তাঁর বিরুদ্ধে যথাযথ প্রক্রিয়ায় ব্যবস্থা নেব।’
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.