
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.
Google AdSense
This is a demo ad. Your live ads will be displayed here once AdSense is properly configured.

১১ জুন, ২০২৫ ১৭:৩১
জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচার হওয়ার পর আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বাংলাদেশ সময় বুধবার বিকেলে লন্ডনের চ্যাথাম হাউজের মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বরেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আওয়ামী লীগের কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। জুলাই অভ্যুত্থানে হত্যাকাণ্ডের জন্য বিচারের পর দলটি নিষিদ্ধ হওয়া, না হওয়ার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আগামী জাতীয় নির্বাচন হবে ১৭ বছর পর দেশে সবচাইতে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন। সব রাজনৈতিক দলের মতামতের ভিত্তিতেই আমরা জুলাই সনদ চূড়ান্ত করতে চাই।’
অধ্যপক ইউনূস জানান, নির্বাচনই তাঁর সরকারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ ফোকাস। প্রতিবেশী দেশগুলোর সাথে বাংলাদেশ সবসময়ই ভালো সম্পর্ক রাখতে চায় জানিয়ে তিনি জানান, কিন্তু ভুয়া সংবাদ ও নানা অপপ্রচারের কারণে সাইবার স্পেসে অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে, যা দুইদেশের (বাংলাদেশ-ভারত) সম্পর্কে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
চার দিনের সরকারি সফরে গত সোমবার লন্ডন পৌঁছান অধ্যাপক ড. ইউনূস। অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব নেওয়ার পর এটিই তার প্রথম ইউরোপ সফর। আগামী ১৪ জুন প্রধান উপদেষ্টার দেশে ফেরার কথা রয়েছে।
জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচার হওয়ার পর আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বাংলাদেশ সময় বুধবার বিকেলে লন্ডনের চ্যাথাম হাউজের মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বরেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আওয়ামী লীগের কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। জুলাই অভ্যুত্থানে হত্যাকাণ্ডের জন্য বিচারের পর দলটি নিষিদ্ধ হওয়া, না হওয়ার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আগামী জাতীয় নির্বাচন হবে ১৭ বছর পর দেশে সবচাইতে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন। সব রাজনৈতিক দলের মতামতের ভিত্তিতেই আমরা জুলাই সনদ চূড়ান্ত করতে চাই।’
অধ্যপক ইউনূস জানান, নির্বাচনই তাঁর সরকারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ ফোকাস। প্রতিবেশী দেশগুলোর সাথে বাংলাদেশ সবসময়ই ভালো সম্পর্ক রাখতে চায় জানিয়ে তিনি জানান, কিন্তু ভুয়া সংবাদ ও নানা অপপ্রচারের কারণে সাইবার স্পেসে অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে, যা দুইদেশের (বাংলাদেশ-ভারত) সম্পর্কে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
চার দিনের সরকারি সফরে গত সোমবার লন্ডন পৌঁছান অধ্যাপক ড. ইউনূস। অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব নেওয়ার পর এটিই তার প্রথম ইউরোপ সফর। আগামী ১৪ জুন প্রধান উপদেষ্টার দেশে ফেরার কথা রয়েছে।

২৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৯:২৮
দীর্ঘ ১৭ বছর পর দেশের মাটিতে পা রাখলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তাকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্ট্যাটাস দিয়েছেন নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হয়েছে অভিনেত্রী পরীমনির নাম।
বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে পরীমনি লেখেন, আজ এ দেশের মানুষ চায়… যখন বললেন একদম শিরদাঁড়ায় এসে বিঁধল। কী যে এক মুগ্ধতা ছড়িয়ে পড়ল চারিদিকে!
তিনি লেখেন, শান্তি নেমে আসুক সবার জীবনে, আর কিছু চাওয়ার নেই।
এর আগে, নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তারেক রহমানকে স্বাগত জানিয়ে সোহেল তাজ লেখেন, ‘আবারও স্বাগতম! বাংলাদেশ আপনার কাছ থেকে ব্যতিক্রমী নেতৃত্ব প্রত্যাশা করে।’
এর আগে, বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) দুপুরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান লিখেন, ‘জনাব তারেক রহমান, সপরিবারে সুস্বাগতম!’

২৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১৯:২৩
ব্ল্যাকমেইল, মামলা বাণিজ্য ও প্রতারণার মাধ্যমে বিপুল অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে আলোচিত ‘জুলাইযোদ্ধা’ তাহরিমা জান্নাত সুরভীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) গভীর রাতে গাজীপুরের টঙ্গী এলাকায় নিজ বাসা থেকে তাকে আটক করা হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গুলশানের এক ব্যবসায়ীকে জুলাই আন্দোলনসংক্রান্ত মামলায় জড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে প্রায় আড়াই কোটি টাকা আদায়ের অভিযোগ তদন্ত করতে গিয়ে একটি সংঘবদ্ধ প্রতারণা চক্রের সন্ধান পাওয়া যায়। তদন্তে উঠে আসে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচিত তাহরিমা জান্নাত সুরভীই এই চক্রের মূল নেতৃত্বে ছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে আরও জানা গেছে, ব্ল্যাকমেইল ও চাঁদাবাজির মাধ্যমে এই চক্রটি বিভিন্ন ভুক্তভোগীর কাছ থেকে মোট প্রায় ৫০ কোটি টাকা আদায় করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, গত বছরের জুলাই–আগস্ট আন্দোলনের সময় গুলশান ও বাড্ডা এলাকায় সংঘটিত একাধিক হত্যা মামলায় জড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ধাপে ধাপে অর্থ আদায় করা হয়। আসামি বানানো, গ্রেপ্তার ও পুলিশি হয়রানির ভয় দেখানোর পাশাপাশি ‘মীমাংসা’ করে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে বিপুল অঙ্কের টাকা আদায় করে নেয় চক্রটি।
প্রতারণা চক্রের মূলহোতা হিসেবে অভিযুক্ত তাহরিমা জান্নাত সুরভী গাজীপুরের ভাওয়াল বদরে আলম সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী বলে জানা গেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল ভিডিও, বিতর্কিত কর্মকাণ্ড এবং নির্দিষ্ট ব্যক্তিকে লক্ষ্য করে লাইভ সম্প্রচারের মাধ্যমে তিনি আগে থেকেই আলোচনায় ছিলেন।
অভিযোগ রয়েছে, ভাইরাল পরিচিতিকে কাজে লাগিয়ে প্রভাবশালী ব্যক্তিদের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলে পরে ভয়ভীতি ও চাপ সৃষ্টি করে অর্থ আদায় করতেন তিনি। এ ঘটনায় জড়িত অন্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

২৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ ০১:০৮
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে, টেলিযোগাযোগ অধ্যাদেশের সংশোধন প্রস্তাব পাশ করেছে উপদেষ্টা পরিষদ, যাতে রাষ্ট্রের নজরদারি কাঠামোতে ‘গঠনমূলক’ পরিবর্তন আনা হয়েছে।
এতে ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন্স মনিটরিং সেন্টার বা এনটিএসি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে। তবে বিচারিক ও জরুরি আইনানুগ ইন্টারসেপশনের বা নজরদারির প্রয়োজনে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে ‘সেন্টার ফর ইনফরমেশন সাপোর্ট’ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।
উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এসব সংশাধনীর প্রস্তাব পাশ হয়েছে বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে প্রেস উইং।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, নতুন সংশোধনীতে স্পিচ অফেন্স সম্পর্কিত নিবর্তনমূলক ধারা পরিবর্তন করে সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ ২০২৫ এর ধারাবাহিকতায় কেবল সহিংসতার আহ্বানকেই অপরাধের আওতাভুক্ত রাখা হয়েছে।
যদিও সংশোধনী অনুযায়ী, জাতীয় নিরাপত্তা, আইনশৃঙ্খলা, জরুরি প্রাণরক্ষার প্রয়োজনে, বিচারিক বা তদন্তের প্রয়োজন এবং আন্তঃসীমান্ত সংক্রান্ত কাজে সুনির্দিষ্ট কার্যপদ্ধতি অনুসরণ করে আইনানুগ ইন্টারসেপশন করতে পারবে।
সংশোধনীতে বলা হয়েছে, সিম ও ডিভাইস রেজিস্ট্রেশনের তথ্য ব্যবহার করে কোনো নাগরিককে নজরদারি বা অযথা হয়রানি করাকে আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ করা হয়েছে।
প্রেস উইংয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়েছে, ইন্টারনেট বা টেলিযোগাযোগ সেবা কখনোই বন্ধ করা যাবে না এমন বিধান রাখা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০০৮ সালে সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় এবং মোবাইল অপারেটরদের অর্থায়নে সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআই'র ভবনে গঠিত হয় ন্যাশনাল মনিটরিং সেন্টার – এনএমসি। পরে ২০১৩ সালে তা নাম বদলে এনটিএমসি হয়।
জুলাই অভ্যুত্থানের সঙ্গে সম্পর্কিত মানবাধিকার লঙ্ঘন ও নির্যাতন সংক্রান্ত জাতিসংঘের ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং প্রতিবেদনেও সংস্থাটিকে বিলুপ্ত করার এবং জনগণের ওপর বেআইনি নজরদারি বন্ধের সুপারিশ করা হয়েছিল।
দীর্ঘ ১৭ বছর পর দেশের মাটিতে পা রাখলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তাকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্ট্যাটাস দিয়েছেন নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হয়েছে অভিনেত্রী পরীমনির নাম।
বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে পরীমনি লেখেন, আজ এ দেশের মানুষ চায়… যখন বললেন একদম শিরদাঁড়ায় এসে বিঁধল। কী যে এক মুগ্ধতা ছড়িয়ে পড়ল চারিদিকে!
তিনি লেখেন, শান্তি নেমে আসুক সবার জীবনে, আর কিছু চাওয়ার নেই।
এর আগে, নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তারেক রহমানকে স্বাগত জানিয়ে সোহেল তাজ লেখেন, ‘আবারও স্বাগতম! বাংলাদেশ আপনার কাছ থেকে ব্যতিক্রমী নেতৃত্ব প্রত্যাশা করে।’
এর আগে, বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) দুপুরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান লিখেন, ‘জনাব তারেক রহমান, সপরিবারে সুস্বাগতম!’
ব্ল্যাকমেইল, মামলা বাণিজ্য ও প্রতারণার মাধ্যমে বিপুল অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে আলোচিত ‘জুলাইযোদ্ধা’ তাহরিমা জান্নাত সুরভীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) গভীর রাতে গাজীপুরের টঙ্গী এলাকায় নিজ বাসা থেকে তাকে আটক করা হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গুলশানের এক ব্যবসায়ীকে জুলাই আন্দোলনসংক্রান্ত মামলায় জড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে প্রায় আড়াই কোটি টাকা আদায়ের অভিযোগ তদন্ত করতে গিয়ে একটি সংঘবদ্ধ প্রতারণা চক্রের সন্ধান পাওয়া যায়। তদন্তে উঠে আসে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচিত তাহরিমা জান্নাত সুরভীই এই চক্রের মূল নেতৃত্বে ছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে আরও জানা গেছে, ব্ল্যাকমেইল ও চাঁদাবাজির মাধ্যমে এই চক্রটি বিভিন্ন ভুক্তভোগীর কাছ থেকে মোট প্রায় ৫০ কোটি টাকা আদায় করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, গত বছরের জুলাই–আগস্ট আন্দোলনের সময় গুলশান ও বাড্ডা এলাকায় সংঘটিত একাধিক হত্যা মামলায় জড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ধাপে ধাপে অর্থ আদায় করা হয়। আসামি বানানো, গ্রেপ্তার ও পুলিশি হয়রানির ভয় দেখানোর পাশাপাশি ‘মীমাংসা’ করে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে বিপুল অঙ্কের টাকা আদায় করে নেয় চক্রটি।
প্রতারণা চক্রের মূলহোতা হিসেবে অভিযুক্ত তাহরিমা জান্নাত সুরভী গাজীপুরের ভাওয়াল বদরে আলম সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী বলে জানা গেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল ভিডিও, বিতর্কিত কর্মকাণ্ড এবং নির্দিষ্ট ব্যক্তিকে লক্ষ্য করে লাইভ সম্প্রচারের মাধ্যমে তিনি আগে থেকেই আলোচনায় ছিলেন।
অভিযোগ রয়েছে, ভাইরাল পরিচিতিকে কাজে লাগিয়ে প্রভাবশালী ব্যক্তিদের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলে পরে ভয়ভীতি ও চাপ সৃষ্টি করে অর্থ আদায় করতেন তিনি। এ ঘটনায় জড়িত অন্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে, টেলিযোগাযোগ অধ্যাদেশের সংশোধন প্রস্তাব পাশ করেছে উপদেষ্টা পরিষদ, যাতে রাষ্ট্রের নজরদারি কাঠামোতে ‘গঠনমূলক’ পরিবর্তন আনা হয়েছে।
এতে ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন্স মনিটরিং সেন্টার বা এনটিএসি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে। তবে বিচারিক ও জরুরি আইনানুগ ইন্টারসেপশনের বা নজরদারির প্রয়োজনে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে ‘সেন্টার ফর ইনফরমেশন সাপোর্ট’ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।
উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এসব সংশাধনীর প্রস্তাব পাশ হয়েছে বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে প্রেস উইং।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, নতুন সংশোধনীতে স্পিচ অফেন্স সম্পর্কিত নিবর্তনমূলক ধারা পরিবর্তন করে সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ ২০২৫ এর ধারাবাহিকতায় কেবল সহিংসতার আহ্বানকেই অপরাধের আওতাভুক্ত রাখা হয়েছে।
যদিও সংশোধনী অনুযায়ী, জাতীয় নিরাপত্তা, আইনশৃঙ্খলা, জরুরি প্রাণরক্ষার প্রয়োজনে, বিচারিক বা তদন্তের প্রয়োজন এবং আন্তঃসীমান্ত সংক্রান্ত কাজে সুনির্দিষ্ট কার্যপদ্ধতি অনুসরণ করে আইনানুগ ইন্টারসেপশন করতে পারবে।
সংশোধনীতে বলা হয়েছে, সিম ও ডিভাইস রেজিস্ট্রেশনের তথ্য ব্যবহার করে কোনো নাগরিককে নজরদারি বা অযথা হয়রানি করাকে আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ করা হয়েছে।
প্রেস উইংয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়েছে, ইন্টারনেট বা টেলিযোগাযোগ সেবা কখনোই বন্ধ করা যাবে না এমন বিধান রাখা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০০৮ সালে সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় এবং মোবাইল অপারেটরদের অর্থায়নে সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআই'র ভবনে গঠিত হয় ন্যাশনাল মনিটরিং সেন্টার – এনএমসি। পরে ২০১৩ সালে তা নাম বদলে এনটিএমসি হয়।
জুলাই অভ্যুত্থানের সঙ্গে সম্পর্কিত মানবাধিকার লঙ্ঘন ও নির্যাতন সংক্রান্ত জাতিসংঘের ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং প্রতিবেদনেও সংস্থাটিকে বিলুপ্ত করার এবং জনগণের ওপর বেআইনি নজরদারি বন্ধের সুপারিশ করা হয়েছিল।